০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১
গবেষক ও শিক্ষক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতি শাস্ত্রে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটি থেকে রাজনীতি বিজ্ঞানে মাস্টার্স এবং পিএইচডি। শিক্ষকতা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্দার্ন অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পড়াচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকান পাবলিক ইউনিভার্সিটি সিস্টেমের স্কুল অফ সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্লোবাল স্টাডিসে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থ Water for Poor Women: Quest for an Alternative Paradigm। বিভিন্ন জাতীয়, এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে রাজনীতির নানাবিধ বিষয়ে গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ। এর বাইরেও বাংলা এবং ইংরেজিতে লেখালেখি করেন দেশ এবং বিদেশের বিবিধ মাধ্যমে।
বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আর যাতে কখনো কোনো ক্ষমতাসীন দল ফ্যাসিবাদী না হয়ে ওঠে, তার জন্য সবচেয়ে যেটা জরুরি তা হলো গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের ন্যূনতম শর্ত হচ্ছে রাজনৈতিক দলের অধীনে নির্বাচন হয়ে ওই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের পরাজিত হবার নজির থাকা।
আওয়ামী নেতৃত্ব এবং আওয়ামী ব্যানারে সুবিধাপ্রাপ্তদের একটাই লক্ষ্য ছিল, যে মতাদর্শকে ভিত্তি করে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেটাকেও ব্যবসায়িক পণ্যে পরিণত করে অর্থনৈতিক লুটপাট, টাকা পাচার এবং ঋণ খেলাপি হওয়া।
বিশ্বের অন্য যে কোনো জায়গায় যত বিপ্লব হয়েছে, তার সবই হয়েছে রাজনৈতিক ব্যানারে, সুস্পষ্ট একটা রাজনৈতিক লক্ষ্য সামনে রেখে। তাহলে, বাংলাদেশে কেন দলীয় ব্যানারে, নির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য বা মতাদর্শকে সামনে রেখে সরকারের পতন ঘটানো গেল না?
কোনো রাষ্ট্রের পক্ষেই অন্য দেশের জনগণকে সংগঠিত করে আন্দোলন, লড়াই, সংগ্রাম পরিচালনা করা সম্ভব নয়। গণঅভ্যুত্থান বা বিপ্লবের পরিস্থিতি শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে তৈরি হয়।
নতুন রাজনৈতিক পরিসর গঠন এবং ক্ষমতা কাঠামোর পালা বদলের আকাঙ্ক্ষা থেকে জুলাই বিপ্লব হলেও, বিপ্লব পরবর্তী সময়ে পুরোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্তের অধীনেই সরকার গঠন করা হয়, যেটা বিপ্লবের চরিত্র এবং স্পিরিটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সব পক্ষের অনড় অবস্থান ফ্রান্সের রাজনীতিতে বিভাজনের মাত্রা তীব্র করেছে। এর সবকিছুই পেনের নেতৃত্বে দক্ষিণপন্থিদের রাজনৈতিক সুবিধা দিচ্ছে।