মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ১৬৬ জনের মধ্যে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৩৬ হাজার ৭৫১ জন হয়েছে।
সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৪৫ জন। সব মিলয়ে এ পর্যন্ত মোট ৭ হাজার ৫৭৯ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা মঙ্গলবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ, ৭ জন নারী। তাদের ২০ জনই মারা গেছেন হাসপাতালে, ১ জন বাড়িতে।
তাদের মধ্যে ৩ জন ছিলেন ঢাকা মহানগরের বাসিন্দা, ৭ জন মহানগরের বাইরে ঢাকা জেলার অন্যান্য এলাকায় থাকতেন। এছাড়া মুন্সীগঞ্জের ১ জন, নরসিংদীর ১ জন, গাজীপুরের ১ জন, মানিকগঞ্জের ১ জন, চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকার ১ জন, মহানগরী বাদে চট্টগ্রাম জেলায় ১ জন, কক্সবাজারের ১ জন, কুমিল্লার ২ জন, পিরোজপুরের ১ জন, ঝালকাঠির ১ জন রয়েছেন মৃতদের মধ্যে।
নাসিমা সুলতানা জানান, এই ২১ জনের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। এছাড়া ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন ছিলেন। ১০ বছরের কম বয়সী এক শিশুরও মৃত্যু হয়েছে গত এক দিনে।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত এক দিনে দেশের ৪৮টি ল্যাবে ৫ হাজার ৪০৭ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
এই সময়ে নতুন করে ১৮২ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ৪ হাজার ৭৭০ জন।রয়েছেন ৪ হাজার ৭৭০ জন।
ঈদের ছুটি শেষে যারা গ্রাম থেকে আবার শহরে ফিরবেন, তাদের সতর্ক করে দিয়ে নাসিমা সুলতানা বলেন, “ঈদের ছুটি শেষ হয়ে যাচ্ছে। চলাচল বেড়ে যাবে। প্রত্যেকে মাস্ক ব্যবহার করবেন। মাস্ক সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন, আমরা যেন তা খুলে না রাখি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন।”
পুরনো খবর