প্রশাসন বলছে, আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজন ‘বেশি ত্রাণের আশায়’ এসব অভিযোগ করছেন।
Published : 22 Jun 2024, 12:28 AM
কোরবানি ঈদের রাতেই পানি উঠতে শুরু করেছিল সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আদর্শ গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ঘরে, তাই পরিবার নিয়ে হাজির হয়েছিলেন আশ্রয়কেন্দ্রে। সেখানে কাটছে দুর্বিষহ সময়।
সদর প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ইসমাইল শুক্রবার দুপুরে বলেন, “মঙ্গলবার থেকে ১৩ সদস্যের পরিবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছি। শুধু বৃহস্পতিবার এক প্যাকেট করে চিড়া পেয়েছি। সরকারি চাল, শিশু খাদ্যসহ কোনো সহায়তা পাইনি।
“ঘরের ভেতরে এখনও হাঁটুপানি রয়েছে। পানি না নামলে যাওয়া যাবে না। পরিবারের বাচ্চাসহ সবাই খাবার চলছে কিনে। খেয়ে না খেয়েও আমরা দিন কাটাচ্ছি।”
প্রায় একই ধরনের অভিযোগ করেন গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের সালুটিকর ডিগ্রি কলেজে এবং নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের ভবনের নিচে আশ্রয় নেওয়া বন্যার্তরাও।
কেউ হয়ত পেয়েছেন এক প্যাকেট আখনি (পোলাওয়ের চাল, মাংস ও ছোলা বুট মিলিয়ে তৈরি করা খাবার) বা খিচুড়ির প্যাকেট, তবে মেলেনি শিশুখাদ্য। গবাদিপশুর খাদ্য নিয়েও তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
তবে প্রশাসন বলছে, আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজন ‘বেশি ত্রাণের আশায়’ এসব অভিযোগ করছেন।
নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে অবশ্য হয়েছে। বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে কমেছে। ফলে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা কেউ কেউ ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে ঢেউয়ের তোড়ে ভেঙে যাওয়া ঘর-বাড়ি মেরামত নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছে।
‘কেনা খাবারে দিন কাটছে’
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সদর প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় আদর্শ গ্রামের ১৩৫টি পরিবার। সঙ্গে নিয়ে আসা হয়েছে গুরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি।
শুক্রবার দুপুরে সেখানে ইসমাইল মিয়া ছাড়াও কথা হয় আদর্শ গ্রামের মো. খোকন মিয়ার সঙ্গে। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আট সদস্যের পরিবার নিয়ে এসেছি আশ্রয়কেন্দ্রে। এখানে শুধু এক প্যাকেট চিড়া বৃহস্পতিবার পেয়েছি। ছেলেমেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে।”
ফুলচান বিবি ৬ সদস্যের পরিবার নিয়ে মঙ্গলবার রাতে খাটের উপর খাট তুলে রাত কাটান। তাদের ঘরে কোমর সমান পানি ছিল। পরে সকালে আশ্রয়কেন্দ্রে আসেন।
“আমার নিজেদের টাকায় কেনা খাবার খেয়ে দিন পার করছি। ছোট বাচ্চাদের জন্যও কোনো কিছু দেওয়া হয়নি।”
উপজেলার কাঁঠালবাড়ির মো. ছাদেক মিয়া বলেন, “ঘরে কোমর পানি রেখে এসেছিলাম। মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কোনো খাবার পাইনি। আমরা এখানে যারা রয়েছি তারা সবাই প্রতিদিন কাজে গেলে খাবার আছে এই রকম মানুষ। পানির কারণে কাজ বন্ধ, আয়ও বন্ধ। তাই খেয়ে না খেয়ে দিন যাচ্ছে।”
একই রকম বাস্তবতায় সাদেক মিয়াসহ অনেকে।
শিশু খাদ্য, গো-খাদ্যের কী হবে
শুক্রবার সকালে গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের সালুটিকর ডিগ্রি কলেজে গিয়ে দেখা যায় ১০ থেকে ১৫টি পরিবার অবস্থান করছে।
পানি কমতে শুরু করায় অনেকে চলে গেছেন, তবে যাদের বাড়িতে এখনও পানি, তাদের সেই উপায় নেই।
গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা লাকী বেগম বুধবার আশ্রয়কেন্দ্রে আসেন।
“প্রথমদিন এক প্যাকেট আখনি পেয়েছিলাম, তারপর আজ (শুক্রবার) পেয়েছি খিচুড়ির প্যাকেট। আমার তিনটা ছোট বাচ্চা আছে; তাদের জন্য কোনো সরকারি খাবার দেওয়া হয়নি। একটার বয়স দেড় মাস, আরেকটা তিন বছরের আর সাত বছরের বাচ্চা নিয়ে বন্যার কারণে চরম কষ্টে আছি।”
একই ভাষ্য পাশে থাকা এক ছেলে বাচ্চার মা মৌসুমী বেগমের।
রানীগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা জাহের আলী বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আছি। মেম্বারের মাধ্যমে পেয়েছি মাত্র দুই প্যাকেট রান্না করা খাবার। প্রথমদিন এক প্যাকেট আখনি আর শুক্রবার এক প্যাকেট খিচুড়ি।
