কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ২৩: বড় ডিগ্রি যেভাবে লক্ষ্য অর্জনের পথে বাধা

আড়াই থেকে তিন দশক আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ ছাড়া দেশের অন্য কোথাও বিবিএ-এমবিএ পড়ার সুযোগ ছিল না। তখন আইবিএ ডিগ্রিধারীদের বিশেষ কদর ছিল বাংলাদেশে। আইবিএ থেকে তারা পাস করে বেরোনোর পরপরই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বড় চাকরি পেয়ে যেতেন দ্রুত। বিবিএ-এমবিএ ডিগ্রিধারী কেউ বেকার রয়েছেন, সে আমলে এমনটি কল্পনা করা কঠিন ছিল।

এম এল গনি, কানাডা থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2021, 06:39 PM
Updated : 22 Sept 2021, 10:05 PM

অথচ, আজকাল সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে যতসংখ্যক বা যে মানের বিবিএ-এমবিএ ডিগ্রিধারীরা বের হচ্ছেন তাদের অনেকের পক্ষে কাপড়ের দোকানে সেলসম্যানের চাকরি খুঁজে পাওয়া পর্যন্ত দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এর অর্থ, মানসম্পন্ন লেখাপড়া না হলে কেবল ডিগ্রিতে কাজ হয়না। অনেকক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদসর্বস্ব সর্বোচ্চ ডিগ্রি পেশাজীবনে অগ্রগতির প্রতিবন্ধকও হয়ে দাঁড়াতে পারে।

কানাডার রেজিস্টার্ড ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট (আরসিআইসি) হিসেবে কাজ করতে গিয়ে এমন ঘটনা প্রায়ই আমার চোখে পড়ে। এমন একটি দৃষ্টান্ত আজকের এ লেখায় তুলে ধরতে চাই। আগেভাগেই বলা ভালো, এ লেখা উচ্চশিক্ষার বিপক্ষে নয়। তবে, মানহীন সনদসর্বস্ব ডিগ্রির বিপক্ষে।

সন্দীপন (ছদ্মনাম) নামের একজন কানাডা ইমিগ্রেশন বিষয়ে যোগাযোগ করেছেন আমার সাথে। তিনি একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এবং এমবিএ ডিগ্রি করেছেন। বছর পাঁচেকের কাজের অভিজ্ঞতা আছে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে। তিনি আমার কাছে জানতে চাইছেন তার কানাডা ইমিগ্রেশন আবেদন সফল হবার সম্ভাবনা কতখানি আছে বা নেই?

কানাডা ইমিগ্রেশনে 'এক্সপ্রেস এন্ট্রি'র সাথে কমবেশি অনেকেই পরিচিত। সন্দীপনের প্রোফাইল পরীক্ষা করে তিনি 'এক্সপ্রেস এন্ট্রি’র আওতায় আবেদন করতে পারেন কিনা তা পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখা গেল তার আইইএলটিএস-এ ন্যূনতম স্কোর নেই।  আইইএলটিএস-এ লিসেনিং, রিডিং, স্পিকিং এবং রাইটিং- এই চারটি বিভাগের কোনটিতে ৬ এর কম পেলে স্কিল্ড ওয়ার্কার ক্যাটাগরিতে 'এক্সপ্রেস এন্ট্রি'র আওতায় কানাডা ইমিগ্রেশনের আবেদন দাখিল করা যায় না।  

সন্দীপন জানালেন, তিনি ইতিমধ্যে তিনবার আইইএলটিএস পরীক্ষা দিয়েছেন, কিন্তু কোনবারই এক সাথে চার বিভাগে ৬ তুলতে সক্ষম হননি। বিরক্তিকর এই আইইএলটিএস তিনি আর দিতে চান না। তাই বর্তমানে তার আইইএলটিএস- এর যে স্কোর আছে তা দিয়ে কিভাবে আবেদন করা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ চাইলেন।

