বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৪ হাজার ২টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এ নিয়ে মোট ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪০২টি নমুনা পরীক্ষা হল।
এই সময়ে শনাক্ত ৩ হাজার ৩৫৫ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৯০ জন হল।
আইইডিসিআরের ‘অনুমিত’ হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৭৯৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ২৩ জন হল।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৩ জনকে নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৪৫৭ জনে পৌঁছল।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তা দেড় লাখ পেরিয়ে যায় গত ২ জুলাই। সেদিন ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ।
আর ১৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ জুলাই তা দুই হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ এবং ৬ জন নারী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ জনের এবং বাড়িতে থাকা অবস্থায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তাদের মধ্যে ১৬ জন ঢাকা বিভাগের, ৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের এবং ৩ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৩ জনের মধ্যে ১ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এছাড়া ১ জনের বয়স ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
বুলেটিনে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ২৫ শতাংশ, মৃত্যু হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
পুরনো খবর