শনিবার সকাল থেকে আগে ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ হাজার ৮৭৩ জন নতুন রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী ধরা পড়ার পর ২৪ ঘণ্টায় এত বেশি রোগী আর কখনও শনাক্ত হয়নি।
এর আগে গত ১৮ মে ১ হাজার ৬০২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, যা ছিল এর আগের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
সেই সংখ্যাটি ছাড়িয়ে গেল শনিবার। সেই সঙ্গে আরও ২০ জনের মৃত্যু ঘটেছে, আর সেরে উঠেছেন হাসপাতালে থাকা আরও ২৯৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ২২ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪১ শতাংশ।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার নিয়মিত বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৯ হাজার ৯৭৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। দেশের ৪৭টি ল্যাবে আগের দিনের কিছু মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৮৩৪টি নমুনা
পরীক্ষা করা হয়। এনিয়ে ২ লাখ ৬৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হল।
নমুনা পরীক্ষা বাড়ার সঙ্গে শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নমুনা পরীক্ষা বাড়ানো হলে নীরব বাহক আক্রান্তরা ধরা পড়বেন।
নতুন ১ হাজার ৮৭৩ জন রোগীর দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৭৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ২৯৬ জনকে নিয়ে সর্বমোট ৬ হাজার ৪৮৬ জন সেরে উঠলেন।
২০ জনের মৃত্যুতে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৫২ জন।
মারা যাওয়া নতুনদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ, চারজন নারী।
এদের মধ্যে ১ জনের বয়স ছিল ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ছিল ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ২১ বছরের কম বয়সী ছিলেন ২ জন।
মৃতদের মধ্যে ৪ জন ঢাকা বিভাগের, ৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন রংপুর বিভাগের, ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের ও ১ জন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা।
হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫ জন, বাড়িতে মারা গেছেন ৪ জন ও একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল বলে বুলেটিনে জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৮৬ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ৪ হাজার ৩০৫ জন।
পুরনো খবর