কানাডা ইমিগ্রেশন এর ফেডারেল, প্রভিন্সিয়াল ও রিজিওনাল প্রোগ্রামসহ কোন প্রোগ্রামেই সন্দীপন সরাসরি আবেদনের যোগ্য বিবেচিত না হওয়ায় তাকে কানাডায় পড়াশোনার পরামর্শ দিলাম। কানাডা থেকে জব অফার সংগ্রহ করা গেলে তিনি কিছু প্রোগ্রামে আবেদন করার উপযুক্ত হতে পারেন। কিন্তু কানাডার বাইরে থেকে কানাডা থেকে জব অফার পাওয়া প্রায় অসম্ভব বলা চলে। তাই, সে পথে সময় অপচয় না করে তাকে কানাডায় পড়াশোনা করার পরামর্শ দিলাম। বলা বাহুল্য, কানাডায় পড়াশোনা করলে কানাডায় চাকরি পাওয়া এবং একই সাথে ইমিগ্রেশন পাবার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

পৃথিবীর প্রায় ১৮০টি দেশ থেকে মানুষ কানাডায় এসেছে। ফলে, সবদেশের শিক্ষার মান সম্পর্কে কানাডার বিশদ ধারণা না থাকাই স্বাভাবিক। যে কারণে তারা নিজেদের দেশের পড়াশোনা ও কাজের উপর আস্থা রাখে অনেক বেশি। এ কারণেই কানাডা একজন বিদেশি নাগরিকের ইমিগ্রেশনের আবেদন বিবেচনার সময় 'কানাডিয়ান শিক্ষা' ও 'কানাডিয়ান কাজের অভিজ্ঞতা' থাকলে অতিরিক্ত কিছু পয়েন্ট যোগ করে দেয়। ফলে, এ ধরনের প্রার্থীর ইমিগ্রেশন আবেদন সফল হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

অবশেষে কানাডায় লেখাপড়ার প্রস্তাবে রাজি হলেন সন্দীপন। তারপর তার প্রোফাইলের সাথে মেলে এবং একইসাথে কানাডা ইমিগ্রেশন পাওয়ার উপযোগী স্টাডি প্রোগ্রাম খুঁজে বের করতে আমাদের টিম (এমএলজি ইমিগ্রেশন) কাজে লেগে গেল। আমরা চেষ্টা করি যথাসম্ভব কম খরচে ও সময়ে শেষ করা যায় এমন স্টাডি প্রোগ্রাম খুঁজে বের করতে, যা পরে কানাডায় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ওয়ার্কপারমিট ও ইমিগ্রেশন পেতে সহায়ক হতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট হিসেবে কানাডায় পড়াশোনা ব্যয়সাধ্য ব্যাপার। অনেকের পক্ষেই এত বিশাল খরচ বহন সম্ভব হয় না। কানাডায় 'ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট' তারাই যাদের কানাডার পিআর স্ট্যাটাস বা সিটিজেনশিপ নেই।

সন্দীপনের জন্য উপযুক্ত স্টাডি প্রোগ্রাম খুঁজে পেতে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছিল। কারণ, তিনি ইতিমধ্যে বাংলাদেশ থেকে এমবিএ-র মতো বড়ো ডিগ্রি অর্জন করে ফেলেছেন। যারা কানাডায় প্রবেশের আগেই বড় বড় সব ডিগ্রি অর্জন করে ফেলেছেন তারা কেন আবার নতুনভাবে পড়ালেখা শুরু করবেন তা সহজে ভিসা অফিসাররা বুঝতে পারেন না। ফলে, সন্দীপনের মতো প্রার্থীদের জন্য কম খরচ ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের কোন জুতসই স্টাডি প্রোগ্রামে অ্যাডমিশন অফার পাওয়াও দুষ্কর হয়ে পড়ে। আশা করি, বোঝাতে পেরেছি দেশের বড়ো ডিগ্রি কিভাবে কানাডায় আপনার শিক্ষা পরিকল্পনা কঠিন করে তোলে।

