নারী পাচার ও নির্যাতন: বরিশালে দণ্ডিত ওমান প্রবাসী কারাগারে

২৫ ফেব্রুয়ারি আসামির অনুপস্থিতিতে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত।

বরিশালে মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করা দণ্ডিত কবির মৃধাকে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

বরিশালের এক নারীকে ওমানে পাচার করে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের মামলায় ১০ বছরের দণ্ড পাওয়া এক প্রবাসীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার ওমান প্রবাসী ওই ব্যক্তি বরিশালে মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক মো. সোহেল আহমেদ তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান আদালতের বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা।

দণ্ডিত কবির মৃধা (৪৫) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মো. রফিক মৃধার ছেলে।

এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিচারক সোহেল আহমেদ আসামির অনুপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে কবির মৃধাকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়; যা অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাস কারাবাসে থাকতে হবে বলে জানান বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা।

এ ছাড়া জরিমানার অর্থ পাচারের শিকার নারীকে দেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।

তুহিন মোল্লা বলেন, স্বামী সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর এক সন্তানের জননীকে ওমানে মাসিক ২৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখান কবির মৃধা। এতে সাড়া দিয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ওই নারী কবির মৃধার পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা দেন।

২০১৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর ওই নারীকে ওমান পাঠানো হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর তাকে কোনো কাজ না দিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখেন কবির মৃধা। পরে তাকে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে রাজি না হলে তাকে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন করা হয়।

এ ঘটনায় ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী ওই নারীর ভাই বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা করেন বলে জানান আদালতের বেঞ্চ সহকারী।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি কবির মৃধার অনুপস্থিতিতে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান তুহিন মোল্লা।