১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২
লেখক, নাট্যকার ও কলামনিস্ট।
কেবল একজন যোগ্য মানুষকে কোনো একটি একাডেমির মহাপরিচালক পদে দেখলেই, প্রতিষ্ঠানটি তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে এমনটি মনে করার কারণ নেই। প্রতিষ্ঠানের কর্মযজ্ঞের বড় বাস্তবতা প্রশাসনিক দিক এবং পরেরটা সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল কর্মের দেখভাল আর উপস্থাপন।
১৯৫০-এর দশকে নিউইয়র্ক, বোস্টন, লন্ডন এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিত হয়েছিল।
কেউ ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক কিংবা ক্ষমতার বাইরের কোনো দলের সমর্থক— গণতান্ত্রিক রীতিতে তা পৃথক বিবেচ্য বিষয় নয়। জাতীয় ঐক্য আর অগ্রযাত্রার জন্য তারুণ্যকে আস্থায় রাখতে হয়।
প্রয়াত শামসুজ্জামান খান নির্বাহী প্রধান থাকার সময়ে বাংলা একাডেমি আইনে কতগুলো সংস্কার আনা হয়। সংস্কারের ফলে প্রতিষ্ঠানটি নামকাওয়াস্তে স্বায়ত্তশাসিত হলেও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন আমলারা নানা সময়েই দৃষ্টিকটুরকম হস্তক্ষেপ করেন।
আমাদের দেশীয় ‘বাস্তিল’ দুর্গ যেহেতু ‘মাইক্রো’ এবং ক্ষেত্রবিশেষে অদৃশ্য তাই সাধারণ মানুষের সামনে নির্দিষ্ট কোনো বাস্তিল দুর্গ অভিমুখে যাত্রা করার সুযোগ নেই। তাই তারা দুধের সাধ ঘোলে মিটায় আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেইসবুক, ইউটিউব আর টিকটকে ঝাল মিটায়।
কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, আমাদের উচ্চশিক্ষার সামনে সামগ্রিক গলদ দূর করার জন্য পশ্চিমের নিরিখে বিশ্বসূচকই শেষ কথা নয়। সঙ্কট থেকে উত্তরণ করতে হবে আমাদের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে।