গত এপ্রিল মাসের শেষে হঠাৎ করেই একদিন দক্ষিণ জার্মানির কিছু এলাকায় খুব বেশি তুষারপাত হয়। স্থানীয় পত্রিকায়ও খবরটি ছাপা হয়।
Published : 29 Jul 2017, 01:23 PM
নিজে খাওয়ার জন্যে আমার বাগানে লাগানো স্ট্রবেরি, শসা, কাঁচা মরিচ, ধনিয়া, টমেটো ও সবজি নষ্ট হয়ে যায়। পরে আবার নতুন করে চারা লাগালেও ফসল খুব একটা ভালো হয়নি। জার্মানির আবহাওয়া বোঝা বড় কঠিন। কখনও রোদ, কখনও বৃষ্টি, তো কখনও আবার অসময়ে তুষারপাত।
যাই হোক, ব্যাপারটা একটু দুঃখজনক হলেও জার্মানির তুষারপাতকে ঘিরে রয়েছে আমার আনন্দের অনেক স্মৃতি। প্রথম তুষারপাত দেখার অভিজ্ঞতাও দারুণ।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে জার্মানিতে উড়াল দেই। ডিসেম্বর মানেই জার্মানিতে শীতকাল, বেশ ঠাণ্ডা।
যেহেতু দুবাই থেকে জার্মানিতে গিয়েছি, তাই দুবাইয়ের স্মৃতির কথা একটু বলতে চাই। দুবাইতে কয় ঋতু? দীর্ঘদিন দুবাইতে বসবাস করলেও তা আমার জানা হয়নি। বছরের দশ মাসই দেখেছি, গরম। গরমের দিনে ওখানে এসি চালিয়ে কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমাতাম। আর জার্মানিতে তার বিপরীত, শীতের দিনে এখানে হিটার চালিয়ে কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমাতে হয়।
জার্মানিতে মার্চ, এপ্রিল, মে- এই তিন মাস হলো বসন্তকাল। জুন থেকে আগস্ট হলো গ্রীষ্ম। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর শরৎ। আর ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি- এই তিন মাস হলো শীতকাল। ফুল ফুটলে বসন্তের শুরু হয় জার্মানিতে।শরতের শেষে গাছের সব পাতা ঝরে যাওয়াই শীতের আগমনের জানান দেয়। সে সময় জার্মানি আরেক রূপ ধারণ করে।
অনেক সময় হালকা বৃষ্টি আর ঠাণ্ডা- এই দুই মিলে রাস্তাঘাট পিচ্ছিল হয়ে যায়। তখন শহর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ছোট ছোট পাথর আর বালি রাস্তায় ছিটিয়ে দেওয়া হয় মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে।
হাটু সমান তুষারপাত হয় জার্মানিতে। সবাই যার যার বাসার সামনের রাস্তার বরফ সরিয়ে চলার রাস্তা বের করে। আর যদি কেউ এই সহজ কাজটা না করে, তাহলে প্রতিবেশীদের বিরক্তি সহ্য করতে হতে পারে।
নতুন দেশ, নতুন আবহাওয়ার সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে, চলেছে জীবন। আর একটু একটু করে মনের ঝুলিতে জমা হচ্ছে স্মৃতি। সেই স্মৃতি এবং আরও নতুন নতুন অভিজ্ঞতার কথা মাঝে মধ্যে আপনাদের সাথে ভাগ করতে চাই। আশা করি সাথেই থাকবেন।
চলবে...
লেখক: প্রবাসী বাংলাদেশি
এই লেখকের আরও লেখা
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |