করোনাভাইরাস: মৃত্যু বেড়ে ১৪৫, আক্রান্ত মোট ৫৪১৬

দেশে এক দিনে আরও ৪১৮ জনের মধ্যে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৪১৬ জন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2020, 08:40 AM
Updated : 26 April 2020, 10:39 AM

রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৫ জন হয়েছে।

গত এক দিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ৯ জন। এ পর্যন্ত মোট ১২২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা রোববার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ, ২ জন নারী। তাদের ৪ ছিলেন রাজধানীর বাসিন্দা, আরেকজনের বাড়ি ঢাকার দোহারে।

যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৬০ বছরের বেশি; ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী তিন জন। এছাড়া দশ বছরের কম বয়সী এক শিশুও আছে মৃতদের মধ্যে।

নাসিমা সুলতানা বলেন, “যে শিশুটি মারা গেছে, তার নেফ্রটিক সিনড্রোম, কিডনির অসুস্থতা ছিল। তারপরে তার কোভিড পজিটিভ হয়েছে।”

বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৬৮০টি, তার মধ্যে পরীক্ষা হয়েছে ৩ হাজার ৪৭৬টি নমুনা।

কোভিডি-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে যারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাদের তথ্য জানাতে গিয়ে নাসিমা সুলতানা বলেন, “আমাদের বেশিরভাগ আক্রান্ত ব্যক্তি বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নেন। তারা সুস্থ হয়ে গেলে সে তথ্যটা এখানে আমরা দিই না। যারা হাসপাতাল হয়ে বাসায় যান, তাদের তথ্যটাই দিই। ”

কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৭৫ জনকে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৬৪ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৮৯১ জনকে। সারা দেশে এখন কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৭৯ হাজার ৮৯৯জন।

নাসিমা সুলতানা বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য সারা দেশে ৬০১টি ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে, যাতে ৩০ হাজার ৬৩৫ জনকে রাখা করা যাবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী মজুদ রয়েছে ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৭৪টি।

করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য কী পরিমাণ কিট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এখন মজুদ রয়েছে সেই তথ্যটি না জানিয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, “পিসিআর পরীক্ষার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে কিট সংগৃহীত আছে। পরীক্ষার কিট নিয়ে কোনো সমস্যা নাই। আমার ধারাবাহিকভাবে আমদানি করে যাচ্ছি। নমুনা সংগ্রহের সোয়াব স্টিকেরও ঘাটতি নাই। একটি দেশি কোম্পানি নিয়মিত তা সরবরাহ করে যাচ্ছে।”

মোট ৪ হাজার ২০২ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বরগুলোর মাধ্যমে স্বেচ্ছাভিত্তিতে স্বাস্থ্য পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

পুরনো খবর