১৯৭১: ৫৩ বছর ধরে শরীরে গুলি বইছেন রাশিদা

নেত্রকোণার দুটি গ্রামে সেদিন বেশকিছু মানুষকে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।

লাভলু পাল চৌধুরী নেত্রকোণা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2024, 03:47 AM
Updated : 20 March 2024, 03:47 AM

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকেই নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় হানা দেয় পাকিস্তানি সেনারা। সেদিন উপজেলার চিথোলিয়া ও গোপালাশ্রম গ্রামে রাজাকারদের সঙ্গে করে ভরদুপুরে তাণ্ডব চালায় তারা।

সেদিন অগ্নিসংযোগ, লুটপাট আর মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছিল পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা। এ সময় জীবন বাঁচাতে পালাতে গিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে অনেকে শহীদ হন; আহত হন আরও অনেকে। গুলিতে আহতদের একজন গোপালাশ্রম গ্রামের রাশিদা আক্তার।

সেদিনের ২০ বছরের গৃহবধূ রাশিদা এখন ৭৩। পাকিস্তানি বাহিনীর ছোড়া গুলি তার পিঠের ডান পাশে কাঁধের নিচে লাগে। সেই গুলি আর বের করা যায়নি। ৫৩ বছর ধরেই রাশিদা নিজের শরীরে সেই গুলি বহন করে চলেছেন। এর প্রভাবে অসহনীয় ব্যাথার পাশাপাশি ডান চোখেও দেখতে পান না তিনি। আর্থিক অসচ্ছলতায় ন্যূনতম চিকিৎসাও জুটেনি তার।

জীবনের শেষ প্রান্তে এসে শরীরের ভেতরে থাকা গুলির ধকল আর সইতে পারছেন না বলে বৃদ্ধা রাশিদা আক্তার ও তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

সেদিনে ঘটনা

যুদ্ধ সবে শুরু। বাংলার ১৩৭৮ সালের ৭ ভাদ্র, দুপুরবেলা। উপজেলার চিথোলিয়া পাল বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে পাশের গোপালাশ্রম গ্রামে হানা দেয় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস বাহিনীর সদস্যরা।

সেখানেও নির্বিচারে চালায় গুলি, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ হত্যাযজ্ঞ। গুলিতে চিথোলিয়া গ্রামের আশুতোষ পাল চৌধুরীসহ দুই গ্রামের সাতজন শহীদ হন। আরও ১৫ জনের মতো আহত হন।

গোপালাশ্রম গ্রামের দিনমজুর মৃত মারফত আলীর ২০ বছর বয়সি স্ত্রী রাশিদা আক্তারও গুলিবিদ্ধ হন। সেদিন আহতদের মধ্যে একমাত্র রাশিদা আক্তারই বেঁচে আছেন।

দুই গ্রামে সাতজনকে হত্যা

সেদিন হানাদার বাহিনীর তাণ্ডব চোখের সামনেই দেখেছিলেন গোপালাশ্রম গ্রামের বাসিন্দা আবুল হাশেম। তিনি বলেন, এক পর্যায়ে মিলিটারি বাড়ির সামনে এগিয়ে আসছিল। তখন তিনি বাড়ির পিছনের জঙ্গলের ভেতরে আড়ালে চলে যান। সেখান থেকেই লুকিয়ে দেখেন সব।

আবুল হাশেম বলেন,বেলা ১২টা, সাড়ে ১২টা হবে। মিলিটারি চিথোলিয়া গ্রামে ঢুকে পাল বাড়িতে আগুন দেয়। মিলিটারি আইতাছে জাইন্যা যে যেভাবে পারে জীবন বাঁচানির লাইগ্যা দৌড়াদৌড়ি কইর‌্যা বাড়িঘর ছাইড়া যাইতাছিল। পাশেই গোপালাশ্রম গ্রাম। এইহানেও মিলিটারি বাড়িঘরে আগুন লাগায়।

“এরার সাথে এলাকার কিছু দালাল লোক আছিল। আগুন লাগাইছে, লুটতরাজ করছে। আর সমানে গুলি চালাইছে। দুই গ্রামের মানুষ গোপালাশ্রম গ্রামের সামনের চরকান্দি পাড়ায় জড়ো হইছে। এইহান থেইক্যা নাও (নৌকা) দিয়া বিভিন্ন দিকে গেছে। এর মধ্যেই গুলিতে সাতজন মারা গেছেন। কমছে-কম ১৫ জন গুলিতে জখম হইছে।”

