নতুন করোনাভাইরাসে দেশে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে; এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৯১ জনে।
Published : 13 Jul 2020, 02:43 PM
একদিনে আরও ৩ হাজার ৯৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৪ জন হয়েছে।
আইইডিসিআরের ‘অনুমিত’ হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪ হাজার ৭০৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। তাতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল মোট ৯৮ হাজার ৩১৭ জনে।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সোমবারের বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা এই তথ্য জানান।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তা দেড় লাখ পেরিয়ে যায় গত ২ জুলাই। সেদিন ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ।
আর ১৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ জুলাই তা দুই হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৪ জনের এবং বাড়িতে থাকা অবস্থায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তাদের মধ্যে ১৯ জন ঢাকা বিভাগের, ৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের, ৭ জন খুলনা বিভাগের, ৩ জন বরিশাল বিভাগের, ২ জন রংপুর বিভাগের এবং ২ জন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
এই ৩৯ জনের মধ্যে ১ জনের বয়স ১০ বছরের নিচে, ১ জনের বয়স ৮০ বছরের বেশি ছিল।
এছাড়া ৩ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১১ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।
বুলেটিনে জানানো হয়, দেশে ৭৭টি ল্যাবে গত এক দিনে ১২ হাজার ৪২৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে; এ পর্যন্ত দেশে পরীক্ষা হয়েছে ৯ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৭টি নমুনা।
পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫২ দশমিক ৬১ শতাংশ, মৃত্যু হার ১ দশমিক ২১ শতাংশ।
বুলেটিনে নাসিমা সুলতানা জানান, কোভিড-১৯ পরীক্ষা নিয়ে অভিযোগ জানাতে একটি লিঙ্ক চালু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। www.dghs.gov.bd ওয়েবসাইটের ‘করোনা কর্নারে’ এ বিষয়ক অভিযোগ জানানো যাবে।
পুরনো খবর