করোনাভাইরাসে আরও ৪৮ মৃত্যু

নতুন করোনাভাইরাসে দেশে আরও ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে; এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৩ জনে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2020, 08:43 AM
Updated : 30 July 2020, 11:26 AM

একদিনে আরও ২ হাজার ৬৯৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ জন হয়েছে।

আইইডিসিআরের ‘অনুমিত’ হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৬৬৮ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। তাতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল মোট ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৬০ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বৃহস্পতিবার নিয়মিত বুলেটিনে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, তা দুই লাখ পেরিয়ে যায় ১৮ জুলাই। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

সংক্রমণ শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৮ জুলাই সেই সংখ্যা তিন হাজার স্পর্শ করে। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয় বুলেটিনে, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

ড. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের ৩৬ জন পুরুষ, ১২ জন নারী। ৪১ জন হাসপাতালে এবং ৭ জন বাড়িতে মারা গেছেন।

এর মধ্যে একজনের বয়স ছিল ৯০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫ জনের বয়স ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে, ১১ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।

তাদের ১৭ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের, ৫ জন সিলেট বিভাগের, ৩ জন রাজশাহী বিভাগের, ২ জন বরিশাল বিভাগের, ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের, ২ জন রংপুর বিভাগের ছিলেন।

 

নাসিমা সুলতানা জানান, এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৩ হাজার ৮৩ জনের মধ্যে ২ হাজার ৪২৪ জন পুরুষ এবং ৬৫৯ জন নারী।

তাদের মধ্যে এক হাজার ৪২৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৮৯০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪৩৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২০২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৮৫ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৩০ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১৮ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এক হাজার ৪৭৫ জন ঢাকা বিভাগের, ৭৫১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১৮২ জন রাজশাহী বিভাগের, ২১৯ জন খুলনা বিভাগের, ১২১ জন বরিশাল বিভাগের, ১৫১ জন সিলেট বিভাগের, ১১৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ৬৭ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৬৬৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে সারাদেশে ৮২টি ল্যাবে ১২ হাজার ৯৩৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫টি।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ, মোট শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।

ব্রিফিংয়ে নাসিমা সুলতানা জানান, ৩১ জুলাই থেকে আইইডিসিআরের শুধুমাত্র ১০৬৫৫ হটলাইন নাম্বারটি চালু থাকবে।

পুরনো খবর