শাহজাহান মিয়ার যে বার্তা সারাদেশে পৌঁছে দিয়েছিল গণহত্যার খবর

“বেইজ ফর অল স্টেশনস অব ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, কিপ লিসেন অ্যান্ড ওয়াচ, উই আর অলরেডি অ্যাটাকড বাই পাক আর্মি, ট্রাই টু সেইভ ইয়োরসেল্ভস, ওভার অ্যান্ড আউট।”

লাভলু পাল চৌধুরীনেত্রকোণা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2024, 04:49 AM
Updated : 26 March 2024, 04:49 AM

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, যার যা কিছু আছে তা নিয়েই শত্রুর মোকাবিলা করতে। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে কনস্টেবল শাহজাহান মিয়ার কাছে ছিল ওয়্যারলেস সেট।

সেই ওয়্যারলেস সেট দিয়েই একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে তিনি সারাদেশে পৌঁছে দিয়েছিলেন পাকিস্তানি বাহিনীর হামলা আর গণহত্যার খবর আর রাজারবাগে প্রথম প্রতিরোধের বার্তা, যাতে অন্যরা আগে থেকে হামলা মোকাবেলায় প্রস্তুত হতে পারে। 

বাঙালির স্বাধীনতার স্পৃহাকে স্তব্ধ করে দিতে ২৫ মার্চ রাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পরিকল্পিত গণহত্যা চালানো হয় ঢাকাজুড়ে। পাকিস্তানি বাহিনীর সেই সামরিক অভিযানের প্রধান তিনটি লক্ষ্যস্থলের একটি ছিল রাজারবাগ পুলিশ লাইনস। হানাদারের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধও সেখানেই।

সাড়ে তিন ঘণ্টার যুদ্ধে রাজারবাগের বাঙালি পুলিশ সদস্যরা সামান্য থ্রি-নট-থ্রি নিয়ে প্রাণপণে লড়ে যান ভারী অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। সেইরাতে শহীদ হন কমপক্ষে দেড়শ বাঙালি পুলিশ সদস্য।

কনস্টেবল শাহজাহান মিয়া তখন রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের কমিউনিকেশনস বেইজ স্টেশনের ওয়্যারলেস অপারেটর। ২৫ মার্চ রাতে যখন পাকিস্তানি বাহিনী রাজারবাগে হামলা করে, তখন তিনি ট্রান্সমিশনের দায়িত্বে।

রাতেই তার ওয়্যারলেস বার্তা পৌঁছে যায় সারাদেশে, সেখানে বলা হয়- “বেইজ ফর অল স্টেশনস অব ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, কিপ লিসেন অ্যান্ড ওয়াচ, উই আর অলরেডি অ্যাটাকড বাই পাক আর্মি, ট্রাই টু সেইভ ইয়োরসেল্ভস, ওভার অ্যান্ড আউট।”

১৯৪৭ সালে নেত্রকোণার বাট্টা গ্রামে শাহজাহান মিয়ার জন্ম। ১৯৬৯ সালে পুলিশে যোগ দেন কনস্টেবল হিসেবে, পরে এসআই পদে থেকে অবসরে যান ১৯৮৫ সালে।

এখন বয়সের ছাপ পড়েছে শরীরে। লেখালেখি আর পড়াশোনা করেই দিন কাটে শাহজাহান মিয়ার।

২৫ মার্চের কালরাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছিল তার সাক্ষী এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাপে সেই রাতের বিভীষিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ট্যাংক, কামান, মেশিনগান আর মর্টার নিয়ে আক্রমণ করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী।  

“আগে থেকেই এমন খবর কানে আসছিল যে আক্রমণ করবে। সে কারণে বাঙালিরা একত্রিত হই এবং রাত ৮টার দিকে আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করি, কীভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। সর্বপ্রথম আমরা রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের অস্ত্রাগারের দায়িত্বে থাকা মফিজ সাহেবের শরণাপন্ন হলাম এবং তার কাছে অস্ত্রাগারের চাবি চাইলাম।

“তখন তিনি অস্ত্রাগারের চাবি দিতে অস্বীকার করেন। আমরা জোর করেই তার কাছ থেকে চাবি ছিনিয়ে নেই। এরপর অস্ত্রাগার খুলে অস্ত্র এবং গোলাবারুদ আমাদের নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নেই।”

