কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ৩১: পড়াশোনায় ভালো করতে না পেরে 'রিফিউজি' আবেদন করবেন?

কানাডার বাইরে থেকে শুধু বৈধ অভিবাসীদের সফলতার গল্প বা চকচকে জীবনকাহিনী শোনা যায়। কিন্তু এর বিপরীতে অনেক মেধাবীর কক্ষচ্যুত হয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের গল্পের সংখ্যাও কম নয়।

এম এল গনিএম এল গনি
Published : 5 Feb 2023, 10:58 AM
Updated : 5 Feb 2023, 10:58 AM

কানাডায় পড়তে এসেছেন, কিন্তু ব্যাটে-বলে মেলেনি! তারমানে, প্রশ্ন করছি কানাডার শিক্ষাব্যবস্থার সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছেন কিনা।

নতুন দেশ, ভাষা, সংস্কৃতি, পড়ালেখার নতুন পদ্ধতি; তাছাড়া, আশপাশে পরিবার-পরিবার, বন্ধুবান্ধবও নেই। যা দেখছেন সবই নতুন। নিজে নিজে রান্নাবান্না করেও খেতে হয়, কেউ খাবার তৈরি করে আপনার সামনে তুলে ধরে বলে না, 'খাবার ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে, খেয়ে নাও তাড়াতাড়ি।'

কানাডায় পড়াশোনার অনেক চাপ থাকে। সম্প্রতি কেউ একজন আমাকে বলেছেন: “ভাই, কানাডায় এক সেমিস্টারে যা পড়ালেখা করলাম, দেশে থাকতে তা দুই বছরেও পড়িনি। এখানে ক্লাসের শুরুর দিনই জানিয়ে দেওয়া হয় ফাইনাল পরীক্ষার তারিখ। আমাদের বাংলাদেশে তো আপনি পড়াশোনা শুরুর দিনটা জানবেন, শেষের দিন কারো জানা থাকেনা; ফলে, চার বছরের স্টাডি প্রোগ্রামে ছয়-সাত বছর লেগে গেলেও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মুখ বুজে সয়ে যাওয়া ছাড়া করার কিছু থাকে না।”

এবার একটা বাস্তব দৃষ্টান্ত দেই। বাংলাদেশের স্বনামধন্য এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অমি (ছদ্মনাম)। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়ই বললেই বোঝা যায় তিনি কোন মাপের ভালোছাত্র। সেই অমি কানাডায় পড়াশোনা করতে এসে খেঁই হারিয়ে ফেললেন। 

অমি ছাত্র হিসেবে খুব ভালো হলেও তার বাড়ির আর্থিক অবস্থা মোটামুটি। ভেবেছিলেন, কানাডায় পড়াশোনার ফাঁকে কাজ করে নিজের খরচ জোগাবেন, অবসরে যাওয়া বাবার কাছেও কিছু পাঠাবেন। বাংলাদেশে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ সচরাচর কেউ করে না। কাজেই, সে অভ্যাস অনেকের নেই।

পড়াশোনা আর কাজের ব্যালেন্স করতে না পেরে কানাডার পড়াশোনার শুরুতেই হোঁচট খেলেন অমি। প্রথম সেমিস্টারে কাঙ্খিত ফল হলো না। দ্বিতীয় সেমিস্টারেও আশাবাদী হবার মতো অগ্রগতি হলো না। অথচ এই অমির পড়াশোনার অতীত ইতিহাস নক্ষত্রসম উজ্জ্বল। উচ্চমাধ্যমিকে মেধা তালিকায় স্থান পাওয়াদের অন্যতম তিনি। সঙ্গত কারণেই তার মাথাখারাপ অবস্থা।

অমি ঠিক বুঝতে পারছিলেন না তার কী করা উচিত। কানাডার পড়াশোনায় একটা গ্রহণযোগ্য ফল করতে না পারলে পড়াশোনা পরবর্তী ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন অনুমোদনের বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এটাকে বলে পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ওয়ার্ক পারমিট। পড়াশোনা সফলভাবে শেষ করলে এ ধরনের ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন দাখিল করা যায়। কানাডার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ- আইআরসিসি যাচাই করে দেখে শিক্ষার্থী পড়াশোনাটা ঠিকভাবে শেষ করেছে কিনা।

