সড়ক পথে যেতে দুই পাশের চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করা যাবে। বাসে করে দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ শেষে পৌঁছলাম নেরখা শহরে।
এ শহরকে স্পেনের ছোট ইংল্যান্ড বলা যেতে পারে। শহরের মোট জনসংখ্যার ৩০ ভাগ জুড়ে আছে ইংরেজরা। চাকরি থেকে অবসর নিয়ে জীবনের শেষ সময়টুকু একটু রৌদ্রময় জীবন কাটানোর জন্যই ইংরেজদের অনেক পছন্দ এই শহর। সমুদ্র তীরবর্তী পাহাড় ঘেরা স্প্যানিশ এই শহরটি ইংরেজদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। বাসাবাড়ি কিনে ইংরেজরা স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন এ শহরে।
সমুদ্র তীরবর্তী পাহাড় বেষ্টিত এ শহরটি পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। শহরের দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে নেরখা সৈকত একটি। অনেকগুলো সৈকত রয়েছে এ শহরটিতে। প্রাচীন গুহা, গির্জা ও শহরের ভিউ পয়েন্ট আকর্ষণীয়।
স্প্যানিশ ভাষায় ‘মিরাডর’ মানে ভিউ পয়েন্টকে বোঝানো হয়। ভিউ পয়েন্টের জন্যে পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এ শহর। শহরটিতে আছে অনেকগুলো ভিউ পয়েন্ট। এর মধ্যে একটির নাম হলো ‘বেলকন দে ইউরোপা’। এটি বেশ জনপ্রিয়। ১৮৮৫ সালে স্প্যানিশ রাজা আলফনসো-১২ নেরখা শহর ভ্রমণকালে জায়গাটির এই নাম দেন।
কাছেই অনেক খাবার ও আইক্রিমের দোকান আছে। সস্তায় খুব ভালো মানের আইসক্রিম কিনতে পাওয়া যাবে এখানে। সাগর ও পাহাড়প্রেমীদের জন্যে ভ্রমণের উপযুক্ত জায়গা এটি। মালাগায় গেলে এ শহর না ঘুরে ফিরবেন না।
লেখক: প্রবাসী বাংলাদেশি
ইমেইল- md.naim@aol.com
এই লেখকের আরও লেখা
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |