করোনাভাইরাস: ঈদের দিন এল ২১ মৃত্যুর খবর

দেশে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে কোরবানির ঈদের দিন এল আরও ২১ জনের মৃত্যু আর ২ হাজার ১৯৯ জন নতুন রোগী শনাক্তের খবর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2020, 08:50 AM
Updated : 1 August 2020, 11:34 AM

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা শনিবার নিয়মিত বুলেটিনে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।

এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২ হাজার ১৯৯ জনকে নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৭ জন হল।

আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ২১ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ১৩২ জনে।

আইইডিসিআরের ‘অনুমিত’ হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ১১৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত একদিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৫৩ জন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, তা দুই লাখ পেরিয়ে যায় ১৮ জুলাই। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৮ জুলাই সেই সংখ্যা তিন হাজার স্পর্শ করে। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয় বুলেটিনে, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

ড. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের ১৬ জন পুরুষ, ৫ জন নারী। তাদের ২০ জন হাসপাতালে এবং একজন বাড়িতে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ৯ জন ঢাকা বিভাগের, ৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন রাজশাহী বিভাগের, ২ জন বরিশাল বিভাগের এবং ১ জন মংমনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

এই ২১ জনের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ৮ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।

বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ৮ হাজার ৬৬৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আর সারা দেশে ৮২টি ল্যাবে ৮ হাজার ৮০২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৬১১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ, আর এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৩ শতাংশ।

শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার তা ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।

নাসিমা সুলতানা জানান, বর্তমানে ঢাকার সাধারণ শয্যায় ভর্তি আছেন ২ হাজার ৬৪ জন কোভিড-১৯ রোগী, আইসিইউতে আছেন ১৮৮ জন। চট্টগ্রামে সাধারণ শয্যায় আছেন ২৫৩ জন, আইসিইউতে আছেন ২২ জন। সারা দেশের অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৫৪৪ জন, আইসিউতে আছেন ১১০ জন।

সারাদেশের ১৫ হাজার ২৪০টি সাধারণ শয্যার মধ্যে ১১ হাজার ৩৭৯টি শয্যা খালি আছে। ৫৫০টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি আছে ২৩০টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৭৭১ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে, ৫০০ জন আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৫৮১ জন।

 
 

পুরনো খবর