তিনি বলেন, “এই সময় বাড়ি ছাইড়া যাওনের লাইগ্যা রাশিদা আক্তারও নাওয়ের মধ্যে উঠছে। তহনই একটা গুলিতে নাওয়ের মাঝি মারা যায়। আরেকটা গুলি লাগে রাশিদা আক্তারের ডান হাতের উপর দিকে। এইবায় কয়েক ঘণ্টা তাণ্ডব চালাইয়া পরে হেরা গ্রাম ছাইড়া গেছে।”

‘নৌকায় খালি রক্ত আর রক্ত’

ঘটনার দিন রাশিদার স্বামী মারফত আলী শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। সন্তানদের নিয়ে রাশিদা বাড়িতে একাই ছিলেন।

সেদিনের কথা মনে করে রাশিদা বলেন, “গুলাগুলি শুরু হইছে। আমার চাচা শ্বশুর বাড়িতে আছিল। তিনি কইছে, বেহেই যাইতাছেগা, তুমি বাড়ি থাইক্যা কী করবা। হেরার সাথে তুমিও যাওগা। আমি কইলাম, কই যায়াম (যাব)। তহন কইলো, বাড়ির সামনে দিয়া ক্ষেতের পাশে দিয়া নামো গা। মনাং গ্রামে যাওগা। পরে আমি বাড়ি ছাইড়্যা বাচ্চারে কোলে লইয়া নামছি।

“যাওনের পথে একটা ক্ষেতের পাশে বড় গর্তে পইড়া গেছিগা। গর্তের মধ্যে পানি আছিল। এর মধ্যে বাচ্চারে লইয়া পড়ছি। পরে চাচা শ্বশুর দেইখ্যা আমারে টাইন্যা তুলছে। বাচ্চা পানি খাইয়া পেট ফুলে গেছে। এই সময় মনাং থেইক্যা একটা নৌকা হাওর পারি দিয়া গ্রামের সামনে আইছে। এই নৌকার মধ্যে আমার জা, চাচি শাশুড়ি উঠছে। আরও মানুষ উঠছে। আমার চাচা শ্বশুর বাইয়া নিতাছে।”

রাশিদা আরও বলেন, “কিছুক্ষণ যাইতেই আমরার নৌকায় গুলি করছে। এই সময় আমার চাচা শ্বশুরের শরীরে গুলি লাগলে নৌকা থেইক্যা ছিইটক্যা পানিতে পইর‌্যা গেছেগা। এই সময় আমার হাতের উপরের দিকটায় গুলি লাগে। পয়লা বুঝতাম পারছি না। পরে কল-কলায়া রক্ত পড়া শুরু হইছে। নৌকাডার ভেতরে খালি রক্ত আর রক্ত।

“কিছুক্ষণ পরেই আমি বেহুশ (অজ্ঞান) অইয়া পড়ছি। মনাং গ্রামের মানুষ দূর থেইক্যা দেইখ্যা পরে তারা আইয়া আমরারে নিছে। সন্ধ্যার দিকে কেন্দুয়ার আদমপুর হাসপাতালে নিছে। হেইহানে কোনো ডাক্তার নাই। হাসপাতালে তালা দিয়া হেরা গেছেগা। ময়মনসিংহ নিয়া গেছে। হেইখানেও ডাক্তার নাই। হাসপাতালে অন্য দুইজন আছিল। হেরা একটু-আধটু চিকিৎসা জানে।”

তিনি বলেন, “হেরা কইতাছে অহন গুলি বাইর করণ যাইতো না। সংগ্রামের পরে বাইর করণ লাগবো। হেরাই সিলাই কইর‌্যা কিচু ওষুধ দিয়া দিছে। গুলির জাগাটা শুকাইছে। দেড় মাস পড়ে ডাইন চোখটা নষ্ট হয়ে গেছে। অহন কিচ্ছুই দেখতাম পারি না। এরপরে থেইক্যা কোনো কাজ-কাম করতাম পারি না। অহনও সব সময় ব্যাথা থাকে।

“মাঝে মাঝে বেশি ব্যাথা হয়। তহন সহ্য করতাম পারি না। গরিব মানুষ আমরা। ভালা চিকিৎসা করাইতাম পারছি না। ব্যাথা উঠলে ব্যাথা কমানোর বড়ি খাই। এইবায় চলতাছি।”

সরকারি কোনো সাহায্য পেয়েছেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে রাশিদা বলেন, “না, এই নাগাদই কিছু পাইছি না। কোনো ভাতাও পাইছি না। কোনো চিকিৎসাও না। কত মানুষে চেষ্টা করতাছে। সাংবাদিকরা নিতাছে। কেউই কিছু করতে পারছে না। সরকারে দেখে না। আপনেরা কী আর করবাইন।”

