করোনাভাইরাস: শনাক্ত রোগী ২ লাখ ১০ হাজার ছাড়াল

দেশে করোনাভাইরাসের মহামারীতে সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার সাতশ ছাড়িয়ে গেছে, শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পেরিয়ে গেছে দুই লাখ দশ হাজারের ঘর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2020, 08:47 AM
Updated : 21 July 2020, 10:27 AM

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৭০৯ জন।

গত এক দিনে আরও ৩ হাজার ৫৭ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ৫১০ জনে।

আইইডিসিআরের ‘অনুমিত’ হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৮৪১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৯৭ জন হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা মঙ্গলবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তা দুই লাখ পেরিয়ে যায় ১৮ জুলাই। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ।

আর ১৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১৭ জুলাই তা আড়াই হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনে রেকর্ড ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।

 

নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩৪ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী। ৩১ জন হাসপাতালে এবং ১০ জন বাড়িতে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ২ জনের বয়স ৮০ বছরের বেশি। এছাড়া ৭ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১১ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

এই ৪১ জনের মধ্যে ১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের ও ১  জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত যে ২ হাজার ৭০৯ জনের মৃত্যু নথিভুক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে ৪৪ দশমিক ৭০ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি।  

এছাড়া ২৯ দশমিক ৪৯ শতাংশের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ২ দশমিক ২৯ শতাংশের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ১ দশমিক ০৭ শতাংশের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশের বয়স ১০ বছরের কম বলে জানান নাসিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, মৃতদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ ঢাকা বিভাগের, ২৫ দশমিক ৪০ শতাংশ চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ রাজশাহীর, ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ খুলনার, ২ দশমিক ১৪ শতাংশ ময়মনসিংহের, ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ রংপুরের, ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ সিলেটের এবং ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ বরিশাল বিভাগের।

বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৭৭টি ল্যাবে ১২ হাজার ৮৯৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত সারা দেশে পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ লাখ ৫৪ হাজার ৫৫৯টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং মৃত্যু হার ১ দশমিক ২৯ শতাংশ।

গত এক দিনে আইসোলেশনে আনা হয়েছে ৭১০ জন রোগীকে, সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৮ হাজার ৬৭১ জন।

 

পুরনো খবর