১০ ডিসেম্বর: সংঘাত গড়িয়ে সমঝোতার ইঙ্গিত

অনড় বিএনপি নয়া পল্টন ছাড়তে রাজি হয়েছে; পুলিশও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে সরে এসেছে। আলোচনায় এখন কমলাপুর স্টেডিয়াম ও বাঙলা কলেজ মাঠ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2022, 07:24 PM
Updated : 8 Dec 2022, 07:24 PM

‘খেলা হবে’ স্লোগান তুলে আলোচনায় থাকা ওবায়দুল কাদের দুই দিন আগেই বলেছিলেন, বিএনপির সমাবেশস্থল নিয়ে ‘সমঝোতা হবে’; তবে তারপরের ঘটনাপ্রবাহ উল্টো শঙ্কাই জাগিয়ে তুলেছিল।

মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওই কথা বলার পর কথার লড়াইয়ে বাড়তে থাকে উত্তাপ, পরদিন বুধবার তা গড়ায় সংঘাতে, যাতে প্রাণ হারান একজন, আহত হন অনেকে। বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকে কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাসহ ৪ শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্তও বিএনপি এবং ক্ষমতাসীনদের কথায় ১০ ডিসেম্বর ঘিরে উদ্বেগও ছড়াচ্ছিল, তা আরও বাড়িয়ে দেয় নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা।

তবে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পর মিলছে সমঝোতার ইঙ্গিত।

ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে দুই ঘণ্টার সেই বৈঠকের পর ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুণ অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, “একটি সমঝোতায় এসেছে।”

বিএনপির কাছে ‘অনিরাপদ’ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটিকে আর যেতে বলছে না পুলিশ; আর পুলিশের কাছে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ নয়া পল্টনেও বিএনপি সমাবেশ করছে না।

বিএনপির প্রতিনিধি দলের প্রধান, দলটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু সাংবাদিকদের বলেন, নয়া পল্টনে পুলিশ সমাবেশ করতে দেবে না, আর বিএনপিও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাবে না।

দুই পক্ষের আলোচনায় নতুন স্থান আসার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নয়া পল্টন বাদ দিলে তারা এখন কমলাপুরের ফুটবল স্টেডিয়ামে সমাবেশ করতে রাজি আছেন।

আর পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপিকে মিরপুরের বাঙলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করতে বলা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত কমিশনার হারুণ।

বুলু ও হারুণ দুজনই জানান, এখন তারা দুটি স্থানই পরিদর্শনে যাবেন। তারপর শুক্রবার এর যে কোনো একটি স্থান চূড়ান্ত করা হবে।

অথচ বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, শনিবার তারা নয়া পল্টনেই সমাবেশ করবেন।

অবস্থান পরিবর্তনের বিষয়ে বুলু রাতে বলেন, “পলিটিক্যাল স্টান্ড অনেক কিছুই থাকে। আমরা সর্বশেষ কমলাপুর বলেছি।”

Also Read: ১০ ডিসেম্বর কী হবে?

Also Read: ১০ ডিসেম্বর: কথার খেলা গড়াল সহিংসতায়

Also Read: নয়া পল্টনে পুলিশ বাধ্য হয়ে বুলেট ছুড়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Also Read: বিএনপি কার্যালয়ে অভিযানে মিলেছে ১৬০ বস্তা চাল: পুলিশ

Also Read: বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানকে ‘জঘন্য’ বললেন ফখরুল

Also Read: অফিসে ঢুকতে পারলেন না ফখরুল, বললেন ‘সমাবেশ হবে’

Also Read: বিএনপি কার্যালয় ‘ক্রাইম সিন’, নিরাপত্তার কারণেই প্রবেশ নিষেধ:  পুলিশ

Also Read: ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ নয়া পল্টনেই: ফখরুল

জাতীয় নির্বাচনের এক বছর আগে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় সমাবেশ ডাকার পর বিএনপির কয়েক নেতার মুখ থেকে ঘোষণা এসেছিল, সেদিন থেকে দেশ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কথায় চলবে।

এনিয়ে শুরু হয় আলোচনা, সেই সঙ্গে দুই প্রধান দলের নেতাদের কথার লড়াই শুরু হয়, তার মধ্যে ‘খেলা হবে’ স্লোগান নতুন করে তোলেন ওবায়দুল কাদের।