ফলাফলের বাজে অবস্থা দেখলে ইমিগ্রেশন অফিসার শিক্ষার্থীর ওয়ার্ক পারমিট আবেদনে মন্তব্য করে বসতে পারেন, 'ডিড নট পারস্যু স্টাডি ইফেক্টিভলি' বা এজাতীয় কিছু। যার অর্থ, ‘মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করেননি’। এর মর্ম দাঁড়ায় এই, আবেদনকারী পড়াশোনায় যেহেতু সফলতা দেখাতে পারেননি, তাই, কাজের ক্ষেত্রেও তিনি অনুরূপ ব্যর্থতার পরিচয় দিতে পারেন। পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ওয়ার্ক পারমিট আবেদন প্রত্যাখ্যানের নানাবিধ কারণের অন্যতম এটি।

ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন প্রত্যাখ্যান হলে আপনার সামনে আর খুব বেশি অপশন বা দরজা খোলা থাকে না। কারণ, এর পরও কানাডায় অবস্থান করতে চাইলে আপনাকে অবৈধভাবে কাজ করতে হবে; নইলে খরচের অর্থের জোগান দেবে কে?

অপরদিকে, ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন অনুমোদন পেলে আপনি বিধিসম্মতভাবে কাজ করে একদিকে ভালো অর্থ আয় করার পাশাপাশি কাজের এই অভিজ্ঞতা দেখিয়ে কানাডায় পিআর স্ট্যাটাস বা স্থায়ী অভিবাসনের আবেদন দাখিল করতে পারবেন। কানাডার পড়াশোনা ও কানাডার কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে আপনার পিআর আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়াটাই বরং বিস্ময়।

অমি চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন। এরই মাঝে তার সাথে পরিচয় হলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের অবৈধ কর্মী বানিয়ে তাদের শোষণ করা চক্রের সাথে। অমি পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে কানাডার মন্ট্রিয়লে চলে গেলেন। চক্রের পরামর্শে রিফিউজি আবেদন দাখিল করলেন। আবেদনে তাকে দলীয় কর্মী বানিয়ে দেওয়া হলো বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের। এই দলটিকে তাদের প্রতিপক্ষ দল কানাডায় সন্ত্রাসীগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত করতে সক্ষম হয়েছে। এসব অমির জানা ছিল না।

রিফিউজি আবেদনের শুনানিতে অমিকে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য বিবেচনা করে তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হলো। অথচ বাস্তবতা হলো, এই অমি জীবনে কখনো রাজনীতি করেননি। অমি কানাডায় আজ প্রায় দশবছর অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বসবাস করছেন। অথচ, এই অমি বাংলাদেশের যে বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছিলেন সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যে কোন পর্যায়ের ভালোছাত্র তা কাউকে বলে দিতে হয়না।

অবৈধ পন্থায় কাজ করে অমি কিছু টাকাপয়সা জমিয়েছিলেন। তাও আবার মেরে দিয়েছে বাংলাদেশি এক নারী। ওই নারীর কাজই হলো পুরুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। যোগ্যতা কেবল তিনি কানাডার পাসপোর্টধারী। অমির চেয়ে বয়সে অনেক বড় হলেও তার সাথে এই নারীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে সুবাদে তার কিছু টাকা রাখেন ওই নারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।

অমি ভেবেছিলেন ওই নারী তাকে কানাডায় স্থায়ী হতে সহায়তা দেবেন। কিন্তু, বাস্তবতা হলো মোটাদাগের অর্থ নিজের কব্জায় নেওয়ার পর তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে অমিকে এড়িয়ে চলেন। নিজেকে একবার অমির আসনে বসিয়ে ভাবুন তো কেমন লাগে?