অস্ত্র পাওয়ার পর সবাই স্লোগান দিতে শুরু করেন- ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো- বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘তোমার আমার ঠিকানা- পদ্মা, মেঘনা যমুনা’। পুরো পুলিশ লাইনস তাদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।

শাহজাহান মিয়া বলেন, “অস্ত্র নিয়ে সবাই চারতলা ভবন, ব্যারাক, ছাদ, পুকুরপাড় আর দেয়ালের পাশে পজিশনে চলে যায়। অধিকাংশই চলে যায় মূল রাস্তার দিকে। একটি রাস্তা মালিবাগ-মগবাজার হয়ে তৎকালীন সময়ের পাকমোটর, বর্তমানে বাংলামোটর অভিমুখে দিকে চলে যায়। সেই রাস্তার একপাশের আড়ালে পজিশন নেন কয়েকজন।

“অন্যদিকে চামেলিবাগ হয়ে শান্তিনগর দিয়ে বেইলি রোড দিয়ে যে রাস্তাটি গেছে সেই রাস্তার একপাশে পজিশন নেয় কিছু সদস্য। বিশেষ করে চামেলিবাগের ডন হাইস্কুলের ছাদে (বর্তমানে ইস্টার্ন প্লাজা মার্কেট) আমাদের পুলিশের কয়েকজন পজিশন নেয়। রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়। ব্যারিকেড তৈরি করে পুলিশ ও জনতা মিলে, যাতে হানাদার বাহিনী সামনের দিকে এগোতে না পারে।”

ওয়্যারলেস অপারেটর মনিরকে নিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ হাতে প্রথমে বেইজ স্টেশনে চলে যান শাহজাহান মিয়া।

তিনি বলেন, “সেখানে গিয়ে জানার চেষ্টা করি কোথা থেকে কী ধরনের সংবাদ আসছে। তখন আমি বেইজ স্টেশনে ওয়্যারলেসের দায়িত্ব গ্রহণ করি। রাত সোয়া ১০টায় প্রথম সংবাদ পাই, তেজগাঁও এলাকায় আমাদের পেট্রোল বাহিনীর কাছ থেকে। সম্ভবত ওয়্যারলেস অপারেটর আমিরুল দেয়।

“তিনি প্রথম সংবাদ দেন, ৩৭টি ট্রাক ভর্তি পাকিস্তানি সেনা ঢাকা অভিমুখে ক্যান্টনমেন্ট থেকে রওয়ানা দিয়েছে। এই সংবাদ পাওয়ায় বুঝতে পারি, সেনারা চলে আসতেছে। তখন আব্দুল আলী নামের এক কনস্টেবল দৌড়ে গিয়ে পাগলা ঘণ্টা বাজিয়ে দেন।”

ঘণ্টা বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে যে যেখানে ছিলেন, সবাই ছুটে যান অস্ত্রাগারের দিকে। আরেকটি অস্ত্রাগার ভেঙে অস্ত্র এবং গোলাবারুদ নেওয়া হয়। তারাও তখন পজিশনে চলে যান। তার আগে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত লাল সবুজের পতাকা ওড়ানো হয়। মৃত্যু অবধারিত জেনেও সেদিন প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তোলেন শাহজাহান মিয়ার মত বাঙালি পুলিশ সদস্যরা।

তিনি বলেন, “তখন রাজারবাগের কোনো বাঙালি সদস্যই অস্ত্র, গোলাবারুদ আর যুদ্ধ ছাড়া অন্য কিছু বুঝে নাই। সবাই প্রাণপণ যুদ্ধ করার জন্য, নিজের জীবন বিসর্জন করার জন্য প্রস্তুত। কারণ, আমরা জানি, সামান্য থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল নিয়ে ওদের কামানের সামনে, ট্যাংকের সামনে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। আমাদের মৃত্যু অবধারিত। তার পরেও নিজের মনকে সাহসে পরিপূর্ণ করে দুর্বার গতিতে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রস্তুতি নেই।”

শাজাহান মিয়া বলেন, রাত পৌনে ১২টার দিকে পাকিস্তানি বাহিনীর বহরটি বেইলি রোড, শান্তিনগর অতিক্রম করে চামেলিবাগের ব্যারিকেডের সামনে পৌঁছায়।

