“বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢল না হলে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।”
Published : 21 Jun 2024, 03:02 PM
ভারিবর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে নাজেহাল সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
পাঁচদিন পর শুক্রবারের রৌদ্রোজ্জ্বল সকাল স্বস্তি এনেছে মানুষের মনে। বৃহস্পতিবারের চেয়ে এদিন জেলার বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানিও বিভিন্ন পয়েন্টে কমেছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন,“বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
“তবে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত কোথাও বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়নি। একইভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া যায়নি ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও।”
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৩টি ওয়ার্ডসহ জেলার ১৩টি উপজেলার ১৩০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন ৯ লাখ ৫৭ হাজার ৪৪৮ জন বাসিন্দা।
এ অবস্থায় জেলার ১৩টি উপজেলায় ৬৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬১ আশ্রয়কেন্দ্রে ২১ হাজার ৭৮৬ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
শুক্রবার বেলা ১১টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার উপরে ছিল।
সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে শুক্রবার সকাল ৯টায় প্রবাহিত হচ্ছিল বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। আগের দিন এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপরে ছিল।
এছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে শুক্রবার সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পয়েন্টে বৃহস্পতিবার পানি বিপৎসীমার ৮১ সেন্টিমিটার উপরে ছিল।
একইভাবে কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলা পয়েন্টে শুক্রবার সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে গতকাল এই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপরে ছিল বলে দীপক জানান।
এ নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, “শুক্রবার নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢল না হলে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।"