অমির বিষয়টি কয়েকমাস আগে আমার নজরে এনেছেন কানাডায় বসবাসরত তারই এক প্রাক্তন সহপাঠী। বড্ড দেরি হয়ে গেছে এখন। গঙ্গাজল এতখানি গড়ানোর আগে তার সাথে যোগাযোগ হলে হয়তো তার জন্য কিছু একটা করা যেত। সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য পরিচিতি পাবার পর কানাডা অভিবাসন বিষয়ে তাকে সহায়তা দেওয়া একপ্রকার অসম্ভব। কারণ, কানাডার ইমিগ্রেশন আইনে এরা 'ইনঅ্যাডমিজিবল' বা ‘অগ্রহণযোগ্য’।

কানাডার নাগরিকদের নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কানাডার গ্রহণযোগ্যতা ধরে রাখতে কানাডাকে এদের (সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর সদস্য) 'ইনঅ্যাডমিজিবল' ঘোষণা করতেই হয়।

এক অমির কাহিনী আমি এ লেখায় তুলে ধরেছি। এমন হাজারও অমি কানাডার বিভিন্ন এলাকায় এক প্রকার লুকিয়ে আছেন। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নামমাত্র পারিশ্রমিকে এদের কাজে নিয়োজিত করে নিয়মিত শোষণ করে চলেছে।

কানাডার বাইরে থেকে আমরা শুধু বৈধ অভিবাসীদের সফলতার গল্প বা চকচকে জীবনকাহিনী শুনি। ওদিকে, অমিদের মতো মেধাবীরা কক্ষচ্যুত হয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের গভীর অন্ধকারে দ্রুত বিলীন হতে থাকেন সবার অলক্ষ্যে।

কানাডায় পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করা যায়, এটা সত্য। তাই বলে, কানাডায় টাকা কামিয়ে নিজে পড়বেন, একইসাথে, দেশের বাড়িতেও টাকা পাঠিয়ে পরিবারের অর্থযন্ত্র সচল রাখবেন এমন পরিকল্পনা না করাই ভালো।

ওয়ার্ক-স্টাডি ব্যালেন্স বা ভারসাম্য সবাই ঠিকভাবে রাখতে পারে না। বিশেষত বাংলাদেশে যেসব শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জনে জড়িত হননি, তাদের জন্য এই ভারসাম্য রক্ষা আরেকদফা চ্যালেঞ্জ। কানাডায় পড়াশোনা করতে আসার আগে নিজেকে ভালোমতো জানুন, এবং সেভাবে প্রস্তুত হউন। তাহলে, কানাডার বাস্তবতায় নতুন-নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে না আপনাকে।

কানাডার পড়াশোনা করতে এসে তা তেমন ভালো যাচ্ছে না মনে হলে তালগোল পাকিয়ে ফেলার আগেই কানাডার লাইসেন্সধারী কোন ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট (আরসিআইসি) এর সাথে কথা বলুন।

তিনি আপনাকে একাধিক বিকল্প বাৎলে দিতে পারেন। প্রত্যেক ইমিগ্রেশন প্রত্যাশীর অবস্থা কোন না কোনভাবে ভিন্ন। তাই, একজনের জন্য যে পরামর্শ খাটে তা অন্যের বেলায় প্রযোজ্য নাও হতে পারে। তাই, আপনার পরিস্থিতিতে পরা অন্য কে কী করেছেন বা করছেন সেদিকে না তাকিয়ে নিজের উপযুক্ত কর্মপরিকল্পনা নিজেই স্থির করুন।

একজন সৎ ও অভিজ্ঞ ইমিগ্রেশন পরামর্শক আপনার সার্বিক অবস্থা বুঝে আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারেন, এবং কোনপ্রকার অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি হতেও আপনার উদ্ধার পাবার পথ দেখিয়ে দিতে পারেন। এসব ক্ষেত্রে আর যাই হউক, কনসালটেন্টের পরামর্শ না নিয়ে যেন তড়িঘড়ি রিফিউজি স্ট্যাটাস ক্লেইম করে না বসেন।

