রংপুর সিটি নির্বাচন: প্রতীক পেয়ে প্রচারণা শুরু

মেয়র, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে মোট ২৫৫ প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

প্রতীক পেয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া।

রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রতীক পেয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা।

শুক্রবার সকালে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন।

মেয়র পদে ৯ জন, ১১ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৭ জন, ৩৩ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭৯ জন মিলে মোট ২৫৫ প্রার্থী প্রতীক পেয়েছেন।

শুক্রবার শুরু হওয়া আনুষ্ঠানিক প্রচার ভোট গ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত চলবে।

মেয়র পদে আওয়ামী লীগের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া (নৌকা), জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল (হাতপাখা), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের (ইনু) শফিয়ার রহমান (মশাল), খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু (দেয়াল ঘড়ি), জাকের পার্টির খোরশেদ আলম (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান (ডাব), স্বতন্ত্র মেহেদী হাসান বনি (হাতি) ও মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি লতিফুর রহমান মিলন (হরিণ) প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।

প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে প্রচার চালাতে অনুরোধ জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন।

তিনি বলেন, “আমরা চাই অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে। এ জন্য প্রার্থী ও ভোটারসহ সবার সহযোগিতা থাকা চাই। নির্বাচনের প্রচারণায় যেন বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ না ওঠে, সে ব্যাপারে প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের সজাগ থাকতে হবে।”

আচরণবিধি ভেঙে প্রচার চালালে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

এবার তৃতীয়বারের মতো রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৭ ডিসেম্বর ২২৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।

২০১২ সালের ২৮ জুন পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের সঙ্গে বর্ধিত এলাকার (সাবেক সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন থেকে) আরও ১৮টি ওয়ার্ড যুক্ত করে মোট ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে রংপুর সিটি কর্পোরেশন গঠন করা হয়। ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝণ্টু প্রথম নগরপিতা নির্বাচিত হন।

২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। এতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা মেয়র নির্বাচিত হন।

বর্তমানে এই সিটির জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ; ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন।