৫৫ বছরের চিরকুমার হাবিবুর রহমান গত ১৭ এপ্রিল ভোরে মারা গিয়েছিলেন।
Published : 08 May 2024, 01:39 AM
গোপালগঞ্জে মুকসুদপুর উপজেলায় হত্যার অভিযোগ ওঠায় মৃত্যুর ২০ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে এক ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের মুনিরকান্দি গ্রামের কবর থেকে গোপালগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুন শরিফের উপস্থিতিতে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
পরে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
৫৫ বছরের চিরকুমার হাবিবুর রহমান গত ১৭ এপ্রিল ভোরে মারা গিয়েছিলেন। তখন তার ভাতিজা সালমান ফরাজি দাবি করেছিলেন গোহালা ইউনিয়নের মুনিয়াজোড়া এলাকায় ইজিবাইক দুর্ঘটনায় হাবিবুর রহমান মারা গেছেন।
এ ঘটনার ১৫ দিন পর হাবিবুর রহমানের বোন মোসা. আঞ্জুল হক দাবি করেন, দুর্ঘটনা নয়, সম্পত্তির দ্বন্দ্বের কারণে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এই অভিযোগে ভাতিজা সালমানসহ ৪৫ জনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা করেন তিনি।
এই মামলা ও আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত হাবিবুর রহমানের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়।
আঞ্জুল হক জানান, কিছুদিন আগে জমি জবরদখলের পাঁয়তারার অভিযোগ এনে হাবিবুর রহমান ভাতিজা সালমানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। এরপর সালমান ক্ষিপ্ত হয়ে চাচাকে হত্যার হুমকি দেন। তখন হাবিবুর রহমান আদালতে হত্যার হুমকির অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সালমান পূর্বপরিকল্পিতভাবে হাবিবুরকে হত্যা করে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়েছে বলে অভিযোগ আঞ্জুল হকের।
তবে সালমান ফরাজি চাচাকে হত্যার কথা অস্বীকার করে বলেন, “আমি মাদারীপুর শহরে থাকি। চাচা থাকেন মুনিরকান্দি গ্রামে। চাচা ইজিবাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে- জানতে পেরে আমি মাদারীপুর থেকে ঘটনাস্থলে যাই। তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুরের রাজৈর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে তিনি মারা যান।
সড়ক দুর্ঘটনাতেই তার চাচার মৃত্যু হয়েছে দাবি করে সালমান বলেন, “চাচা ওই দিন ইজিবাইকে করে হাটে যাচ্ছিলেন। অপরদিক থেকে আসা একটি ইজিবাইকের ধাক্কায় তিনি রাস্তায় পড়ে যান বলে ইজিবাইকের যাত্রী এনায়েত কাজী আমাকে জানিয়েছেন। ”
তাকে হয়রানি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “সম্পত্তি নিয়ে চাচার সাথে আমার দ্বন্দ্ব ছিল। আমি কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে দেই। এটি চাচার পছন্দ ছিল না। চাচার সাথে আমার বিরোধকে পুঁজি করে ফুফু আঞ্জুল হক ফায়দা তুলতে চাইছেন।”