জামানতহারা ডালিয়া: রংপুরে নৌকার ভুলটা কোথায়?

“মোস্তফা শক্তিশালী প্রার্থী, মানলাম। আমরা তো দ্বিতীয় হতে পারতাম। হাতপাখা এল কোথায় থেকে,” প্রশ্ন করলেন আওয়ামী লীগের একজন সমর্থক।

আফতাবুজ্জামান হিরুরংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Dec 2022, 03:54 PM
Updated : 28 Dec 2022, 03:54 PM

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন দলের এমন ভরাডুবিতে অনেক কারণের সঙ্গে বেশি আলোচনায় এসেছে প্রার্থী মনোনয়নের বিতর্ক।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন, যারা নির্বাচন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে এমন একজনকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে; যিনি তৃণমূলের কাছে ‘ততটা’ পরিচিত নন। নির্বাচন পরিচালনায় দলের ‘সমন্বয়হীনতাও’ তার জামানত বাজেয়াপ্তের একটি কারণ।

রংপুর বরারবরই জাতীয় পার্টির ‘ঘাঁটি’। তাই বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেখানে চতুর্থ অবস্থানে চলে যাবেন- এমন খারাপ অবস্থাও সেখানে দলের নয়।

সে কারণে জাতীয় নির্বাচনের আগের বছর দলের এমন ফলাফলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা অনেকটা হতাশ হয়েছেন, ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাদের কেউ কেউ।

সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীর ভোটের অংক দেখে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দলেরই একজন বিদ্রোহী প্রার্থীর চেয়ে কম ভোট পাবেন এটাও তাদের ধারণার বাইরে ছিল। 

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল বুধবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা তো প্রার্থীকে নিয়ে মাঠেঘাটে কাজ করেছি। যতটুকু সম্ভব ভোটারদের কাছে গিয়েছি। কিন্তু তারপরও কেন এমন হলো সেটি বুঝতে পারছি না।”

তুষার কান্তি নিজেও মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। টিকেট না পেয়ে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, “নৌকার প্রার্থী আগে সংরক্ষিত আসনে নারী সংসদ সদস্য ছিলেন। নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি ছিলেন। কিন্তু তিনি তৃণমূলের নেতা নন। সরাসরি ভোটের জন্য এমন প্রার্থী নির্বাচন মনে হয় ঠিক হয়নি।

“মানুষ তাকেই ভোট দেয়, যাকে সবসময় পাশে পায়। প্রার্থীর সেই জায়গাটায় ঘাটতি ছিল। দলের তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গেও উনার সম্পৃক্ততা কম। সব মিলিয়েই ভোটের চিত্র এমন হয়েছে। ধারণার চেয়ে বেশি খারাপ হয়েছে।”

মঙ্গলবারের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা দ্বিতীয়বারের মত বিপুল ভোটের ব্যবধানে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে জয়লাভ করেন।

ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, লাঙ্গল প্রতীকে মোস্তফা পেয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আমিরুজ্জামান প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রকৌশলী মো. লতিফুর রহমান হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৮৩ ভোট। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া নৌকা মার্কায় পেয়েছেন ২২ হাজার ৩০৬ ভোট।

নির্বাচনের ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ ভোটের মধ্যে ২ লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন ভোট দিয়েছেন। ভোটের হার ৬৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। সে হিসাবে জমানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ৩৫ হাজার ১২২ ভোট।   

২০১২ সালের ডিসেম্বরে সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। তিনি এক লাখ ৬ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে, এই মোস্তফাকে পরাজিত করেই মেয়র হয়েছিলেন। ভোটের ব্যবধান ছিল প্রায় ২৫ হাজারের।  

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় নির্বাচনে ঝন্টুকে প্রায় লাখ খানেক ভোটে হারিয়েছিলেন মোস্তফা। সেবার মোস্তফা পেয়েছিলেন এক লাখ ৬০ হাজারের বেশি ভোট। বিপরীতে ঝন্টুর ভোট নেমেছিল ৬২ হাজারে। প্রায় লাখ খানেক ভোটে জিতেছিলেন মোস্তাফা। এবারও একই ব্যবধান ধরে রেখেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী।

জাতীয় পার্টির রংপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “রংপুর এরশাদের ঘাঁটি, লাঙ্গলের ঘাঁটি। তারপরও এখানে আওয়ামী লীগের ৫০ থেকে ৬০ হাজার ভোট আছে। গত অনেকগুলো নির্বাচনে সেটা দেখা গেছে।”

