করোনাভাইরাস: মৃত্যু ছাড়াল আড়াই হাজার, শনাক্ত দুই লাখ ছুঁইছুঁই

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার ১৩২ দিনের মাথায় সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়ে গেছে, শনাক্ত রোগীর সংখা পৌঁছেছে প্রায় দুই লাখে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2020, 08:42 AM
Updated : 17 July 2020, 04:30 PM

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৫৪৭ জন।

গত এক দিনে আরও ৩ হাজার ৩৪ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৫৭ জনে।

আইইডিসিআরের ‘অনুমিত’ হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৭৬২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৭২৫ জন হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বৃহস্পতিবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তার ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।

প্রায় এক মাস পর মৃতের সংখ্যা ২০ এপ্রিল ১০০ ছাড়িয়েছিল। মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায় গত ২৫ মে। গত ১০ জুন মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। দেড় হাজার ছাড়িয়েছিল ২২ জুন।

প্রথম মৃত্যুর ৮৫ দিন পর ৫ জুলাই মৃতের সংখ্যা দুই হাজারের ঘর ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এরপর শুক্রবার তা আড়াই হাজারের ঘর ছাড়িয়ে গেল।

এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

মৃত্যুর সংখ্যায় বৃদ্ধি

সময় লেগেছে

০-৫০০ জন

২ মাস ৭ দিন

৫০০-১০০০ জন

১৬ দিন

১০০০-১৫০০ জন

১২ দিন

১৫০০-২০০০ জন

১৩ দিন

২০০০-২৫০০ জন

১২ দিন

৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পর তা দেড় লাখ পেরিয়ে যায় গত ২ জুলাই। সেদিন ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ।

এরপর মাত্র ১৫ দিনে আরও প্রায় ৫০ হাজার মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে দেশে।

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৪০ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৫ জনের এবং বাড়িতে থাকা অবস্থায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তাদের মধ্যে ১৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ জন রাজশাহী বিভাগের, ৬ জন বরিশাল বিভাগের, ৬ জন খুলনা বিভাগের, ৪ জন রংপুর বিভাগের এবং ৩ জন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

এই ৫১ জনের মধ্যে ২ জনের বয়স ৮০ বছরের বেশি। এছাড়া ১১ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

 

পুরনো খবর