০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
সম্পাদক, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি (ছোটকাগজ)। ‘যার যার বাঁশি ও বন্দুক’ ও ‘শিশিরের বুকে শিস দিয়ে’ তার প্রকাশিত দুটি কবিতার বই। ‘আমাদের শিক্ষা: বিচিত্র ভাবনা’ ও ‘আমাদের শিক্ষা: নানা চোখ’ যৌথভাবে সম্পাদিত শিক্ষাবিষয়ক দুটি প্রবন্ধ-সংকলন। তিনি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লিখে থাকেন। পেশায় একজন সমাজকর্মী।
এখন কমবেশি সবাই জানে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ— এই শব্দগুচ্ছ এক ভয়ঙ্কর নীলনকশার সারসংক্ষেপ। যা ধ্বংস করেছে আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, মিশর ও সিরিয়াকে। যার ফল চলমান গাজার গণহত্যায়।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধতা করতে গিয়ে কেউ যদি হিটলার ও নাৎসিবাদের জয়গান করেন তবে তারা জায়নবাদের ফাঁদেই পা দেবেন।
আজকের দুনিয়ায় জায়নবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক যুক্তরাষ্ট্র। তাদের সঙ্গে দেড় বছর ধরে ফিলিস্তিনে চালানো ইসরায়েলি গণহত্যায় যুক্তরাজ্যও পৃষ্ঠপোষকতা করে চলেছে।
অস্ত্রব্যবসায়ী ক্ষুদ্র এক ধনিক গোষ্ঠীর কুক্ষিগত হয়ে পড়া এই পৃথিবীকে পুনরায় উদার আদর্শের মানবিক বিশ্বে রূপান্তর করতে না পারলে দেশে দেশে আরও অনেক রক্তাক্ত দিনরাতের আবির্ভাব ঘটবে।
আফ্রিকান একটি প্রবাদে আছে– একটি শিশুকে গড়ে তুলতে লাগে একটি গ্রাম। আমরা আরেক ধাপ এগিয়ে বলতে পারি– একটি শিশুকে গড়ে তুলতে লাগে একটি রাষ্ট্র।
পুতিনের ব্যাপারে ট্রাম্প সত্য কথাই বলেছেন যে, এ যুদ্ধ পুতিন শুরু করেননি, আর সেইসঙ্গে মিথ্যাও বলেছেন যে, এ যুদ্ধের হোতা জেলেনস্কি। ট্রাম্প যে সত্য কোনোদিনই বলবেন না, তা হচ্ছে, এই যুদ্ধ আমেরিকা ও ন্যাটো জোটের উস্কানির ফল।