“তখন সর্বপ্রথম ডন হাই স্কুলের ছাদ থেকে আমাদের পুলিশের লোকেরা তাদের দিকে নল উঁচিয়ে গুলি শুরু করে। স্বাধীনতার প্রথম গুলি নিক্ষেপ এটি। তারপর শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ। আমাদের থ্রি-নট-থ্রি রাইফেলের গুলি একটা-দুইটা করে চলছে। আর তাদের দিক থেকে হাজার হাজার গুলি, ট্যাংক আর কামানের গোলায় আকাশ-বাতাস কম্পমান। সারা শহরে যেন আগুনের ফুলকি উড়ছে। এখানে তারা অগ্রসর হতে পারেনি।”

কনস্টেবল শাজাহান মিয়া তখন ওয়্যারলেস বেইজ স্টেশনে বসে কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না।

“তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কথা মনে হল। তিনি বলেছিলেন, যার যা কিছু আছে তা নিয়েই শত্রুর মোকাবিলা করতে। তখন ভাবলাম, আমার কাছে ওয়্যারলেস সেট আছে। সব যোগাযোগ তখন বন্ধ। ওয়্যারলেসের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দিতে পারি আমরা আক্রান্ত। প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। তাৎক্ষণিকভাবে আমার বিবেক আসল।”

তিনি বলেন, “আমি একটা ওয়্যারলেস মেসেজ প্যাড নিলাম। একটা সংক্ষিপ্ত ইংরেজি বার্তা লিখলাম। বেইজ ফর অল স্টেশনস অব ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, কিপ লিসেন অ্যান্ড ওয়াচ, উই আর অলরেডি অ্যাটাকড বাই পাক আর্মি, ট্রাই টু সেইভ ইয়োরসেল্ভস, ওভার অ্যান্ড আউট... এই সংবাদটুকু আমি তাৎক্ষণিকভাবে পূর্বপাকিস্তানের সব জেলা, মহকুমা পর্যায়ে জানাতে পেরেছিলাম।”

থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল দিয়েই সেদিন পাকিস্তানি সেনাদের তিন ঘণ্টা আটকে রেখেছিলেন রাজারবাগের প্রতিরোধ যোদ্ধারা।   

শাহজাহান মিয়া বলেন, “রাত ২টার দিকে তারা ট্যাংক, কামান নিয়ে এসে গেইট ভেঙে ৪-৫টি ব্যারাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনের শিখা আকাশের দিকে উঠছে, আগুন যখন আমাদের দিকে ধাবিত হচ্ছে, সবাই এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করছে। ঠিক তখন পাকিস্তানি সেনারা পুলিশ সদস্যদের দিকে গুলি শুরু করে, আমাদের প্রায় ১৫০ পুলিশ শহীদ হন।

“তারপর পর্যায়ক্রমে তারা দখল করতে আরম্ভ করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস। কামানের মুখে আমাদের গাড়ির যে ওয়ার্কশপ ছিল, তা ধ্বংস হয়ে যায়। বিল্ডিংগুলো ঝাঁঝরা হয়ে যায়। রাত আড়াইটার দিকে ওরা রাজারবাগ পুলিশ লাইনস দখল করে নেয়।”

শাহজাহান মিয়া ও ওয়্যারলেস অপারেটর মনির সেই বার্তাটি পাঠানোর পর ছাদে অবস্থান নিয়েছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন আরও পাঁচজন।

তিনি বলেন, “আমাদের গুলি শেষ হয়ে যায় রাত ৩টার দিকে। আমাদের অবস্থান লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে আরম্ভ করলে আমরা আর ছাদে থাকতে পারিনি। ছাদের পানির ট্যাংকের নিচে আমরা আশ্রয় নিয়েছেলাম। পরে ফজরের আজানের সময় তারা ছাদে উঠে যায়। আমরা যারা ছিলাম, তাদের সবাইকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে। হকিস্টিক, রাইফেলের বাট দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আমাদের নিচে নামিয়ে আনে। প্রায় ১৫০ জনকে বন্দি করে তারা।

“আমাদেরকে এমনভাবে নির্যাতন করে যে, নাক-মুখ দিয়ে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। এই অবস্থায় আমরা পানি পানি করে চিৎকার করলেও দেয়নি। ওই সময়টা আমাদের জন্য ছিল কারবালার মত। ওই রাতে সেখানে ১৫০ জনকে হত্যা করা হয়। তাদের লাশ ট্রাকে উঠাইতে দেখেছি।”

