জার্মানির রাস্তায় রাস্তায় বিড়ালের উপদ্রব। তবে ভাববেন না এসব রাস্তার বিড়ালদের কোনো মালিক নেই।
Published : 12 Aug 2018, 06:45 PM
জার্মানিতে বিড়াল পোষেন এমন একজনকে জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা আপনাদের ঘরের দরজা জানালা তো সব সময় বন্ধ থাকে, তাহলে বিড়াল ঘরের বাইরে আসা যাওয়া করে কীভাবে?
লোকটি বললেন, বিড়ালের জন্য ঘরে বিশেষ গোপন পথ রাখা আছে। সেই পথ ধরেই বিড়াল দিনে কিংবা রাতে ইচ্ছেমতো আসা যাওয়া করতে পারে। সেই পথের কথা বিড়াল ও আমরা ছাড়া আর কেউ জানে না।
স্থানীয় এক পত্রিকার তথ্যমতে আনুমানিক ১৩.৪ মিলিয়ন বিড়ালের বাস জার্মানিতে, যা পরিমানে জার্মানির জনসংখ্যার প্রায় ছয় ভাগ। আদর করে অনেকেই বিড়াল পোষেন এখানে। বিড়াল পরিবারের একজন সদস্যের মর্যাদা নিয়ে বসবাস করে এখানে। নাম পরিচয় খাওয়া-দাওয়া বাসস্থান খেলনা সব কিছুই পেয়ে থাকে প্রতিটি বিড়াল।
এখানকার সুপার মার্কেটের এক কোণ ভর্তি থাকে বিড়ালদের খাবার ও খেলনা সামগ্রিতে। জার্মানিতে বিড়ালই একমাত্র পোষ্য প্রাণী যেটি নিজের ইচ্ছেমতো ঘোরাফেরা করতে পারে, যেখানে একটি মুরগিকেও চব্বিশ ঘণ্টা খাঁচায় বন্দি থাকতে হয়।
বিড়াল প্রতি বছর চার থেকে পাঁচটা বাচ্চা দেয়। জার্মানিতে অনেক লোক বিড়ালের বাচ্চা দত্তক নেন। অনেক বছর আগে একবার আমাদের বিড়াল পরিবারে জনসংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তাই আমরা কিছু বিড়াল দূরে কোথাও ফেলে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম। ফেলে আসার কয়েক দিন পর বিড়াল আবার ফিরে আসে ঘরে। তারপর আরও দূরে কোথাও ফেলে আসি। তখন আর ফেরেনি বিড়াল। সে কথা মনে হলে নিজেকে অপরাধী মনে হয়।
গত ৮ অগাস্ট ছিল বিশ্ব বিড়াল দিবস। দিবসটি জার্মানিতে পালন হয়। রেডিও ও টিলিভিশনের খবরে দিবসটির কথা বলা হয়। সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় বিড়ালের ছবি ছাপা হয়। বিড়াল নিয়ে অনেক ছড়া ও কবিতা ছাপা হয়।
লেখক: প্রবাসী বাংলাদেশি
ইমেইল- [email protected]
এই লেখকের আরও লেখা
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |