সামনে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসছে। অথচ গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানির মানুষদের মধ্যে তেমন কোনো উত্তাপ দেখা যাচ্ছে না।
Published : 10 Jun 2018, 11:03 AM
একটা প্রবাদ বাক্য আছে- ‘যার বিয়ে তার খবর নাই, পাড়াপড়শির ঘুম নাই!’ জার্মানদের ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে নেই তেমন কোনো আলোচনা-সমালোচনা।
আমার পরিচিত একজনের কাছে জানতে চাইলাম, “আচ্ছা, বিশ্বকাপ কবে শুরু হচ্ছে?” উত্তরে সে জানালো সে সঠিক বলতে পারবে না। আসলে আমি নিজে জানার জন্যই জানতে চেয়েছিলাম। পরে বিশ্বকাপ শুরুর হওয়ার দিনক্ষণ ও তারিখ ইন্টারনেটে দেখে নিলাম।
গত বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানি আর্জেন্টিনাকে এক-শূন্য গোলে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হই। আরেক জার্মান বন্ধু বললো, “আর্জেন্টিনার সাথে না! আমরা তো ব্রাজিলকে সাত-এক গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম।”
যা হোক, আমি আর তর্ক বাড়াইনি। ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনা, দুই দলকে পরাজিত করেই তো জার্মানি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ জিতেছিল।
লোকের দেখাদেখি এক সময় আমি ব্রাজিলকে সাপোর্ট করতাম। তবে কখনো ব্রাজিলের পতাকা উড়াইনি। আমি অনেক পরিচিতজনকে দেখেছি বাড়িতে গাড়িতে কতো দেশের পতাকা উড়াতে।
খেলা দেখতে খুব পছন্দ করি। ক্রিকেট কিংবা ফুটবল খেলা দেখি। তবে একমাত্র বাংলাদেশের জয়-পরাজয়ই আমাকে হাসাতে ও কাঁদাতে পারে। অন্য কোনো দেশের জয়-পরাজয়ে আমি হাসি না বা কাঁদি না।
আমাদের দেশে তো ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপের হাওয়া লেগেছে। গণমাধ্যমের খবরে দেখেছি দর্জিরা বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দেশগুলোর পতাকা বানাতে ব্যস্ত হয়ে গেছেন। হয়তো ইতোমধ্যেই ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার পতাকায় ছেয়ে গেছে পুরো দেশ।
কেউ কেউ আগে থেকেই প্রতিজ্ঞা করে রেখেছিলেন, গতবারের চেয়ে এই বছর আরও বড় করে পছন্দের দেশটির পতাকা বানাবেন বলে। দুই-চার মাইল লম্বা পতাকা বানিয়ে গণমাধ্যমের শিরোনাম আমরা হয়েছি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, দেশে বিশ্বকাপকে ঘিরে কতো আলোচনা-সমালোচনা। বিশ্বকাপকে ঘিরে ঝগড়া-বিবাদের খবরও হয়েছে ইতোমধ্যেই।
পতাকা লাগাতে গিয়ে ছাদের উপর থেকে পড়ে কিংবা ইলেকট্রিক শক খেয়ে মৃত্যুর খবরও এসেছে গণমাধ্যমে। যে সকল দেশের জন্যে এতো ভালোবাসা, এতো পাগলামি, তারা কী জানে এমন পাগলামির খবর? আহা রে!
এত পাগলামির কারণ হিসেবে দেশ থেকে এক পরিচিতজন বললেন, “বেকার পাবলিক, কাজ কাম নাই তো তাই।” আমরা খেলাপ্রেমী। আফসোস! যদি আমাদের বাংলাদেশ বিশ্বকাপে খেলতো।
লেখক: প্রবাসী বাংলাদেশি
ইমেইল- [email protected]
এই লেখকের আরও লেখা
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |