পানি কূটনীতি প্রকৃত অর্থে ভূ-রাজনৈতিক। তাই পানি কূটনীতিতে অংশভাগী দেশের ভৌগোলিক অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
Published : 26 Aug 2024, 03:13 AM
১.
শান্তি প্রতিষ্ঠা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য কূটনীতির ব্যবহার একটি প্রাচীন ধারণা। ঠিক কবে মানুষ প্রথম তাদের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিল তা ঐতিহাসিকগণের পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি। তবে প্রাচীন মিশরীয় ও মেসোপটেমীয় সভ্যতায় আন্তঃরাজ্য কূটনীতির চল দেখা যায়। সেই যুগে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শান্তি চুক্তি করার প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় কূটনৈতিক প্রথার পুনর্জন্ম হয় ১৬৪৮ সালে। ‘পিস অব ওয়েস্টফেলিয়া’ (যা ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তির সামষ্টিক পরিভাষা) চুক্তির মাধ্যমে। যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে তখন ইউরোপে চলমান ভয়ঙ্কর ‘তিরিশ বছরের যুদ্ধে’র সমাপ্তি হয়। তাই বলা যায় কূটনীতির উদ্দেশ্যই হলো শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্তঃরাষ্ট্রীয় দ্বন্দ্বের সমাধান। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বিভিন্ন সময় উদ্ভূত অনেক রক্তক্ষয়ী ও জটিল সমস্যা কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। এখনও আধুনিক আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো কূটনীতি। বিভেদ বা যুদ্ধ এড়িয়ে একটি কৌশলী আন্তঃদেশীয় শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে কূটনীতির ভূমিকা অনস্বীকার্য।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ‘রিয়ালিজম’ তত্ত্বের প্রবক্তারা মনে করেন ‘আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা’ হলো ‘অরাজক’। সেখানে সবাই সবার শত্রু। রাষ্ট্রগুলো সবসময় বাহ্যিক শক্তির হুমকির মধ্যে থাকতে হয়। এই ধরনের আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় যেহেতু কোনো দেশকে চিরস্থায়ী কোনো বন্ধু ভাবা হয় না তাই রাষ্ট্রের তার নিজেকেই নিজের সহায়তা করতে হয়। রাষ্ট্রকে তার জনগণকে রক্ষার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হয়। রাষ্ট্র তার নিজের শক্তি ও সামর্থ্য অর্জনের মাধ্যমে সেই সুরক্ষা নিশ্চিত করে থাকে। এই ব্যবস্থায় রাষ্ট্র সামরিক শক্তি অর্জনে বেশি জোর দেয়। এরকম আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের কূটনীতির মূল লক্ষ্যই হলো তুলনামূলকভাবে নিজের শক্তি বাড়ানো এবং বাহ্যিক শক্তিকে প্রতিহত করা। এরপর উনবিংশ শতাব্দীতে বিশ্ব ‘উদারনৈতিক বিশ্বব্যবস্থায়’ প্রবেশ করে। এই ব্যবস্থার মূল ধারণা হলো রাষ্ট্র সামরিক শক্তির উপর নির্ভরতা কমিয়ে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেয়। পৃথিবী এই নতুন ব্যবস্থায় আবর্তিত হলেও রিয়ালিজমের মৌলিক যে বিষয় অর্থাৎ ‘নিজস্ব স্বার্থ’কে সবকিছুর সামনে রাখা সেটা থেকে রাষ্ট্র বের হতে পারেনি। বিশ্বায়নের ফলে সেই স্বার্থ হাসিলের চিন্তা, সেটির প্রয়োগ ও ধরন আলাদা মাত্র। কারণ রাষ্ট্রের মধ্যে শৌর্যবীর্যের যে শাশ্বত প্রতিযোগিতা সেটা শেষ হয়নি আজও। তফাৎ শুধু আগে যেটা ছিল অস্ত্রের শক্তির সেটা এখন অর্থবিত্তের। এখন প্রশ্ন হলো বাংলাদেশের মত ছোট ও জনবহুল এবং অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে কম শক্তিশালী দেশের ক্ষেত্রে কী হওয়া উচিত? নিশ্চয় সবাই বলবেন বাংলাদেশের উদারনৈতিক ব্যবস্থায় বিরাজমান ব্যবস্থাগুলোয় অনুসরণ করা উচিত। আমার ব্যক্তিগত মতও ঠিক একই। সেক্ষেত্রে এই ব্যবস্থায় টিকে থাকতে হলে আমাদের শত্রুর চেয়ে বন্ধুর প্রয়োজন বেশি। বিবাদের চেয়ে শান্তির প্রয়োজন বেশি। কারণ বর্তমান এই বিশ্বায়নের যুগে প্রায় প্রতিটি দেশ অন্য কোনো না কোনো দেশের উপর নির্ভরশীল। আর আমাদের মত আমদানিনির্ভর একটা দেশের জন্য সেটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
২.