শাহজাহান জানান, সেই রাতে দুজন শহীদ কনস্টেবল জাহাঙ্গীর ও সালাম আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছিলেন। দুইজনের লাশ দুই নম্বর গেইটের পাশে একই গর্তে পুঁতে রাখা হয়েছিল। রাজারবাগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অস্ত্রগুলো তুলে ট্রাকে করে ক্যান্টনমেন্ট নিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা। আর বন্দিদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়।

“তারপর ২৮ মার্চ বিকাল সোয়া ৩টায় ঢাকা জেলার এসপি এসে আমাদেরকে তার জিম্মায় নেন। শরীরের এই অবস্থা নিয়েই ৩০ মার্চ ঢাকা থেকে হেঁটে কিশোরগঞ্জে পৌঁছাই। তারপর যোগ দিই মুক্তিযুদ্ধে।” 

আরও পড়ুন:

হাজং কিশোর ধীরেন্দ্র মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণে যান পরিবারকে না জানিয়ে  

‘কবরস্থানে সারারাত লাশের সঙ্গে অস্ত্র নিয়ে শুয়ে ছিলাম; ভয় লাগেনি’

চাঁদপুরের ‘বড়স্টেশন মোলহেড’: বিনোদনকেন্দ্র পরিচয়ে চাপা পড়েছে গণহত্যার ইতিহাস

মুক্তিযুদ্ধে নড়িয়া-পালং: গ্রামের পথে পথে পড়েছিল মৃতদেহ

১৯৭১: ৫৩ বছর ধরে শরীরে গুলি বইছেন রাশিদা

পাকিস্তানিদের আতঙ্ক হয়ে উঠেছিল ‘পলাশডাঙ্গা যুব শিবির’

মুক্তিযুদ্ধে আতাইকুলা: চোখের সামনে স্বামী-সন্তানকে হত্যা, শোকগ্রস্ত নারীদের ধর্ষণ

টাঙ্গাইলে মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘর: যেখানে ‘ইতিহাস কথা কয়’ 

মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিতে আদমজীর ‘যমঘর’

‘ময়না প্রতিরোধ যুদ্ধের’ পর পুরো নাটোর হয়ে ওঠে ‘বধ্যভূমি’

শূন্যরেখা ঘেঁষা নাকুগাঁও বধ্যভূমি, বিলীনের পথে গণহত্যার স্মৃতি

বিলোনিয়া যুদ্ধ: ইতিহাস ‘জানে না’ শিক্ষার্থীরা, নেই উদ্যোগও

১৯৭১: বহলায় একসঙ্গে ৪২ জনকে হত্যা করে হানাদাররা

১৯৭১: কাইয়ার গুদামে হত্যার পর লাশ ফেলা হত কুশিয়ারায়

Also Read: একাত্তরে ‘হারানো’ বাবার খোঁজে ৫৩ বছর

Also Read: হাবিবুর রহমানের বীরত্বগাথা নতুন প্রজন্ম জানবে কীভাবে?

Also Read: ১৯৭১: অসম যুদ্ধ, তবু মার খেয়ে ট্যাংক নিয়ে পালিয়ে যায় পাকিস্তানিরা

Also Read: বাবুর পুকুর গণহত্যা: মেলেনি স্বীকৃতি-ভাতা, ভেঙে পড়ছে স্মৃতিস্তম্ভ

Also Read: ‘সদ্য বাবা হলে যে আনন্দ, বিজয়ের খবর ছিল তার চেয়েও আনন্দের’

Also Read: রাজাকারে ধরে নেয় দুই ভাইকে, তাড়নায় যুদ্ধে যান ১৩ বছরের স্বপন

Also Read: ১৯৭১: তীর-ধুনক নিয়েই রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও

Also Read: ১৯৭১: পানপট্টির সম্মুখ যুদ্ধে মুক্ত হয়েছিল পটুয়াখালী

Also Read: জরাজীর্ণ গ্রন্থাগার-জাদুঘর, বীরশ্রেষ্ঠকে ‘স্মরণ’ কেবল মৃত্যুদিনে

Also Read: একাত্তরে বরগুনা কারাগার হয়ে ওঠে গণহত্যা কেন্দ্র

Also Read: কুমার নদে গাড়াগঞ্জ যুদ্ধ: ফাঁদে ফেলে হত্যা করা হয় ৮০ হানাদারকে

Also Read: ৬৩ জনের গণকবর লুপ্ত, স্মৃতি বলতে ‘মানকচু’

Also Read: মুক্তিযুদ্ধে ডাকরায় ছয় শতাধিক হিন্দুকে হত্যার স্মৃতি তাড়া করে আজও