দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬৫৪ জন।
Published : 05 Aug 2020, 02:41 PM
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বুধবার নিয়মিত বুলেটিনে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২ হাজার ৬৫৪ জনকে নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৪ জন হল।
আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ৩৩ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ২৬৭ জনে।
আইইডিসিআরের ‘অনুমিত’ হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৮৯০ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত একদিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৫০ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, তা দুই লাখ পেরিয়ে যায় ১৮ জুলাই। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৮ জুলাই সেই সংখ্যা তিন হাজার স্পর্শ করে। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয় বুলেটিনে, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৮৩টি ল্যাবে ১১ হাজার ১৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১২ লাখ ১২ হাজার ৪১৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ, আর এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার তা ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ এবং ৮ জন নারী। ৩১ জন হাসপাতালে এবং ২ জন বাড়িতে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ২ জনের বয়স ছিল ৯০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ জনের বয়স ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে, ৬ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১০ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
এই ৩৩ জনের মধ্যে ১৮ জন ঢাকা বিভাগের, ৯ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন রাজশাহী বিভাগের, ১ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন বরিশাল বিভাগের এবং ৩ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
পুরনো খবর