কোভিড-১৯: আক্রান্ত বেড়ে ৪১৮৬, মৃত্যু ১২৭ জনের

দেশে এক দিনে আরও ৪১৪ জনের মধ্যে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪১৮৬ জন।  

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2020, 08:51 AM
Updated : 23 April 2020, 11:31 AM

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৭ জন হয়েছে।

গত এক দিনে আরও ১৬ জন সুস্থ হয়ে ওঠায় এ পর্যন্ত মোট ১০৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।

পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৭ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। তারা সবাই ঢাকার বাসিন্দা ছিলেন।

তাদের মধ্যে ৪ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। দুই জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, বাকি ১ জনের বয়স ৪১-৫০ এর মধ্যে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২১ টি প্রতিষ্ঠানে এখন নতুন করোনাভাইরাসের পিসিআর টেস্ট হচ্ছে জানিয়ে নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯২১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তার মধ্যে ৩ হাজার ৪১৬টির পরীক্ষা হয়েছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত দেশে ৩৬ হাজার ৯০টি নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

বুলেটিনে জানানো হয়, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট ৪ হাজার ১৮৬ জনের মধ্যে ৬৮ শতাংশ পুরুষ, ৩২ শতাংশ নারী।

আক্রান্তদের মধ্যে ১০ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি, ১৫ শতাংশের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ১৮ শতাংশের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, ২২ শতাংশের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, ২৪ শতাংশের বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে, ৮ শতাংশের বয়স ১১-২০ বছরের মধ্যে, ৩ শতাংশের বয়স ১০ বছরের নিচে।

নাসিমা সুলতানা, “সর্বাধিক আক্রান্ত ব্যক্তি ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। কাজেই আমরা আবার বলি, বারবার বলি, আপনারা ঘরে থাকুন, নিজেকে সুরক্ষিত করুন এবং অন্যকেও সুরক্ষিত রাখতে উদ্বুদ্ধ করুন। “

কোভিড-১৯ আক্রান্তদের ৮৫ দশমিক ২ শতাংশই ঢাকা মহানগরী এবং ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে রয়েছেন ৪৫ দশমিক ৫১ শতাংশ রোগী। ঢাকা বিভাগের বাকি অংশ মিলিয়ে এই হার ৩৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বিবেচনায় ঢাকার পরেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা, এরপরে যথাক্রমে গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী।

গত ২৪ ঘণ্টার তথ্য অনুযায়ী ঢাকা মহানগরীতে সবচেয়ে বেশি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে রাজারবাগ এলাকায়। এরপর ধারাবাহিকভাবে আছে মোহাম্মদপুর, লালবাগ, যাত্রাবাড়ী, বংশাল, চকবাজার, মিটফোর্ড, উত্তরা, তেজগাঁ ও মহাখালী।

 

পুরনো খবর