এছাড়া, অ্যাডমিশন অফার কোনওপ্রকারে জোগাড় করা সম্ভব হলেও ভিসা পাবার জোরালো সম্ভাবনা থাকে না এ ধরনের প্রার্থীর। কারণ, ভিসা অফিসার ইতিমধ্যে মাস্টার্স ডিগ্রি, কোন কোন ক্ষেত্রে পিএইচডি অর্জন করে ফেলেছেন এমন ব্যক্তি কেন ছোটখাট স্টাডি প্রোগ্রামে ভর্তি হয়ে কানাডা আসতে চাইছেন তা সহজে বুঝে উঠতে পারেন না। কানাডা নিজেদের প্রয়োজনে ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী সেদেশে নিয়ে যেতে চাইলেও এভাবে পড়ালেখার অজুহাতে ভিন্ন উদ্দেশ্যে (ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে স্থায়ী অভিবাসন) কানাডায় প্রবেশের অনুমতি দিতে চায় না। একারণেই স্টুডেন্ট ভিসা (স্টাডি পারমিট) এর আবেদন দাখিলের সময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতে হয় যে শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।

বড় ডিগ্রির পাশাপাশি ইংরেজি ভাষার দক্ষতাও আনুপাতিক হারে বাড়াতে সক্ষম না হলে সে ডিগ্রি আপনার কানাডা ইমিগ্রেশনের লক্ষ্য পূরণে সহায়ক না হয়ে বরং প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই, যাদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার অভাব রয়েছে তারা কানাডা ইমিগ্রেশনের চিন্তা মাথায় থাকলে উচ্চ ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি আইইএলটিএস-এও ভালো মানের স্কোর তোলার প্রচেষ্টা চালাতে পারেন।

অপরদিকে উচ্চমাধ্যমিক, এ লেভেল বা ব্যাচেলর ডিগ্রি করে কানাডায় পড়াশোনা করতে গেলে বিভিন্ন প্রকারের এক বা দুই বছর মেয়াদী ইমিগ্রেশন উপযোগী স্টাডি প্রোগ্রামে (ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম) আবেদনের পথ খোলা থাকে। এসব ডিপ্লোমা প্রোগ্রামে খুব উঁচু মানের আইইএলটিএস স্কোরও লাগে না। বোধগম্য কারণেই, মাস্টার্স ডিগ্রিধারীদের জন্য এসব প্রোগ্রামের অনেকগুলোই সুইটেবল বা উপযুক্ত বিবেচনা করা হয় না। ফলে, সেক্ষেত্রে ভিসা পাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়তে পারে।

বলার অপেক্ষা রাখে না, আমাদের টানা উদাহরণ সন্দীপনের পড়াশোনা বা ডিগ্রি কিছুটা কম হলে তার জন্য সহজ কোন স্টাডি প্রোগ্রাম নির্বাচন কঠিন হতো না। তাছাড়া ভিসা অফিসারও সন্দীপন সত্যি সত্যি কানাডায় পড়াশোনা করতে আসছেন কি ভিন্ন উদ্দেশ্যে আসতে চাইছেন- তা নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতেন বলে মনে হয় না। মোট কথা, কানাডায় পড়াশোনার ক্ষেত্রে সন্দীপনের উচ্চশিক্ষাই তার জন্য একপ্রকার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন বেকায়দা অবস্থায় সন্দীপন একা নন, অনেকেই।

প্রসঙ্গত বলা দরকার, বাংলাদেশে যেভাবে সবাই গণহারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করতে চায় কানাডার পরিবেশ তেমন নয়। কানাডায় থিওরিটিক্যাল ডিগ্রির চেয়েও প্রায়োগিক (অ্যাপ্লাইড) ডিপ্লোমার কদর বেশি। উদাহরণস্বরূপ, একজন মেকানিক, প্লাম্বার বা ইলেক্ট্রিশিয়ান যে পরিমাণ অর্থ আয় করেন, একজন ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ারও হয়তো সে পরিমাণ আয় করেন না। এসব ট্রেড কোর্সের জন্য পড়াশোনা করতে হয় হাইস্কুলের পর কেবল দুই বা তিন বছর। এসব প্রোগ্রামে ভর্তির যোগ্যতাও অনেক সহজ।

স্বল্প দৈর্ঘ্যের অ্যাপ্লাইড প্রোগ্রাম সম্পন্ন করে যদি ভালো আয় উপার্জন করা যায় তাহলে মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ডিগ্রি নিতে যাবে কেন? বাস্তবতা হলো,  কানাডার মতো দেশে যারা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনায় যান তারা আদপেই উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহী ও মনোযোগী। কেবল নিজেকে জাহির করার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন ওসব দেশের নাগরিকরা করেন না। এর অনিবার্য ফল দাঁড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার উন্নত মান ও বিশ্বমানের গবেষণা।