“আমার পরিবারে চারজন, নিজেদের টাকায় কিনে খাবার খাচ্ছি। পাইনি গুরুর খাদ্যও। আমার ঘরে এখনো হাঁটু সমান পানি। তাই ফিরতেও পারছি না।”
সাত জনের পরিবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা নেছারুন বিবি বলেন, “আমার বাসায় বুক পানি হয়েছিল। বাসার জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।”
গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ভবনের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন রানীগঞ্জ ও করগাঁওয়ের আরও ১৩টি পরিবার।
এই আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হালিমা বেগম বলেন, “চার দিনে দুই প্যাকেট খাবার পেয়েছি, আর বৃহস্পতিবার এক প্যাকেট চিড়া। আমার ছয় বছরের একটি ছেলে আছে আর ১১ বছরের মেয়ে তাদের জন্য কোনো কিছু দেওয়া হয়নি।
“আমরা গরিব মানুষ, কাজ করলে টাকা পাই, না করলে নাই। বন্যার জন্য কোনো কাজ নাই, তাই একরকম না খেয়েই দিন কাটছে আমাদের।”
পাশে থাক রাহেনা বেগম বলেন, “খুব কষ্টে আমাদের দিন যাচ্ছে। আমার ঘরের বেড়া ক্ষতি হয়েছে, ঘরের জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে। বুক পানি হয়েছিল, এখনও ঘরে হাঁটু পানি।”
পরিবারের ১১ জন নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা হাজেরা বেগম বলেন, “আমার নাতি নাহিদুলের দুই দিন ধরে জ্বর। আজকে শুক্রবার ডাক্তারে পাঠানো হয়েছে। দিন কাটছে খেয়ে না খেয়ে।”
নৌকা দিয়ে আসা-যাওয়া
সালুটিকর ডিগ্রি কলেজের পাশে রানীগঞ্জ, করগাঁও ও গুচ্ছগ্রামের অনেক বাসিন্দাদের বাড়ি ও আঙ্গিনায় পানি দেখা গেছে সকালে। কারো কারো ঘরের ভেতরেও পানি।
গুচ্ছ গ্রামের ঘরগুলোর ভেতরে পানি চোখে পড়েছে। ডুবে আছে তাদের চলাচলের রাস্তা।
সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ধান, কাপড় শুকাতে দেখা গেছে। সড়কের কয়েকটি স্থানে ত্রিপল টাঙিয়ে গবাদিপশু রাখতেও দেখা গেছে।
উপজেলার প্রধান সড়ক ছাড়া বিভিন্ন স্থানে ইঞ্জিন ও হাতে বাওয়া নৌকা দিয়ে মানুষজন চলাচল করছে মানুষ।
চাঁদপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় মানুষজন ঘরবাড়ি ও জিনিসপত্র পরিষ্কার করছে। কেউ ব্যস্ত পানির তোড়ে ভেঙে যাওয়া ঘরের বেড়া মেরামতে। ঘরের চারপাশের মাটি সরে যাওয়া স্থান ঢেকে রাখার কাজ করতে দেখা গেছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদরের হাবিব স্টোরের মালিক মো. হাবিব বলেন, “ঈদের দিন রাতে পানি উঠেছিল। দোকানে হাঁটুসমান পানি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে পানি কমেছে। পানিতে দোকানের ক্ষতি হয়েছে। পরিষ্কার করতেই চারজন লোকের একদিন লেগেছে।”
এই ঘরে কীভাবে থাকি?
ধলাই নদী তীরবর্তী চাঁনপুর গ্রামের ৭৬ বছর বয়সী সুলেমান মিয়া নিজের ঘর দেখিয়ে বলেন, “দেখেন না কি অবস্থা করেছে আফালে (ঢেউ)। মঙ্গলবার রাতে পানি উঠলে পরদিন আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাই। শুক্রবার সকালে ঘরে ফিরেছি, এখন এই ঘরে কীভাবে থাকি? এখন কীভাবে ঘর ঠিক করব বুঝতে পারছি না।”
একই এলাকার নরুল আমিন বলেন, “পানির স্রোত আর আফালে আমার ঘরের বেড়ার অবস্থা শেষ। মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে পানি উঠার পর পরিবারের ছয় সদস্য ও গরু-বাছুর নিয়ে খুব কষ্টে রাত কাটিয়েছি। খাটের উপর বসে ছিলাম বাচ্চাদের নিয়ে।
“পরে সকালে আমার এক ভাইয়ের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের নৌকা দিয়ে রেখে এসেছি। বৃহস্পতিবার বাড়িতে এসেছি আমি।”
২০১৪ সালেও পানির স্রোতে পরিবারটির পাকা ঘর ভেঙে যায়। ২০২২ সালের বন্যায় ভেঙে যায় ঘরের টিন ছাড়া বাকি সব ভেসে যায়।
নরুল হক বলেন, “ঈদের দিন থেকেই পানি বেড়েছিল। রাত ২টার দিকে হাঁটু পানি ছিল। খাটের উপর বসে রাত কাটিয়েছি। সকালে আশ্রয়কেন্দ্রে যাই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সময় বাড়িতে এসে দেখি আফালে ঘরের বেড়া ভেঙে গেছে।”
কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা কাঁঠালবাড়ির বাসিন্দা বাসিন্দা মো. আলামিন বলেন, “গত বন্যার সময় (২০২২) আমার ঘর নিয়ে গিয়েছিল আফালে। তারপর আমি ছোট একটা ঘর বানিয়েছিলাম। এই ঘরটিও শেষ করেছে এবার।”
কত সহায়তা?
