সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের জরাজীর্ণ এই গুদাম দেখে বোঝার উপায় নেই মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস এখানে কীভাবে মানুষকে হত্যা ও নির্যাতন করা হয়েছে।
Published : 11 Mar 2024, 10:07 AM
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সদরে ‘কাইয়ার গুদামে’র সামনের সড়কটি পার হলেই কুশিয়ারা নদী। নদীর এমন অবস্থান যেন মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যাযজ্ঞ চালানো সহজ করে দিয়েছিল পাকিস্তানি সেনাদের।
ধরে এনে নদীর পাশে কাঠের তক্তায় দাঁড় করিয়ে গুলি চালানোর পর সহজেই লাশ ভাসিয়ে দেওয়া যেত কুশিয়ারায়। গুদামের টর্চার সেলে যদি কেউ মারা পড়তেন তারও পরিণতি হত একই।
এভাবেই মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস কাইয়ার গুদামে ক্যাম্প করে থাকা পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করেছে শত-শত মুক্তিকামী বাঙালিকে।
তবে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার হয়ে গেলেও বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি মিলেনি কাইয়ার গুদামের। এ নিয়ে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ও সচেতন মহলের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের পাশে থাকায় গুদামের সামনে বসেই মাছ বিক্রয় করছেন বিক্রেতারা। তাদের পেছনে উল্টো হয়ে পড়ে আছে একটি ভাঙা সাইনেবোর্ড। বিবর্ণ বোর্ডটিতে লেখা আছে- ‘কাইয়ার গুদাম, ’৭১ এর বধ্যভূমি। ’
এ ছাড়া পুরো গুদামের কোথাও নেই কোনো মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন। তবে নদীর পাড়ে স্থাপন করা হয়েছে ছোট একটি স্মৃতিস্তম্ভ।
আর গুদামের উত্তর দিকে দাঁড়িয়ে আছে একটি শিমুল গাছ। মহীরুহ হয়ে উঠা এই গাছেই মুক্তিযুদ্ধের সময় কাঠের তক্তা বেঁধে তৈরি করা হয়েছিল ওয়াচ টাওয়ার। যেখানে অস্ত্র হাতে বসে পাহারা দিত পাকিস্তানি সেনারা।
বর্তমানে আধা পাকা টিনের গুদামটির সামনের একটি কক্ষ ব্যবহার করা হচ্ছে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় হিসেবে। বাকি রুমগুলো তালাবদ্ধ।
তালাবদ্ধ দরজাগুলোও হয়েছে নরম; ভেতরে ঢোকার কোনো ব্যবস্থা নেই। দরজার ফাঁক দিয়ে দেখা গেছে ময়লা-আর্বজনার স্তূপ। দীর্ঘদিন ধরে কোনো সংস্কার কাজ না হওয়ায় দেওয়ালে পড়েছে কালো ছাপ।
জরাজীর্ণ এই গুদাম দেখে মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস এখানে চলা হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের মাত্রা বোঝার কেনো উপায় নেই।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রাজনপুর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি সৈয়দ আমিনুর রশিদ মুকুল বলেন, সেখানে (কাইয়ার গুদামে) অনেক পুরুষ ও নারীকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।
“স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় ফেঞ্চুগঞ্জের অসংখ্য মানুষকে ধরে এনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কাইয়ার গুদামে নির্যাতন করতো। নির্যাতনে কেউ মারা গেলে অথবা কাউকে গুলি করে মেরে লাশ কুশিয়ারা নদীতে ভাসিয়ে দিত।”
গুদামেই নির্যাতিত হওয়া এই বৃদ্ধ বলেন, “মুক্তিযোদ্ধা (মুক্তি) সন্দেহে একাত্তরের সম্ভবত জুলাই/অগাস্ট মাসে আমাকে ধরে নিয়ে আসা হয় কাইয়ার গুদামে। দুদিন চলে টর্চার। হান্টার (এক ধরনের চাবুক) দিয়ে মারার ফলে আজও আমি বাঁ কাঁধ ও হাতে শক্তি পাই না।”