জাপা নেতা বলেন, “এবার সেই ভোট আওয়ামী লীগ প্রার্থী টানতে পারেননি। কারণ, তাদের প্রার্থী মনোনয়নে ভুল ছিল। যাকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে দলের নেতাকর্মীরাই তাকে মানতে পারেননি। ফলে নির্বাচনে তাদের কোনো সমন্বয় ছিল না। সেটা ভোটের প্রচারের সময়ই দেখা গেছে। আমার মনে হয়, এই কারণে ভোটের ব্যবধান অনেক বেড়েছে, নৌকার ভরাডুবি হয়েছে।”

স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থীদের সঙ্গে কাজ করে থাকে বেসরকারি সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন। এবারের রংপুর সিটি নির্বাচনও তারা পর্যবেক্ষণ করেছে। তাদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক মঞ্চে বসে সব মেয়র পদপ্রার্থী সুশাসন ও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, শপথ নিয়েছেন।   

সুজনের রংপুর মহানগরের সভাপতি অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন তিনি দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারেননি। এ ক্ষেত্রে ঘাটতি ছিল। প্রার্থীকে মাঠের ভোটাররাও ভাল করে চিনতেন না। অন্য অনেক কারণের মধ্যে এগুলো আছে। আমি মনে করি, এ কারণে এখানে নৌকার প্রার্থীর ভোট কম হয়েছে, ভরাডুবি হয়েছে।”

রংপুর প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একটি অংশ তাদের প্রার্থীকে ‘মানতে পারেননি’।

“কারণ, তিনি তৃণমূলের নেতা না হওয়ায় কেউ তাকে তেমনভাবে চিনতও না। যারা এখানে দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন, মাঠ গুছিয়েছেন, তারা দলের মনোনয়ন পাননি। তারাও হতাশ হয়েছেন। তারা অনেকেই নৌকার জন্য ভোটের মাঠে নামেননি। ভোটদানে তাদের সমর্থকরাও বিরত ছিলেন বলে মনে হয়।”

ভোটের পরদিন দুপুরে নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে ‘প্রার্থী-দুর্বলতার’ কথাই শোনা গেল। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের দুজন ভোটার রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।

একজন বললেন, “মোস্তফা শক্তিশালী প্রার্থী, মানলাম। আমরা তো দ্বিতীয় হতে পারতাম। হাতপাখা এল কোথা থেকে? তাদের তো এখানে ঘাঁটি নেই। তারাও ৫০ হাজার ভোট পেয়েছে। দলের লোকজনই এই নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেয়নি। হয়ত তাদের কেউ কেউ বিদ্রোহীকে দিয়েছে, কেউ জাতীয় পার্টিকে দিয়েছে। নাহলে তো এটা হওয়ার কথা না।”

আরেকজন বলেন, “আওয়ামী লীগ তো দলেরই ভোট পায়নি। মানলাম, বিএনপির লোকজন জাতীয় পার্টিরে ভোট দিছে, হাতপাখারে ভোট দিছে। আওয়ামী লীগের ভোট কই গেল?“

গত নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়েছেন কিন্তু এবার দেননি এমন একজন ভোটার বলেন, “যারে চিনি না, তারে তো ভোট দিতে পারি না। প্রার্থীরে না দেখলে কারে ভোট দেব।”

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের রংপুরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুল আলম কল্লোল বলেন, “রংপুরের মানুষ অনেকটা আবেগপ্রবণ। তারা আবেগের কারণে যুগ যুগ ধরে লাঙ্গলে পড়ে আছেন। কাকে ভোট দিলে এলাকার উন্নয়ন হবে, সেটা মানুষ এখনও বোঝেনি।”

রংপুর সিটির প্রথম ও দ্বিতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও এবারের নির্বাচনে তারা অংশ নেয়নি। দুইবারই দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন কাওসার জামান বাবলা। তিনি দুবারই ৩০ হাজারের কম ভোট পেয়েছেন।

এবার বাবলা নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন। কিন্তু এই সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না- এই নীতির কারণে তিনি নির্বাচনে আসেননি।

বিএনপির রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, “আওয়ামী লীগ বাকশাল কয়েম করতে চায়, এটা রংপুরবাসী বুঝে গেছে। এ কারণেই মানুষ তাদের প্রত্যাখান করেছে। তাদের প্রার্থী মাত্র ২২ হাজার ভোট পেয়েছে।”