সিলেট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস বুলবুল জানান, এখন পর্যন্ত সিলেটে ১ হাজার ১৭৫ দশমিক ৫ টন চাল, নগদ ৪৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ৪ হাজার ৭৯৫ প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৯ লাখ প্যাকেট শিশু খাদ্য ও সমান সংখ্যক গো-খাদ্য দেওয়া হয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “উপজেলা প্রশাসন সবখানেই ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। সালুটিকর ডিগ্রি কলেজ ও ইউনিয়ন ভবন প্রশাসনের ঘোষিত আশ্রয়কেন্দ্র না। তবে ওইখানে থাকা লোকদের ত্রাণ ও রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে।”
তার দাবি, আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজন বেশি ত্রাণের আশায় না পাওয়ার কথা বলছেন।
নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ শামীম বলেন, “বৃহস্পতিবার তাদের শুকনো খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়েছে; এ সময় এই আসনের সংসদ সদস্যও উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেকে পরিবারকে আজ (শুক্রবার) সকালেও চাল দেওয়া হয়েছে। রান্না করা খাবারও দেওয়া হয়েছে।”
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, “রান্না করা খাবার, চাল, শিশু খাদ্য ও শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে। গো-খাদ্যও বিতরণ করা হবে।”
সিলেটের অতিরিক্ত ডিসি (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, “সিলেটের কোথাও যদি ত্রাণ না যায় সেখানে আমরা দ্রুত ত্রাণ পাঠাচ্ছি। প্রত্যেক আশ্রয়কেন্দ্রের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কোনো কেন্দ্র যদি বাদ পড়ে থাকে তাহলে সেখানে দ্রুত পাঠানো হবে।”
বৃহস্পতিবার উপজেলার আয়তন ও ইউনিয়ন অনুযায়ী সবনিম্ন ২০ টন থেকে সর্বোচ্চ ৫২ টন পর্যন্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে; মোট ৪৪৪ টন চাল দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টি না হওয়ার মহানগর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। নদ নদীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টের পানি কমলেও সুরমা ও কুশিয়ারা ৫টি পয়েন্টের এখনও বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে ।
জেলা প্রশাসনের হিসাবে, ১০ লাখ ৪৩ হাজার ১৬১ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ৭১৩টি পড়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার ২৭৫ জন।
ওসমানীনগরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ও গোয়াইনঘাটে ১লাখ ৪৫ হাজার ২০০ মানুষের অবস্থা বেশি খারাপ।
জেলার ১৫৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৩৬টি ইউনিয়নের ১হাজার ৬০২টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত। আর সিটি করপোরেশনের ২৯টি ওয়ার্ডে বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা ৬০ হাজার।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা) পর্যন্ত ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি।
আরও পড়ুন:
রৌদ্রোজ্জ্বল সিলেটে স্বস্তি, কমছে বন্যার পানি
'আইজও ঘরো হাঁটু পানি, অবস্থা খুব খারাপ, রান্না-খানি নাই'
লালমনিরহাটে পানি কমছে তিস্তা-ধরলার, শুরু হয়েছে ভাঙন
কুড়িগ্রামে বন্যার অবনতি, ধরলা-তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপর
সরকারের ভুল নীতির খেসারত দিচ্ছে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ: রিজভী
গাইবান্ধায় সব নদ-নদীতে পানি বাড়ছে, বিপৎসীমার উপরে তিস্তা
এইচএসসি: সিলেট বিভাগের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত
সুনামগঞ্জে ডুবে আছে ঘরবাড়ি, ভোগান্তি চরমে
সুনামগঞ্জে দোকানপাটে পানি ঢুকে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি
ঢলে ডুবছে সুনামগঞ্জ, যোগাযোগ ও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন
বিপৎসীমার উপরে সুরমা, বন্যার শঙ্কা
বন্যা: শাবিতে ক্লাস অনলাইনে, পরীক্ষার নতুন সময়সূচি
সিলেটে কোথাও পানি কমেছে, কোথাও বেড়েছে
সিলেটে ডুবেছে নতুন এলাকা, ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যায় লাফ
সিলেটের তিন হাসপাতাল চত্বরে বন্যার পানি
নেত্রকোণায় পানিবন্দি ৮ ইউনিয়ন, আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন মানুষ