এ সময় তিনি অনেকটা অভিমানের সুরে বলেন, “আর কয়দিন বাঁচবো। অহন আল্লাহর হুকুমের লাইগ্যা আছি। হুকুম করবো, যাইয়ামগা (চলে যাব)। যেইবায় চলতাছি এইবায়েই যেন মইর‌্যা মাটির তলে যাইতাম পারিগা। কেউ কোনো সহযোগিতা করছে না। আমার ছেলেই ঋণ করে, আর যা করে যতটুকু পারে আমারে দেখতাছে। এই কারণেই বাইচ্যা রইছি। নাইলেতো আরো আগেই গেলামগায় (চলে যেতাম)।”

বয়সের ভারে ন্যূজ্ব রাশিদা বেগম আকুতি জানিয়ে বলেন, “সরকারের যদি মন চায় আমারে বুড়া মানুষরে যদি দয়া করে কিছু টাকা-পয়সা দেউক। আমি যতদিন থাকি বাইচ্যা ততদিন একটু ভালামতন চলতাম পারি।”  

‘পয়সার কারণে চিকিৎসা করতাম পারছি না’

টাকার অভাবে চিকিৎসা হয়নি। শরীরের ভেতরে রয়ে যাওয়া গুলিটির কারণে প্রায় সময়ই অসহনীয় ব্যাথায় কাতর হয়ে যান রাশিদা আক্তার। ব্যাথানাশক ওষুধ খাইয়ে কোনো রকমে দিন পার করছেন তিনি।

সুচিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছেন রাশিদার পরিবারের সদস্যরা।  

রাশিদার মেয়ে রহিমা আক্তার বলেন, “আমার আম্মা বড়ভাইরে কোলে নিয়া বাড়ি থেইক্যা দৌড়াইয়া গিয়া নৌকার মধ্যে উঠছে। তহন আম্মার শরীরে গুলি লাগছে। তহন নাওয়ের মধ্যে ঢইল্যা পইর‌্যা গেছেগা আম্মা। পরে অন্যরা আরেক গ্রামে নিয়া গেছে। মা তহনও অজ্ঞান। পরে মময়মনসিংহ নিছে চিকিৎসার লাইগ্যা।

“ট্যাহার লাইগ্যা হেইহানে পুরা চিকিৎসা করতে পরছে না। হালকা একটু চিকিৎসা করাইছে। গুলিতে যে ছিদ্র হইছে ওই জাগাটা সিলাই কইর‌্যা লইয়া আইয়া পড়ছে। আমার বাপের ট্যাহা আছিল না। ট্যাহা থাকলেতো আম্মার চিকিৎসাটা অইতো। এই পর্যন্তই চিকিৎসাটা করতে পারছি না। ব্যাথা আইয়ে। ব্যাথার জ্বালায় ঘরের অন্য মানুষও ঘুমাইতে পারে না। দিন-রাইত ব্যাথা। খুব বেশি ব্যাথা।”

তিনি বলেন, “আমার ভাইয়ানও গরিব মানুষ। নিজের সন্তানরারেই খাওয়ায়া পারে না। চিকিৎসা কী করাইবো। ১০ ট্যাহা, ৫ ট্যাহার বড়ি আইন্যা খাওয়ায় এইভাবেই চলতাছে। খালি ব্যথাটা থামায়া রাহে। অহন সরকারে যদি একটু চিকিৎসাডা করায়া দিতো তাইলে মরণের আগে দুনিয়াতে একটু শান্তি পাইয়া যাইতো।

“সংগ্রামের পর থেইক্যা মার খালি অশান্তি। ঠিকমতো খাইতে পারে না। তার সবসময় ভিতরে একটা যন্ত্রণা। সব সময় একটা জ্বর থাহে। একবার খাইলে আরেকবার খায় না।”

রাশিদার ছোট ছেলে ইছহাক মিয়া বলেন, “চেষ্টাতো করছি। চিকিৎসা কিবায় করায়াম। আমরা গরিব মানুষ। পয়সার কারণে চিকিৎসা করতাম পারছি না। আম্মা আর কয়ডাদিন বাঁচব। যে কয়ডা দিন বাঁচবো তাও যদি একটু আরাম কইর‌্যা যাইতে পারতো। সরকার যদি একটু দেখতো।”

