কলমাকান্দা পয়েন্টে উব্ধাখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
Published : 19 Jun 2024, 11:08 PM
বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার আট ইউনিয়নের ৬৫টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি ঢুকতে শুরু করেছে পাশের সদর ও বারহাট্টা উপজেলার লোকালয়েও।
কলমাকান্দায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত ১৫০ পরিবারের মানুষ। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আশ্রয়কেন্দ্রেও ঠাঁই নিয়েছেন।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান জানান, উব্ধাখালি নদীর পানি বেড়ে উপজেলার আটটি ইউনিয়নে পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে সদর, বরখাপন ও পোগলা ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা ও কৈলাটি, রংছাতি ও খারনৈসহ বাকি পাঁচটি ইউনিয়নের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শন করার কথা জানিয়ে ইউএনও বলেন, “বুধবার রাতে যদি আরও পানি বাড়ে তাহলে বৃহস্পতিবার আশ্রয়কেন্দ্রে পানিবন্দি মানুষদের আনতে হতে পারে।”
এক্ষেত্রে স্কুলসহ মোট ৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুকনো খাবার, নগদ টাকার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এর মধ্যে বিশরপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে পাঁচটি পরিবারের ২০ জনের মতো আশ্রয় নেওয়ার তথ্য পেয়েছেন বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান জানান, কলমাকান্দা পয়েন্টে উব্ধাখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাছাড়া কংশ, ধনু ও সোমেশ্বরী নদীর পানিও বেড়ে চলেছে।
কলমাকান্দা সদরের মধ্যবাজারের বাসিন্দা মোজাম্মেল হক বলেন, “উপজেলা সদরসহ আশপাশের এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। উপজেলা সদর লাগোয়া চানপুর, রাজাপুর, ভোটপাড়া, মনতলা, ঘোষপাড়া, গোজাকুনিয়া, নোয়াগাও, হরিণতলা নাগডোরা এলাকায় বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে।
“পাশাপাশি গবাদিপশু নিয়েও মানুষ বিপদে আছে। রাতে যদি পানি আরও বাড়ে তাহলে ঘরে থাকাটাও সম্ভব হবে না।”
এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ রুহীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা পানি কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তারা জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বন্যার্তদের সহায়তায় কাজ করা হচ্ছে।