শিল্পন্নোত দেশ জার্মানি। এই জার্মানির খাদ্য কোথা থেকে আসে জানেন?
Published : 18 Jun 2018, 11:43 AM
বাংলাদেশের মতো প্রচুর ক্ষেত-খামার আছে জার্মানিতে। চাষাবাদ হয় এখানে। তবে এখানে ধান চাষ হয় না। ধান বাদে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল, শাক-সবজি, ব্রেড তৈরি করতে যে শস্যদানাগুলো লাগে, সেগুলো চাষাবাদ হয় এখানে।
আপেল, আঙুর, স্ট্রবেরি, আলু ও প্রচুর গমের চাষাবাদ হয় জার্মানিতে। প্রশ্ন হচ্ছে, জার্মানিতে চাষাবাদের কাজ করে কারা? নিশ্চয়ই ভাবছেন বিদেশিরা? মোটেও না! এখানে চাষাবাদের কাজ জার্মানরাই করে। এই কাজে খুব কম বিদেশিরা সুযোগ করে নিতে পারেন এখানে।
জার্মান কৃষকরা খুব ধনী লোক। যে ছবিগুলো দেখছেন, এটা এক জার্মান কৃষকের ঘর। তবে এটা বসবাসের ঘর না। শুধু কৃষি সরঞ্জাম ও ফসল রাখার ঘর। দেখেছেন তো, কতোগুলো সোলার প্যানেল বসানো ঘরের ছাদে?
তবে ফসল তোলার কাজে প্রতি বছরই বিদেশি শ্রমিকের প্রয়াজন হয় এদেশে। রোমানিয়া, পোল্যান্ডের নাগরিকরাসহ ইউরোপের আরও বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা দুই-তিন মাস ধরে ফসল তোলার কাজ করেন এখানে।
সংবাদমাধ্যমের তথ্য মতে, এই বছর স্ট্রবেরি তোলার কাজে শ্রমিকের অভাব হতে পারে জার্মানিতে। এই কাজে এই বছর এখনও বিদেশিদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানানো হয়।
আমার দাদা জমিদার ছিলেন। মানে আমাদের প্রচুর জমি ছিল একসময়। বৈশাখ এলে মাঠের পর মাঠ সোনালী ধানে ছেয়ে যেত। অনেক লোক কাজ করতেন তখন আমাদের জমিতে। অনেক শ্রমিকের দরকার পড়তো তখন।
অন্য এলাকা থেকে লোকজন এসে ধান কাটার কাজ করতেন। কাজ শেষে মজুরি হিসেবে পাওয়া ধান ট্রাক ভর্তি করে আনন্দ-উল্লাস করে বাড়ি ফিরতেন তারা।
শুনেছি দেশে এবছর ধানের ভালো ফলন হয়েছে। সোনালী সেই ধান আমার কল্পনায় আর মনে। এখানকার গম ক্ষেতের স্পর্শে মনের মধ্যে একটা অন্যরকম শান্তি পেলাম। কল্পনায় হারিয়ে গেলাম আমি সোনালি ধানের জগতে।
চাষাবাদের কাজে আমাদের দেশের মতো এত শ্রমিকের প্রয়াজন হয় না এখানে। শুধু কিছু কিছু ফসল তোলার কাজ ছাড়া। মেশিনের সাহায্যে একজন লোক অনেক চাষাবাদের কাজ করতে পারেন এখানে।
আমাদের দেশে মতো এদেশের কৃষকরাও থাকেন বৃষ্টির অপেক্ষায়। অনেক সময় তুষার ও শিলা বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতিতে এখানকার কৃষকদেরও কাঁদায়।
লেখক: প্রবাসী বাংলাদেশি
ইমেইল- [email protected]
এই লেখকের আরও লেখা
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |