পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত তারা এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পায়নি।
Published : 19 Apr 2025, 04:34 PM
দিনের বেলা ঢাকার সড়ক থেকে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার রাতে ওই ভিডিও পোস্ট করেন নোমান আহমেদ নাফিজ নামের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ভর্তিচ্ছু।
নাফিজের ভাষ্য, শুক্রবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশের সড়কে ওই ঘটনা ঘটে। সড়ক দিয়ে হেঁটে যাওয়া এক ব্যক্তিকে জবরদস্তি করে প্রাইভেট কারে তোলেন তিন ব্যক্তি।
তখন আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাদের ওপরও চড়াও হন ওই ব্যক্তিরা। এরপর গাড়িটি বিমানবন্দরের দিকে দ্রুত সটকে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, কালো মাস্ক পরা এক ব্যক্তিকে ধাক্কা দিয়ে একটি সাদা প্রাইভেট কারে তুলছেন দুই ব্যক্তি। তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক ব্যক্তিও যোগ দেয়। এরপর তারা ধাক্কা দিয়ে মাস্ক পরিহিত ব্যক্তিকে গাড়িতে তুলে ফেলেন।
প্রায় ১৮ ঘণ্টা আগে পোস্ট করা এই ভিডিওতে দেড় সহস্রাধিক মানুষ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, মন্তব্য করেছেন ২৬০ জন, শেয়ার হয়েছে ১৩০০ আইডি থেকে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা ভিডিওটি পেয়েছি। কবেকার ঘটনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমার বিভাগের সকল অফিসারকে এ ব্যাপারে খোঁজ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
পুলিশ কর্মকর্তা মহিদুল শনিবার দুপুরে দাবি করেন, এখন পর্যন্ত তারা এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পাননি।
তবে নাফিজ শনিবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি মোবাইলে ঘটনার ভিডিও ধারণ করে স্থানীয় থানায় গেলেও পুলিশের সহায়তা পাননি।
“পুলিশ আমার কাছ থেকে ঘটনা শুনে নাম ও মোবাইল নম্বর টুকে নেয়। আর ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে পাঠালেও এখনো তারা সিন করেনি। পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে আজ আবার থানায় যাব।”
এক প্রশ্নের উত্তরে নাফিজ বলেন, আশপাশের লোকজনের মতো তিনিও ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে এগিয়ে যান। কিন্তু দুষ্কৃতকারীরা লোকজনকে মারধর শুরু করে। তখন তিনি গোপনে ঘটনার ভিডিও করেছেন। তবে সেই সময় গাড়ির নম্বর ধারণ করতে পারেননি। পরে সিসি ক্যামেরার ভিডিও থেকে গাড়ির নম্বর সংগ্রহ করেছেন।
ঘটনাস্থলটি পড়েছে উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায়। যোগাযোগ করা হলে এ থানার ওসি শামীম আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তারা সাদা পোশাকে কোনো অভিযান পরিচালনা করেনি, কাউকে গ্রেপ্তারও করেনি।
“'আমাদের অভিযান সব সময় পোশাক পরিহিত পুলিশ সদস্যরাই করে থাকেন।"