নির্বাচন পেছানোর কারণে তারা কতবড় গর্তে পড়বে তা তারা বুঝতে পারছে না।”
Published : 20 Apr 2025, 12:52 AM
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো সংস্কারের ‘প্রয়োজন নেই’ মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সংস্কারই করতে চাক, তা নির্বাচিত সংসদে পাস করতে হবে।
“দেশের ৫০ ভাগ মানুষকে বাদ দিয়ে এই সরকার যে সংস্কার করতে চাচ্ছে, তা কোনদিনই কার্যকর হবে না। সংস্কার হচ্ছে নির্বাচন পেছানোর বাহানা। নির্বাচন পেছানোর কারণে তারা কতবড় গর্তে পড়বে তা তারা বুঝতে পারছে না।”
শনিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে আয়োজিত দলের বর্ধিত সভায় কথা বলছিলেন জিএম কাদের।
তিনি বলেন, “একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হচ্ছে সকল সমস্যা সমাধানের প্রথম স্টেপ। যত দ্রুত সম্ভব সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। তার আগে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামো ঠিক করতে হবে। পুলিশ ও প্রশাসন যেন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।”
নির্বাচনের সময় সরকার যেন নিরপেক্ষভাবে কাজ করে, সেই নিশ্চয়তা চেয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “ডিসেম্বর বা ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন হলেও আমাদের আপত্তি নেই। অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচনে ডিসি ও এসপিরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবেন।”
বর্তমান সরকার কী ভূমিকা নেবে তাও স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, “একতরফা নির্বাচন করে কারোরই লাভ হবে না। একতরফা নির্বাচন হলে আবারো গণ্ডগোল হবে, এর একটা স্থায়ী সমাধান দরকার।”
কোনো কোনো দল আগে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি করলেও, এ বিষয়ে একমত নন আওয়ামী লীগের এক সময়ের জোটসঙ্গী জাপার চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, “বিচার ব্যবস্থায় কেউ বাঁধা দিচ্ছে না। ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে বিভিন্ন অজুহাতে নির্বাচন পেছানো হচ্ছে। বর্তমান সরকার বুঝতে পারছে না, নির্বাচন দীর্ঘায়িত করে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে। এই সরকার দেশ চালাতে পারবে না।
“এই সরকার বৈধ না, আবার অবৈধও না। কারণ, আমরা মেনে নিয়েছি তাই মাঝামাঝি হয়ে গেছে। নির্বাচিত সরকারকেই বৈধ সরকার বলা হয়। এই সরকার নির্বাচিত নয়, কিন্তু হাই কোর্ট এই সরকারকে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা মেনে নিয়েছি। এই সরকার যে সংস্কারই করুক তা নির্বাচিত সংসদে পাশ করতে হবে।”
অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়র করে সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা জি এম কাদের বলেন, “সামনের দিকে মহাসংকট আসবে, পয়সা থাকবে না, বিদেশ থেকে মালামাল কিনতে হবে, আমাদের চাল পর্যন্ত কিনতে হচ্ছে।”
অন্যদের মধ্যে দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার যৌথসভায় বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। এ সময় দলের শীর্ষ নেতারারাসহ বিভাগ, জেলা, মহানগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।