শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ রোগে আরও ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে; বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৮২ জন।
সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৯০ জন। সব মিলে এ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ১৫ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা শুক্রবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, গত একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ, ৪ জন নারী।
তাদের মধ্যে ৪ জন ঢাকা মহানগরীর, ১ জন ঢাকা জেলার, ২ জন নারায়ণগঞ্জের, ১ জন মুন্সিগঞ্জের, ১ জন মানিকগঞ্জের, ১ জন কিশোরগঞ্জের, ৬ জন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের, ১ জন কুমিল্লার, ১ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার, ১ জন ফেনীর, ২ জন রংপুর জেলার; ১ জন ভোলার এবং ১ জন সিলেট জেলার বাসিন্দা ছিলেন।
এই ২৩ জনের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। এছাড়া ২ জনের বয়স ছিল ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ৬ জনের বয়স ছিল ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ছিল ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ০৪ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
গত এক দিনে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৩২৮ জনকে। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ৫ হাজার ১৪০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আনা হয়েছে ৪ হাজার ৯০০ জনকে। সারা দেশে এখন ৬০ হাজার ২৭৫ জন কোয়ারেন্টিনে আছেন।
বুলেটিনে জানানো হয়, দেশের ৪৯টি ল্যাবে গত এক দিনে ১১ হাজার ৩০১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৬টি।
তবে এর বাইরেও আক্রান্ত অনেকে পরীক্ষার বাইরে রয়েছেন বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
পুরনো খবর