রংপুরে ভোটে লড়তে প্রচার চালিয়েছিলেন জামায়াতে ইসলামীর রংপুর মহানগর শাখার সাবেক আমির সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলালও। তিনি শেষ মুহূর্তে মাঠ থেকে সরে যান।

১৮৬৯ সালের ১ মে গোড়াপত্তন হয় রংপুর পৌরসভার; ৫৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ শহরে তখন ১৫টি ওয়ার্ড ছিল। প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন রংপুরের কালেক্টর ই জি গ্লেজিয়ার। আব্দুর রউফ মানিক সবশেষ পৌরসভা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

২০১২ সালের ২৮ জুন পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের সঙ্গে বর্ধিত এলাকার (সাবেক সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন থেকে) আরও ১৮টি ওয়ার্ড যুক্ত করে ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। পৌরসভার আয়তন বেড়ে দাঁড়ায় ২০৩ বর্গকিলোমিটার।

আরও পড়ুন:

‘ইসি তাদের দায় আমার ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে’, অভিযোগ মোস্তফার

 রংপুরে ৫ ঘণ্টায় প্রায় ২৫% ভোট: রিটার্নিং কর্মকর্তা

রংপুরে উৎসবমুখর ভোট হচ্ছে: সিইসি

সিসি ক্যামেরায় রংপুরের ভোট দেখছে ইসি

জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী ডালিয়া

জাপা প্রার্থী ইভিএমকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন: রিটার্নিং কর্মকর্তা

ইভিএমে জটিলতা: জাপার মেয়র প্রার্থীর ভোট দিতে দেরি

“ইভিএমের পিছনের কারিগররা যদি নিরপেক্ষ থাকে তাহলে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব”

রংপুর সিটি নির্বাচন: বেলা বাড়ছে, ভোটের লাইনও

ভোট দিচ্ছে রংপুর

সিসি ক্যামেরায় রংপুরের ভোট দেখছে ইসি

রংপুর সিটি: ইভিএমে ভোট দেবেন যেভাবে

রংপুর সিটিতে ভোট: ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসিটিভিতে ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণ’

রংপুর সিটি ভোট: ৩৭ শতাংশ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, ৬ স্তরের নিরাপত্তা

রংপুর সিটি নির্বাচন: আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধ ৫ দিন

রংপুর সিটিতে নতুন যুক্ত হওয়া এলাকায় উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ডালিয়ার

রংপুর সিটিতে ইভিএমের মক ভোটিং নিয়ে অসন্তোষ জাপা প্রার্থীর

ভোটে অনিয়ম হলে ‘তাৎক্ষণিক অ্যাকশন’: মোস্তফা

রংপুরে ভোটের মাঠে থাকবেন ৪৯ ম্যাজিস্ট্রেট

সংঘাত করতে চাইলে কেউ মাঠে টিকতে পারবে না: মোস্তফা

সিটি করপোরেশন নির্বাচন: প্রচারে উৎসবমুখর রংপুর নগর

রংপুর সিটি নির্বাচন: উন্নয়নের স্বার্থে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান কেন্দ্রীয় নেতাদের

রংপুর সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা ভালো থাকবে, আশ্বাস সিইসির

রংপুরে সুষ্ঠু নির্বাচনের সব ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন: সিইসি

রংপুর সিটি নির্বাচন: সম্পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাপার চেয়ে এগিয়ে

রংপুর সিটি নির্বাচন: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর

রংপুর সিটি: উন্নয়নের জন্য নৌকায় ভোট চাইলেন ডালিয়া

রংপুর সিটি নির্বাচন: আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ইশতেহার ঘোষণা

রংপুর সিটি নির্বাচন: প্রতীক পেয়ে প্রচারণা শুরু

রংপুর সিটি নির্বাচন: আপিল নিষ্পত্তি শেষে বৈধ প্রার্থী ২৬২

রংপুরে সিটি নির্বাচন: মেয়র পদে ১০ মনোনয়নপত্র বৈধ

রংপুর সিটিতে ২৮০ প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ

রংপুরে ‘বিদ্রোহীরা সরে যাবেন’, আশা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর

রংপুর সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র নিলেন আওয়ামী লীগের ডালিয়া

প্রচার চালিয়েও রংপুর সিটি ভোট থেকে সরে গেলেন জামায়াত নেতা

ইভিএমেও আস্থা আনতে হবে: ইসি রাশিদা