১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
গবেষক ও সাংবাদিক। বর্তমানে একটি জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।
যুক্তরাষ্ট্রে যখন যে দল ক্ষমতায় ছিল তারাই বেশি আগ্রাসী নীতির পক্ষে ছিল। আর যে দল ক্ষমতার বাইরে ছিল তারাই তুলনামূলকভাবে বৈদেশিক হস্তক্ষেপকে নিরুৎসাহিত করেছে।
‘সড়ক দুর্ঘটনা’ ও ‘ডেঙ্গু উপদ্রব’– বাংলাদেশের কাঠামোগত সহিংসতার দুটি উদাহরণ। কারণ রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উদাসীনতার ফলে এই দুটি ঘটনায় বিপুল প্রাণহানি ঘটে। তাই এটা বললে অত্যুক্তি হবে না যে, সড়ক দুর্ঘটনা ও ডেঙ্গু নিয়ে বছরের পর বছর বাংলাদেশে যা চলছে সেটি এক ধরনের ‘যুদ্ধাবস্থা’ও।
ভবদহের মানুষের প্রতি এই জল-নিপীড়ন শুধুমাত্র অব্যবস্থাপনার ফল নয়। মূল দায় হলো রাষ্ট্রের বৈষম্যমূলক ‘পদ্ধতি’ বা ‘কাঠামো’র। অর্থাৎ যত দিন না এই নিপীড়নমূলক কাঠামো ভাঙছে তত দিন ভবদহের জলাবদ্ধতা শেষ হবে না। ভবদহের মানুষের মানবাধিকারও সুরক্ষিত হবে না।
২০২৪ সালের বৈশ্বিক শান্তি সূচকে দুই ধাপ উন্নয়ন করেও পাকিস্তানের অবস্থান ১৪০। সেখানে আট ধাপ কমেও বাংলাদেশের অবস্থান ৯৩।
পানি কূটনীতি প্রকৃত অর্থে ভূ-রাজনৈতিক। তাই পানি কূটনীতিতে অংশভাগী দেশের ভৌগোলিক অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কোনো অভ্যুত্থানের পর বিপ্লবীদের প্রতিক্রিয়া দেখে অনুমান করা যায় পরে কী ঘটতে যাচ্ছে। দেশে কী ধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামো আসতে চলেছে।