একই গ্রামের কবি মফজ্জিল আলী বলেন, “আমার মামা ইজ্জত আলী শাহ, মায়ের চাচাতো ভাই রবিউল ইসলাম শাহ, খালাতো ভাই নাসিরুদ্দিন রতন, কলা মিয়াসহ এলাকার আরও কয়েকজন মানুষকে পাকিস্তানিরা ধরে আনে কাইয়ার গুদামে। অনেক টর্চার করছে পাকিস্তানি হানাদারেরা।
“ওরা (পাকিস্তানিরা) বলত, ‘তোদের আমরা গুলি করে মারব না। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই তোরা ধুঁকে ধুঁকে মরবি’। তাই হয়েছিল। আমার মামাও তেমনি কয়েক মাসের মধ্যে মারা যান।”
তিনি আরও বলেন, “ফেঞ্চুগঞ্জ যেদিন মুক্ত হয়; সেদিন ১১ ডিসেম্বর। সকালে মুক্তিবাহিনীর লোকজন ও এলাকার মানুষসহ প্রথম কাইয়ার গুদামে ঢুকি। প্রথম রুমে দেখি মেঝেতে রক্ত জমাট। পেছনে একটা ছোট ড্রেন ছিল। সেটা ছিল মানুষের রক্তে ভর্তি। রক্ত আর মাছিতে ভরা আরেকটি বড় ড্রেনে অনেক মানুষের হাড় পাওয়া গেছে।”
‘মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যাবে না রক্তের গন্ধ’
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সদরের পাশে মোমিনপুর গ্রামের বাসিন্দা আজমল হোসেন রউফ মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন ১৭ বছরের তরুণ। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে মৌলভীবাজারের রাজনগর ও কুলাউড়ায় ছিলেন। সেখানে যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি আহত হন।
পরে ভারতের কৈলা শহরে গিয়ে পায়ে অস্ত্রোপচার করান। তখন দুই মাস বিশ্রামে থাকেন তিনি। সুস্থ হয়ে ফের যুদ্ধে লেগে যান।
যুদ্ধাহত এই বীর মুক্তিযোদ্ধা সেই সময়ের স্মৃতি রোমন্থন করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গ্রুপ কমান্ডার মাসুদ মিয়ার নেতৃত্বে যুদ্ধ করতে করতে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ঘোষণার আগের দিন রাতে তাদের দল গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ এলাকায় আসেন। পরদিন সকাল ৮টায় দেশ স্বাধীন হয়েছে- ঘোষণা শুনে ঢাকা দক্ষিণ থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ আসেন তারা।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছাতকের মুক্তিযোদ্ধা গৌছ, গোলাপগঞ্জের আহাদ, ফেঞ্চুগঞ্জের আব্দুল হামিদ। তারা চারজন ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারে আসার পর বিভিন্ন জনের সঙ্গে দেখা করেন। তারপর কাইয়ার গুদামে প্রবেশ করেন তিনিসহ অন্য মুক্তিযোদ্ধারা।
আজমল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা কাইয়ার গুদামে ঢুকতেই ভয় পাচ্ছিলাম। তখন গৌছ ভাই বললেন- চল দেখি ভেতরে কী। যে রুমে টর্চার করা হত, সেখানে প্রবেশ করে মেঝেতে পা পড়তেই পা আটকে যায়। ঘরটি ছিল অন্ধকার। আমার পায়ে থাকা ইন্ডিয়ার জঙ্গলি বোট জুতায় আঠার মতো কিছু লেগে আছে।
“পরে বাতি জ্বালিয়ে দেখি ঘরের মধ্যে রক্ত আর রক্ত। তাজা রক্তও দেখা গেছে। আর জমে থাকা রক্তের গন্ধ। দেয়ালে রক্তমাখা হাতের ছাপ, রশি বাঁধা ছিল। পরে আমরা বের হয়ে দেখি জুতার তিন ইঞ্চি পর্যন্ত রক্ত লেগে আছে।”
এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, “এই রক্তের গন্ধ যেন আমার নাকে এখনও লেগে আছে। এখনও খেতে বসে এখানকার ঘটনা মনে পড়লে আমার খাওয়া হয় না। আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ গন্ধ যাবে না।”
