হোম
+
বদি বলেন, “কোনো ভাবেই গুলি ছোড়া হয়নি। ঘটনার সময় দুইটি পটকার আওয়াজ শোনা গেছে।”
Published : 03 May 2024, 04:19 PM
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল আলমকে লক্ষ্য করে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কম্বনিয়া এলাকায় এ ঘটনায় নুরুল আলম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন।
বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল আলম টেকনাফ উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীও। আর বদি কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। নুরুল আলমের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
নুরুল আলমের লিখিত অভিযোগটি পেয়েছেন বলে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনী জানিয়েছেন।
ঘটনার বর্ণনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আলম বলেন, “বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ সময় আমার মনোনয়নপত্র দাখিল করি। রাতে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে যাই।
“এ সময় সংসদ সদস্য স্টিকার লাগানো গাড়ি করে সাবেক এমপি বদি ও অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলম ঘটনাস্থলে এসে পর পর দুই রাউন্ড গুলি করে। কিন্তু তা আমার গায়ে আঘাত করেনি।“
“এরপর সঙ্গে সঙ্গে আমি জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিয়ে বিষয়টি জানাই। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে আমি নিরাপদে ফিরে আসি। এ ব্যাপারে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।” যোগ করেন চেয়ারম্যান।
নুরুল আলমের অভিযোগ, “চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফরের পক্ষে হয়ে সাবেক এমপি, সংসদ সদস্য স্টিকার লাগানো গাড়ি করে প্রাচরের পাশাপাশি আমার নেতা-কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলম জানান, “গুলির ঘটনা পুরাপুরি মিথ্যা। উল্টো নুরুল আলম আমার এক সর্মথক ধরে নিয়ে গেছে। খবর শুনে আমি আর বদি ভাই সেখানে যাই। সেখানে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।”
ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন আবদুর রহমান বদিও। তিনি বলেন, “কোনো ভাবেই গুলি ছোড়া হয়নি। তবে ঘটনার সময় দুইটি পটকার আওয়াজ শোনা গেছে।”
নুরুল আলমের অভিযোগের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কী-না জানতে চাইলে ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনী বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