যাক, লেখাটি আর দীর্ঘ না করি। কানাডায় পড়াশোনা, বা ইমিগ্রেশন বিষয়ে কোনও বিশেষ প্রশ্ন থাকলে আমাকে নিচের ইমেইল ঠিকানায় জানাতে পারেন। পরের কোনও লেখায় আপনার আগ্রহের প্রতিফলন ঘটানোর প্রয়াস থাকবে। তবে, বর্তমান পর্বসহ এ সিরিজের অন্য পর্বগুলোতে কানাডা ইমিগ্রেশন বিষয়ে যে সাধারণ আলোচনা করা হয়েছে তা যেন কোনভাবেই লিগ্যাল অ্যাডভাইজ বা আইনি পরামর্শ হিসেবে বিবেচনা করা না হয়। সুনির্দিষ্ট আইনি পরামর্শ দেওয়া হয় ব্যক্তিগত সাক্ষাতে, সাধারণ আলোচনায় নয়।

এছাড়া, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এ নিয়মিত চোখ রাখুন কানাডা ইমিগ্রেশন নিয়ে আমার নতুন নতুন লেখা পড়তে।

লেখক: কানাডীয় ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট, আরসিআইসি। পরিচালক, এমএলজি কানাডা ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস।

ইমেইল: info@mlgimmigration.com; / ফেইসবুক: ML Gani

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি- ০১: ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি-০২: চিকিৎসা বিদ্যার কদর এবং ভর্তির যোগ্যতা  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি-০৩: কনসালটেন্ট কতটা জরুরি?  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি- ০৪: ‘স্কুলিং ভিসা’য় আপনি নিজেও কি কানাডায় যেতে পারেন?  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি- ০৫: বয়স্করা কেন, কিভাবে কানাডায় পড়তে যাবেন?  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি- ০৬: আপনার কানাডিয়ান জব অফার ঠিক আছে তো?  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি- ০৭: বিয়ে করে কানাডা যেতে চান?  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি-০৮: কানাডায় পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নিতে কী কী বিবেচনায় রাখবেন?  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ০৯: আপনি কি বাস্তবেই ‘কমন ল' সম্পর্কে আছেন?  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ১০: আপনাকে কানাডায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না?  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ১১: একজন কানাডিয়ান কাকে কানাডায় স্পনসর করতে পারেন, কাকে পারেন না?  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ১২: আপনি কি সরাসরি কানাডার সিটিজেন হবার আবেদন দাখিল করতে পারেন?  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ১৩: কানাডার ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যেটুকু না জানলেই নয়   

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ১৪: দ্বৈত অভিপ্রায় নিয়ে কি কানাডায় যাওয়া যায়?  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ১৫: কানাডা ভ্রমণ বা ইমিগ্রেশনে ভুল তথ্য উপস্থাপন কতটা মারাত্মক হতে পারে?  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ১৬: ইমিগ্রেশন কন্সাল্টেন্সির নামে একটি প্রতারণার কাহিনী  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ১৭: স্ত্রীকে নির্যাতনের শেষ ফল কী?  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ১৮: শিক্ষার্থী ভিসা নিয়ে যা জানতে হবে  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ১৯: কানাডার পিআর স্ট্যাটাস কি আসলেই স্থায়ী?  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ২০: শরণার্থী হিসেবে অভিবাসন আবেদনে করণীয়  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ২১: স্টাডি পারমিট বা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন কেন প্রত্যাখ্যাত হয়?  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ২২: কনসালটেন্ট এর এজেন্ট কি ইমিগ্রেশন সেবার চুক্তি করতে পারে?  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ২৩: বড় ডিগ্রি যেভাবে লক্ষ্য অর্জনের পথে বাধা  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ২৪: কত দামের বাড়ি কিনলে কানাডার পিআর পাওয়া যায়?  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ২৫: এলএমআইএ কী এবং কিভাবে পাওয়া যায়?  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ২৬: ইমিগ্রেশন এজেন্টের ভুলে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কি?  

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ২৭: ‘কনসালটেন্ট’ ভেবে এজেন্টের পাল্লায় পড়েননি তো?

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ২৮: 'এক্সপ্রেস এন্ট্রি' মানে কি বর্ধিত ফি'তে এক্সপ্রেস সার্ভিস?

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ২৯: স্কলারশিপ পেলেই কি বিদেশে যাবেন!

কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ৩০: বিজনেস ভিসায় টাকাই কি মূল বিবেচ্য?