এ সময় তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “স্বাধীনতার এত বছর পরও কাইয়ার গুদামকে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এখনও নির্মাণ করা হয়নি শহীদের স্মৃতি রক্ষার্থে কোনো চিহ্ন।
“পুরো কাইয়ার গুদাম ছিল দুই কিয়ার জায়গা নিয়ে, বর্তমানে অনেক জায়গা বেদখল হয়েছে। মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করে একাই গিয়ে কাইয়ার গুদামের সবকিছু ভেঙে ফেলি। তবে এখন মন চাইলেও শরীর সায় দেয় না।”
এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, “মরার আগে দেখে যেতে চাই, কাইয়ার গুদামকে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে; শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে স্থাপনা নির্মাণ করা হোক।”
একসঙ্গে তুলে নেওয়া হয় দুই বোনকে
মোমিনপুর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা বীরাঙ্গনা খোদেজা বেগম ও মনু বেগম দুই বোন। একাত্তরে বিয়ের উপযুক্ত বয়সী এই দুই নারীকে রাজাকারদের সহযোগিতায় ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা। এরপর তাদের তিনদিন কাইয়ার গুদামে আটকে রেখে চালায় নির্যাতন।
যুদ্ধের এত বছর পর এই নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে দুই বোনের মুখে ফুটে উঠে বিষাদের ছায়া। যন্ত্রণার স্মৃতিতে চোখে পানি টলমল করছিল তাদের।
খোদেজা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নির্যাতনের কথা আর কী বলব, বাবা। আমাদের মেরে মরার মতো ফেলে রাখত, খাবারও দিত না। কাঁদলেই রাইফেল দিয়ে মারত। শরীরের বিভিন্ন স্থানে বন্দুকের বেয়নেট দিয়ে গুঁতা দিছে।”
আরেক বোন মনু বেগম বলেন, “কাইয়ার গুদামে অনেক পাকিস্তানি ছিল। তারা মানুষদের ধরে নির্যাতন করত। ধরে নেওয়া মানুষদের মেরে আধমরা করে ফেলে রাখত গুদামের ভেতরে। গুদামের ভেতরে অনেক নারীরাও ছিল। পরে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের উদ্ধার করেন।”
‘অনেক কথা আছে, বলতে পারি না’
একই উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা বীরাঙ্গনা লাইলি বেগম যুদ্ধের সময় নবম শ্রেণিতে পড়তেন। তাকেও তুলে নেওয়া হয়েছিল কাইয়ার গুদামে।
নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “অনেক কথাই মনে আছে; কিন্তু সব কথাই বলতে পারি না। বর্তমানে নির্যাতনের কথা বলতে লজ্জা লাগে, ভয়ও লাগে। তবে কাইয়ার গুদামের পাশ দিয়ে গেলেই বুকের ভেতরটায় শুরু হয়ে যায় পুরোনো দিনের স্মৃতি। মনে পড়ে যুদ্ধদিনের কথা।”
“আমার দেহের বিভিন্ন স্থানে এখনও নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। বেয়নেট দিয়ে পাঞ্জাবিরা গুঁতা দিত।
“একদিন শারীরিক নির্যাতনের পরে অজ্ঞান হয়ে যাই। তখন আমারে মরা ভেবে ফেলে দেয় মাইজগাঁও রেল স্টেশনের পাশে। তারপর হাসপাতালে দুই মাস চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হই।”
তিনি বলেন, “রাজাকার আর শান্তি কমিটির লোকেরা কিছু সময় পর পর গুদামে আসা-যাওয়া করত। কাইয়ার গুদামের বড় বড় বাঙ্কার ছিল। সেখানে ধরে নিয়ে রাখা হত শত শত যুবতীদের। স্বাধীনের পর কয়েকশ নারীকে বের করা হয়েছিল গুদাম থেকে।”
এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, “কাইয়ার গুদামে আমার চাচাসহ শত শত লোককে গুলি করে লাশ কুশিয়ারা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে সড়ক পথে, নদী পথে মানুষদের ধরে আনা হত গুদামে।
“আমার চাচাকে প্রথম ধরে নেওয়ার পর কাইয়ার গুদামে টর্চার করা হয়েছিল। পরদিন নদীর পাড়ে কাঠের তক্তায় দাঁড় করিয়ে গুলি করে লাশ কুশিয়ারা নদীতে ফেলে দিয়েছে।”
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “দেশ স্বাধীন হইছে অনেক বছর হয়ে গেছে; কিন্তু কাইয়ার গুদামে কিছু হয়নি। নির্যাতনের ইতিহাস আমরা মারা গেলেই শেষ, কেউ মনে রাখবে না।”
‘মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতার অবসান হোক’
ফেঞ্চুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দীন ইসকা বলেন, “ফেঞ্চুগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন থানা থেকে লোকজনকে কাইয়ার গুদামে এনে নির্মম নির্যাতন শেষে হত্যা করা হত।
“গুদামের সামনে দিয়ে বয়ে যাওয়া কুশিয়ারা নদীতে লাশগুলো ফেলে দেওয়া হত। তাই এখানে কত শত মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতাকামী মানুষকে হত্যা করা হয়েছে তার পরিসংখ্যান পাওয়া অসম্ভব।”
তিনি বলেন, “কাইয়ার গুদাম বধ্যভূমি সংরক্ষণের জন্যে সরকারি সিদ্ধান্ত থাকলেও বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্যে বলা হয়েছে, কাইয়ার গুদামের একাংশে সরকারি খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস আছে।
“প্রায় ১১ শতক ভূমিতে অবস্থিত এই কাইয়ার গুদামকে বধ্যভূমি হিসেবে সংরক্ষণ করার দাবি উপেক্ষা বা কালক্ষেপণ করার অবকাশ নেই। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতার অবসান হোক।”
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ জুবেল বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ২০১৬ সালে কাইয়ার গুদামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল।
“কিন্তু এখনও এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি; যা আমাদের হতাশ করেছে। গুদামের অনেক জায়গা বেদখল হয়ে গেছে।”
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কাইয়ার গুদামে নিহত শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে এটাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এখানে স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার, লাইব্রেরি, সেমিনার হল, মিউজিয়াম নির্মাণ, নিহত শহীদদের তালিকা ও রাজাকারদের তালিকা টাঙানো দাবি জানাই।
“আমাদের এলাকার পরবর্তী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানোর জন্য কাইয়ার গুদামকে দ্রুত স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানাই সরকারের কাছে। তা না হলে এই অঞ্চলের আগামী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস থেকে বঞ্চিত হবে।”
বধ্যভূমি হিসেবে কাইয়ার গুদামের স্বীকৃতির বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, “এ বিষয়ে খবর নিয়ে বলতে হবে। জেলা প্রশাসন দ্রুত খোঁজ-খবর নেবে।”
আরও পড়ুন:
বাবুর পুকুর গণহত্যা: মেলেনি স্বীকৃতি-ভাতা, ভেঙে পড়ছে স্মৃতিস্তম্ভ
‘সদ্য বাবা হলে যে আনন্দ, বিজয়ের খবর ছিল তার চেয়েও আনন্দের’
রাজাকারে ধরে নেয় দুই ভাইকে, তাড়নায় যুদ্ধে যান ১৩ বছরের স্বপন
১৯৭১: তীর-ধুনক নিয়েই রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও
১৯৭১: পানপট্টির সম্মুখ যুদ্ধে মুক্ত হয়েছিল পটুয়াখালী
মুক্তিযুদ্ধে ডাকরায় ছয় শতাধিক হিন্দুকে হত্যার স্মৃতি তাড়া করে আজও
৬৩ জনের গণকবর লুপ্ত, স্মৃতি বলতে ‘মানকচু’
কুমার নদে গাড়াগঞ্জ যুদ্ধ: ফাঁদে ফেলে হত্যা করা হয় ৮০ হানাদারকে
জরাজীর্ণ গ্রন্থাগার-জাদুঘর, বীরশ্রেষ্ঠকে ‘স্মরণ’ কেবল মৃত্যুদিনে