কথার লড়াই পেরিয়ে টানাপড়েন শুরু হয় সমাবেশের স্থান নিয়ে। বিএনপি নয়া পল্টনে সমাবেশ করতে চাইলেও পুলিশ তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেয়। বিএনপি তা মানতে না চেয়ে নয়া পল্টনে করার প্রস্তুতিই নিতে থাকে।

দুই পক্ষের অনমনীয় মনোভাবের মধ্যে যখন উদ্বেগ ছড়াচ্ছিল, তখন গত ৬ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অচলাবস্থা নিরসনের আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে ঘন মেঘ....ঘনীভূত হয়, আবার চট করে চলেও যায়।”

তবে তার পরদিনই নয়া পল্টনে চড়াও হয় পুলিশ। সংঘর্ষে হতাহতের পর কার্যালয়ে ঢুকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ধরে আনে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে ঢুকতেই দেয়নি।

পুলিশ অভিযোগ করেছে, বিএনপির কার্যালয় থেকে তাদের দিকে হাতবোমা ছোড়া হয়েছিল। অন্যদিকে বিএনপি পাল্টা অভিযোগ করে, তাদের ফাঁসাতে পুলিশই ওই কার্যালয়ে ঢুকে হাতবোমা রাখে।

বিনা উসকানিতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে বলে বিএনপির অভিযোগের পাল্টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পুলিশ বুলেট ছুড়তে বাধ্য হয়েছে।

বিএনপির গ্রেপ্তার প্রায় সব নেতাকে কারাগারে পাঠানোর মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালেও মির্জা ফখরুল নয়া পল্টনে গিয়ে দলের কার্যালয়ে ঢুকতে ব্যর্থ হন। এরপর গুলশানের কার্যালয়ে গিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি নয়া পল্টনেই শনিবার সমাবেশ করার ঘোষণা দেন।

তিনি এটাও বলেন, সেই সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে নতুন আন্দোলনের কর্মসূচিও ঘোষণা করবেন।

এদিনই এক অনুষ্ঠানে বিএনপিকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “চাল-ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে খেয়ে পুলিশের উপর হামলা করে সরকার পতন করা যাবে না। সরকার পতন করা এত সহজ কাজ নয়।”

বিএনপিকে আর কোনো ছাড় না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সেই সঙ্গে দেশে যাতে কেউ নৈরাজ্য তৈরি করতে না পারে, সেজন্য আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন তিনি।

এরপর রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডসহ সারাদেশেই রাস্তার মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মহড়ায় নামে, তারা বিএনপির বিরুদ্ধে সমাবেশও করে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোনো ধরনের নাশকতা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে সরকার কঠোরভাবে দমন করবে। সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কঠোর অবস্থানে আছে।”

এদিকে সমাবেশের আগে ঢাকায় অন্য বিভাগের মতো পরিবহন ধর্মঘট ডাকা না হলেও রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে বাসে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কমলাপুর রেল স্টেশনে নামা ট্রেনযাত্রীদেরও তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে।

Also Read: মকবুল নিহত, মেয়েকে নিয়ে উৎকণ্ঠা স্ত্রীর

Also Read: গাজীপুরে পুলিশের তল্লাশি, চেক করা হচ্ছে ‘ফোনের মেসেজ’

Also Read: সাভারে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশের তল্লাশি

Also Read: বিএনপির সমাবেশ: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পুলিশের তল্লাশি

Also Read: রাজনৈতিক সহিংসতার পর ঢাকার সড়কে কমেছে গাড়ি, যাত্রীও কম

Also Read: বিএনপির ১০ ডিসেম্বর: মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের মিছিল, পাহারা

‘উদ্বেগ বাড়লে মানুষ মুখ ফেরাবে’

মানুষের কথা ভেবে রাজনীতিকদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের প্রত্যাশা করছেন বিশ্লেষকরা।

“একটি সমাবেশকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ‘আমরা নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক কৌশল দেখছি না। সংঘাতময় রাজনৈতিক কৌশল দেখছি,” মন্তব্য করেছেন গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইসএলডিএস) নির্বাহী পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুর রশীদ।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিঃসন্দেহে সর্বত্র টেনশন বাড়ছে। আমি মনে করি, রাজনৈতিক কৌশল কোন দিকে তার রাজনীতিকে টেনে নিয়ে যাবে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেখতে পাচ্ছি, সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। সেটি মুখোমুখি সংঘাতের একটি পরিবেশ তৈরি করছে, সেটা কিছুটা আমরা দেখতে পাই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ।

“যত উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন সমাবেশ করার জন্যে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেন, মানুষের আস্থা তৈরি করার জন্য, নিরাপদ পরিবেশে নিশ্চিতের জন্য। যত উদ্বেগ তৈরি করবেন সমাবেশ থেকে মানুষ ফিরে যাবে। শঙ্কা, উত্তেজনা তৈরি করলে মানুষ তো জননিরাপত্তার কারণে মুখ ফিরিয়ে নেবে।”

সরকার ও বিরোধী উভয় পক্ষকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান সাবেক সেনা কর্মকর্তা রশীদ।

টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেশবাসী যেটা প্রত্যাশা করে-রাজনৈতিক সংঘাত যেন পরিহার করা হয়। এটা সকল পক্ষেরই দায়িত্ব।

“ইতোমধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। এটা আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে। এ সংঘাত, সহিংসতা উভয়পক্ষের জন্য ক্ষতিকর। এটা গণতন্ত্রর জন্য অশনি সঙ্কেত।”

তিনি বলেন, “(উদ্বেগ প্রশমনে) দলগুলোকে দায়িত্ব নিতে হবে, দলের নেতৃত্ব থেকে দায়িত্ব নিতে হবে, নেতাকর্মী সকলকে দায়িত্ব নিতে হবে।”

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অধিকার সবার রয়েছে- এটা বিবেচনায় নিয়ে সবাইকে পরমতসহিষ্ণু হওয়ার আহ্বান জানান ইফতেখারুজ্জামান। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনের নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ভূমিকাও প্রত্যাশা করেন তিনি।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এক বিবৃতিতে বলেছে, শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করা যে কোনো ব্যক্তি কিংবা রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার ও মৌলিক মানবাধিকার। এক্ষেত্রে বাধা দেওয়া কিংবা বলপ্রয়োগ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থি।

Also Read: ব্রিটিশদের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে চলাচলে সতর্ক থাকার পরামর্শ

Also Read: সহিংসতায় উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের, ঢাকায় নাগরিকদের জন্য সতর্কতা

Also Read: বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চেয়ে ১৪ দেশ ও ইইউর বিবৃতি

Also Read: নয়া পল্টনের ঘটনা তদন্তের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

‘শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি হলে কূটনীতিকদের মন্তব্যের সুযোগ থাকবে না’

গত কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের নির্বাচন, গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে আসছিলেন পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনীতিকরা। বিএনপির সমাবেশ ঘিরে ঢাকার নয়া পল্টনে প্রাণহানির ঘটনায় তদন্তের আহ্বানও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, “আমরা ঢাকায় ভয়ভীতি প্রদর্শন ও রাজনৈতিক সহিংসতার খবরে উদ্বিগ্ন এবং আইনের শাসনকে সম্মান জানাতে এবং সহিংসতা, হয়রানি ও ভয় দেখানো থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

“সহিংসতার এই খবরগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত করতে, এবং মত প্রকাশ, সভা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষা করতে আমরা সরকারি কর্তৃপক্ষকে উৎসাহিত করছি।”

এ বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এমন পরিবেশ তৈরি করা ঠিক হবে না, যাতে কূটনীতিকরা মন্তব্য করার সুযোগ পায়।

“এ নিয়ে কূটনৈতিক মহলে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, সেটা তো আমরা দেখতে পাচ্ছি। কাজেই এটা যাতে প্রশমিত করা যায়, দুরীভূত করা যায়- আমাদের সকলের স্বার্থে শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তির দিকে যাওয়া উচিত। তাতে করে কুটনৈতিক মহল যে মন্তব্য করে, এমন সুযোগ পাবে না।”

কূটনীতিকদের মন্তব্যগুলো দেশের জন্য ‘সম্মানজনক নয়’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নির্বাচনের বছরখানেক আগে নতুন করে সঙ্কট তৈরি হোক কেউ চায় না বলে মনে করেন সাবেক এই কূটনীতিক।

“আমরা একটা অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছি। এ চ্যালেঞ্জটা বেশ গভীর। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এর সমাধান করা দরকার। সেখানে আরেকটা নতুন সমস্যা যোগ হোক সেটা বাঞ্চিত বিষয় হওয়া উচিত নয়।”