৪০৪টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে জানিয়ে ডিসি বলেন, সেখানে দুর্গত মানুষ আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছেন।
Published : 20 Jun 2024, 07:32 PM
ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রসহ ১৬ নদীর পানি বেড়ে চলার কারণে কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ধরলার পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ব্যাপক নদী ভাঙন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফসান বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্যমতে, পানি বাড়ার কারণে নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন সড়ক। ডুবে গেছে সবজি ক্ষেতসহ উঠতি ফসল।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জানা যায়, ধরলার পানি তালুকশিমুল বাড়ি পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার এবং তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, জেলার উপর দিয়ে ১৬টি নদী প্রবাহমান। এর মধ্যে ধরলা ও তিস্তা নদীর দুটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ফলে রাজারহাট, নাগেশ্বরী ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দুর্যোগ কবলিত মানুষের সংখ্যা তিন হাজার ৬৯১ জন। উপজেলা পর্যায়ে ১৪৪ টন চাল এবং নগদ ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ত্রাণ হিসেবে উপ-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
৪০৪টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে দুর্গত মানুষ আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছেন। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে খাদ্য সহায়তা। চারটি স্পিড বোট ও দুটি নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে বন্যার্তদের উদ্ধারের জন্য। জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
কুড়িগ্রাম ২ আসনের সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার বৃহস্পতিবার যাত্রাপুর ও পাঁচগাছি ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
তিনি জানান, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বন্যায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তাদের সহায়তায় স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।