রাশিদার বড় ছেলে কাঞ্চন মিয়া বলেন, “আমরার সাধ্যমতন চেষ্টা কইর‌্যা যাইতাছি। আমরারতো আর ক্ষমতা নাই। কোনো মতে সংসারটা টাইন্যা যাইতাছি। আম্মার চিকিৎসাই কইন আর একটু ভাল মতোন রাহন, একটু ভালা খাবার-দাবার কোনোডাই যোগানির ক্ষমতা নাই আমরার। এইবায়েই চলতাছে। কেউ যদি আগায়া আইতো তাইলে আম্মা যে কয়ডা দিন বাঁচে একটু ‌ভালামতন চইর‌্যাফিইর‌্যা যাইতে পারতো।” 

‘ছররা গুলি ভেতরে থাকতে পারে’

এলাকাবাসীও চান একাত্তরে আহত এই বৃদ্ধার সুচিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার।

গোপালাশ্রম গ্রামের বাসিন্দা মো. শহীদ মিয়া বলেন, জীবন সায়া‎হ্নে এসেও সেদিনের বিভীষিকাময় ঘটনা রশিদাকে প্রতিনিয়ত তাড়িয়ে বেড়ায়। বর্তমানে শারীরিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে উন্নত চিকিৎসা দরকার।

মুক্তিযুদ্ধে আহত রশিদা আক্তারের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা সরকার করুক, সরকার তার দায়িত্ব নিক এটা চাওয়া বলে জানান তিনি।

নেত্রকোণা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় সাধারণত পাকিস্তানি সেনারা যে বন্দুক ব্যবহার করতো তা হচ্ছে,  থ্রি নট থ্রি এবং বড় রাইফেল। এসব বন্দুকের গুলি তো অনেকটা বড়। এ ধরনের গুলি থাকলে এতোদিনে হাতটা নষ্ট হয়ে যেত।

“তবে শটগানের ছররা গুলি ভেতরে থাকতে পারে। অনেক সময় এ গুলি থেকে গেলেও ক্যান্সারের মত সমস্যার সৃষ্টি নাও হতে পারে। এই জাতীয় গুলি থাকতে পারে।” 

আরও পড়ুন:

পাকিস্তানিদের আতঙ্ক হয়ে উঠেছিল ‘পলাশডাঙ্গা যুব শিবির’

মুক্তিযুদ্ধে আতাইকুলা: চোখের সামনে স্বামী-সন্তানকে হত্যা, শোকগ্রস্ত নারীদের ধর্ষণ

টাঙ্গাইলে মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘর: যেখানে ‘ইতিহাস কথা কয়’ 

মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিতে আদমজীর ‘যমঘর’

‘ময়না প্রতিরোধ যুদ্ধের’ পর পুরো নাটোর হয়ে ওঠে ‘বধ্যভূমি’

শূন্যরেখা ঘেঁষা নাকুগাঁও বধ্যভূমি, বিলীনের পথে গণহত্যার স্মৃতি

বিলোনিয়া যুদ্ধ: ইতিহাস ‘জানে না’ শিক্ষার্থীরা, নেই উদ্যোগও

১৯৭১: বহলায় একসঙ্গে ৪২ জনকে হত্যা করে হানাদাররা

১৯৭১: কাইয়ার গুদামে হত্যার পর লাশ ফেলা হত কুশিয়ারায়

বাবুর পুকুর গণহত্যা: মেলেনি স্বীকৃতি-ভাতা, ভেঙে পড়ছে স্মৃতিস্তম্ভ

‘সদ্য বাবা হলে যে আনন্দ, বিজয়ের খবর ছিল তার চেয়েও আনন্দের’

রাজাকারে ধরে নেয় দুই ভাইকে, তাড়নায় যুদ্ধে যান ১৩ বছরের স্বপন

১৯৭১: তীর-ধুনক নিয়েই রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও

১৯৭১: পানপট্টির সম্মুখ যুদ্ধে মুক্ত হয়েছিল পটুয়াখালী

জরাজীর্ণ গ্রন্থাগার-জাদুঘর, বীরশ্রেষ্ঠকে ‘স্মরণ’ কেবল মৃত্যুদিনে

একাত্তরে বরগুনা কারাগার হয়ে ওঠে গণহত্যা কেন্দ্র

কুমার নদে গাড়াগঞ্জ যুদ্ধ: ফাঁদে ফেলে হত্যা করা হয় ৮০ হানাদারকে

৬৩ জনের গণকবর লুপ্ত, স্মৃতি বলতে ‘মানকচু’

মুক্তিযুদ্ধে ডাকরায় ছয় শতাধিক হিন্দুকে হত্যার স্মৃতি তাড়া করে আজও