আওয়ামী লীগ ও জাপার প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই; তাদের নিজ নামে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানও নেই।
Published : 12 Dec 2022, 10:51 PM
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থীর সম্পদ জাতাীয় পার্টির প্রার্থীর চেয়ে বেশি।
রোববার প্রার্থীর জমা দেওয়া হলফনামায় সম্পদের এই হিসাব পাওয়া যায়।
নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হলফনামায় তথ্য অনুযায়ী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার চেয়ে সম্পদে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। তবে দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তাদের নিজ নামে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানও নেই।
সদ্য বিদায়ী মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা রংপুর মহানগরীর কলেজ রোডের বাসিন্দা। শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি।
তিনি পেশার স্থলে লিখেছেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র।
তার হলফনামা থেকে জানা যায়, নিজ নামে কৃষিখাত, দোকানঘর, ব্যবসা ও সঞ্চয়পত্রসহ অন্যান্য খাতে কোনো আয় নেই বলেও হলফনামায় লেখা হয়।
তবে বাড়ি, এপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বাৎসরিক আয় আছে; আর নগদ আছে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্ত্রীর রয়েছে ৯০ হাজার টাকা।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে ১৬ লাখ ৭৭ হাজার ২৯৪ টাকা ও স্ত্রীর নামে ২ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকা রয়েছে। ৭০ হাজার টাকা মূল্যমানের তার একটি মোটরসাইকেল রয়েছে। নিজ নামে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার, স্ত্রীর রয়েছে ১৫ ভরি স্বর্ণ, ২ লাখ টাকা মূল্যের ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ও ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের নিজ নামের আসবাবপত্র রয়েছে।
তবে মোস্তফার কৃষি ও অকৃষি জমি নেই। স্ত্রীর নামে ৪ শতক জমির উপর একটি দালান রয়েছে।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার হলফনামা অনুযায়ী, তিনি রংপুর মহানগরীর জি এল রায় রোডের বাসিন্দা। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ও এলএলবি। পেশায় আইনজীবী। তার বাৎসরিক কৃষিখাতে ৪২ হাজার টাকা, বাড়ি, এপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে ১ লাখ ৩ হাজার ৫০০ টাকা, আইন পেশা থেকে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে ৯৫ হাজার ৪০ টাকা, ব্যাংক সুদ থেকে ৯ হাজার ৫৫৭ টাকা আয় হয়।
তার অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজ নামে নগদ ৪৪ লাখ ২১ হাজার ৬০০ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৯২৪ টাকা, ২০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংঙ্কার, ১ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের খাট ও আলমারি রয়েছে।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে ৩০ শতক কৃষি জমি, ৩ শতক এবং ৩ কাঠা অকৃষি জমি, ৩ শতক জমিসহ ৪ তলা আবাসিক বাড়ি রয়েছে। তার নামে কোনো ঋণ ও মামলা নেই।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।