এ লেখায় কানাডায় পড়াশোনার ব্যাপারে আগ্রহীদের জন্য কিছু তথ্য পরিবেশন যৌক্তিক মনে করি। বিষয়গুলো জানা থাকলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেও সুবিধা হবে।

- কানাডায় ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের পড়াশোনার খরচ কানাডার স্থায়ী অভিবাসীদের (পিআর বা, সিটিজেন) তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। একইসাথে এও সত্য যে, কানাডায় পড়াশোনার খরচ সমকক্ষীয় অনেক দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম।

- কানাডায় ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টরা সেমিস্টারের সময় প্রতি সপ্তাহে বিশ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারে, এবং স্কুল বিরতির সময় পূর্ণ-সময়ের জন্য কাজ করতে পারে। কানাডায় পূর্ণকালীন কাজ বলতে সাধারণভাবে সপ্তাহে চল্লিশ ঘণ্টা কাজ বোঝানো হয়।

- প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, একজন ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট'এর স্পাউস (স্বামী বা স্ত্রী) কানাডার শিক্ষার্থীর সাথে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, স্পাউস বা পার্টনাররা ওপেন ওয়ার্ক পারমিটও পেতে পারেন; ফলে তারা কানাডার যে কোনও স্থানে এবং যে কোনও নিয়োগকর্তার অধীনে কাজ করতে পারেন।

* ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের শিশুদের কানাডার স্কুলে স্টাডি পারমিট ছাড়াই পড়ানো যায়।

* কানাডায় দুই বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য পড়াশোনা করলে তিন বছর পর্যন্ত ওপেন ওয়ার্ক পারমিট পাবার সুযোগ তৈরি হয়। এই পড়াশোনা ও কাজের অভিজ্ঞতা পরবর্তীতে কানাডায় স্থায়ী অভিবাসন বা পিআর আবেদনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। 

* কানাডায় স্টাডি পারমিটের মাধ্যমে ছাত্র হিসেবে অবস্থানকালীন সময়ের একটি অংশ পরবর্তীতে নাগরিকত্ব লাভের ক্ষেত্রেও কানাডায় বসবাসের সময়কাল হিসেবে গণ্য হয়।  

যাক, এ লেখা আর দীর্ঘ না করি। কানাডায় পড়াশোনা, বা ইমিগ্রেশন বিষয়ে কোনও বিশেষ প্রশ্ন থাকলে আমাকে নিচের ইমেইল ঠিকানায় জানাতে পারেন। পরের কোনও লেখায় আপনার আগ্রহের প্রতিফলন ঘটানোর প্রয়াস থাকবে।

তবে, বর্তমান পর্বসহ এ সিরিজের অন্য পর্বগুলোতে কানাডা ইমিগ্রেশন বিষয়ে যে সাধারণ আলোচনা করা হয়েছে তা যেন কোনভাবেই লিগ্যাল অ্যাডভাইজ বা আইনি পরামর্শ হিসেবে বিবেচনা করা না হয়। কারণ, সুনির্দিষ্ট আইনি পরামর্শ দেওয়া হয় ব্যক্তিগত সাক্ষাতে, সাধারণ আলোচনায় নয়। মনে রাখবেন, প্রত্যেকের ইমিগ্রেশন কেইসই কোন না কোনভাবে আলাদা। তাই, একই ধরনের সমাধান সবক্ষেত্রে সুফল নাও বয়ে আনতে পারে।

এছাড়া, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এ নিয়মিত চোখ রাখুন কানাডা ইমিগ্রেশন নিয়ে আমার নতুন নতুন লেখা পড়তে। ভবিষ্যতে আপনাদের সাথে আরো অনেক মূল্যবান তথ্য সহভাগের প্রত্যাশা নিয়ে আজ এখানেই শেষ করি।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!

লেখক: কানাডীয় ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট, আরসিআইসি।

ইমেইল: info@mlgimmigration.com; / ফেইসবুক: ML Gani

এ সিরিজের বাকি লেখা: