শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭০৯ জনের মধ্যে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার হাজার ১৩৪ জন।
এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৭ জনের; বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা শুক্রবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর খোঁজ মেলে গত ৮ মার্চ; তার দশ দিনের মাথায় ঘটে প্রথম মৃত্যু।
নাসিমা সুলতানা জানান, সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৯১ জন, এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ২ হাজার ১০১ জন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ৫ জন, ২ জন নারী। এক জনের বয়স ৯০ বছরের বেশি, ৭১-৮০ বছরের দুই জন, ৬১-৭০ বছর বয়সী দুইজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুইজন।
সারা দেশে মোট ৩৫টি ল্যাবে গত এক দিনে ৫ হাজার ৯৪১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে বুলেটিনে জানানো হয়। নমুনা পরীক্ষায় নতুন যুক্ত হয়েছে নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের ল্যাব।
দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বিভাগে রোগীদের সুস্থ হওয়ার একটি পরিসংখ্যানও এদিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে তুলে ধরেন নাসিমা সুলতানা।
হাসপাতাল/বিভাগ | গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ | এ পর্যন্ত সুস্থ |
বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল | ১৫ জন | ৩৬২ জন |
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল | ১৫ জন | ৩৩২ জন |
সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল | ০ জন | ৯ জন |
ঢাকা মহানগর হাসপাতাল | ৫ জন | ৬৪ জন |
রেলওয়ে হাসপাতাল | ০ জন | ০ জন |
রিজেন্ট হাসপাতাল | ২ জন | ২৩ জন |
সাজেদা ফাউন্ডেশন হাসপাতাল | ৮ জন | ৩৭ জন |
রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল | ১৮ জন | ৭০ জন |
মিরপুর লালকুঠি হাসপাতাল | ১ জন | ২০ জন |
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল | ১০ জন | ১২৮ জন |
ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিট | ২২ জন | ৩১ জন |
ঢাকা বিভাগ | ৪৭ জন | ৫৯৯ জন |
চট্টগ্রাম বিভাগ | ১০ জন | ১২৯ জন |
রাজশাহী বিভাগ | ০ জন | ৮ জন |
খুলনা বিভাগ | ০ জন | ৬ জন |
বরিশাল বিভাগ | ১ জন | ৫৭ জন |
সিলেট বিভাগ | ০ জন | ৭ জন |
ময়মনসিংহ বিভাগ | ১৪ জন | ৮২ জন |
রংপুর বিভাগ | ০ জন | ৪৯ জন |
সিএমএইচ | ২৩ জন | ৮৮ জন |
মোট | ১৯১ জন | ২,১০১ জন |
সুস্থ হওয়ার নির্ণায়ক
হাসপাতালে ভর্তি কোনো কোভিড-১৯ রোগীকে কখন সুস্থ বলা যাবে, সে বিষয়ে জাতীয় কারিগরি কমিটির নির্দেশনাগুলো এদিন ব্রিফিংয়ের শুরুতেই তুলে ধরেন অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
এগুলো হল-
ক. জ্বর কমানোর ওষুধ বা প্যারাসিটামল সেবন ছাড়াই যদি জ্বর সেরে যায়
খ. শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বা সমস্যাজনিত উপসর্গ যেমন শুকনো কাশি, কফ, নিঃশ্বাসের দুর্বলতার মত উপসর্গগুলোর যদি লক্ষণীয় উন্নতি হয়
গ. ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুট আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ হলে।
ঘ. যদি দুটি আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে যদি রোগীর উপরোক্ত ক ও খ নির্ণায়ক দুটি পরবর্তী টানা ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকে, তাহলে রোগীকে হাসপাতাল ছাড়ার অনুমতি দেওয়া যাবে।
# হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর রোগীকে নিজের বাসায় বা নির্ধারিত যে কোনো জায়গায় আইসোলশনের নিয়ম মেনে চলতে হবে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী ১৪ দিন সেখানেই অবস্থান করতে হবে।
## পরে সম্ভব হলে বাসায় থাকা অবস্থায় অথবা নির্ধারিত জায়গায় উপস্থিত হয়ে রোগী আরটি-পিসিআর পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে পারবেন।
নাসিমা সুলতানা বুলেটিনে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ জনকে আইসোলেশনে আনা হয়েছে, বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে আছেন ১ হাজার ৮৭৪ জন। সারা দেশে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৯ হাজার ১৪৬ জন।
পুরনো খবর