পানি কূটনীতি একটি দেশের সাধারণ আন্তর্জাতিক কূটনীতির অংশ হলেও গবেষকরা পানি কূটনীতির কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করছেন। পানি কূটনীতিকে অনেক সময় ‘নীল কূটনীতি’ও বলা হয়। কিছু পার্থক্য থাকলেও অনেক গবেষক ‘আন্তঃদেশীয় নদী সহযোগিতা’কেও একধরনের পানি কূটনীতি হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন। গবেষকরা পানি কূটনীতির পাঁচটি মূল দিক নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছেন। যেমন, ‘রাজনৈতিক’, ‘প্রতিরোধমূলক’, ‘সংহতিমূলক’, ‘সহযোগিতামূলক’, ও ‘কারিগরি’ দিক। আধুনিক পানি কূটনীতি এই পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আবর্তিত হয়। প্রথম দিকটি হলো, ‘রাজনৈতিক’। পানি কূটনীতিতে রাজনৈতিক দিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি কূটনীতি প্রকৃত অর্থে ভূ-রাজনৈতিক। তাই পানি কূটনীতিতে অংশভাগী দেশের ভৌগোলিক অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রাজনৈতিক দিক হলো পানি কূটনীতির ছাদের মত। পানি কূটনীতি পানিসম্পদকেন্দ্রিক হলেও তা অনেক সময় বিষয় ছাড়িয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়ে। দ্বিতীয় দিক হলো, ‘প্রতিরোধমূলক’। এই দৃষ্টিকোণ থেকে পানি কূটনীতিকে শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি মাধ্যম হিসেবে দেখা হয়। এই ধরনের কূটনীতির মাধ্যমে বর্তমানে বিরাজমান দ্বন্দ্ব ও ভবিষ্যতে যেসব বিষয়ে দ্বন্দ্ব হতে পারে তার একটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। যা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখে। তৃতীয় দিক হলো ‘সংহতিমূলক’ ব্যবস্থা। পানি কূটনীতি অনেক সময় নদী তীরবর্তী রাষ্ট্রগুলোকে ছাড়িয়ে আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপস্থিত হয়। এই দৃষ্টিকোণ থেকে পানি কূটনীতিকে বহুমুখী ভাবা হয়। যেমন যা পানিসম্পদের বাইরে খাদ্যনিরাপত্তা, জলবিদ্যুৎ অন্যান্য বিষয়কে যুক্ত করে। চতুর্থ দিক হলো, ‘সহযোগিতামূলক’। এই দৃষ্টিকোণ থেকে পানি কূটনীতিকে যৌথ স্বার্থ ও সহযোগিতা অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে দেখা হয়। এই ধরনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে উভয়ের স্বার্থভিত্তিক যৌথ পানি শাসন ব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব হয়। পঞ্চম দিক হলো ‘কারিগরি’। এই ধরনের পানি কূটনীতির মাধ্যমে পারস্পরিক ‘কারিগরি’ সহায়তা প্রদান করা হয়। পানি জ্ঞান আদান-প্রদান করে একে অপরের স্বার্থ বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়। রাজনৈতিক দিককে যদি পানি কূটনীতিতে একটি ঘরের ছাদের সঙ্গে তুলনা করা হয় তাহলে কারিগরি দিক হলো তার ভিত্তিমূল।
৩.
এখন আলোচ্য পেক্ষাপটে বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের পানি সংকটকে প্রতিস্থাপন করা যাক। বাংলাদেশ ও ভারত উভয়েই সার্বভৌম দেশ। তাদের নিজস্ব জনগোষ্ঠীর স্বার্থ প্রতিষ্ঠার চাপ ও দায় রয়েছে। আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় যেহেতু ‘স্থায়ী শত্রু-মিত্র’ বলে কোনো কথা নেই। সেজন্য রাষ্ট্রগুলোকে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু রাখতে হয়। কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিজেদের সুবিধা অসুবিধা জানাতে হয়। আর কূটনৈতিক সম্পর্ক সংহত করার মূলভিত্তি যেহেতু পারস্পরিক বিশ্বাস ও বোঝাপড়া। উভয়কে সেই বিশ্বাস তৈরিতে কাজ করে যেতে হয়। যদি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার পানি কূটনীতি পর্যালোচনা করি সেক্ষেত্রে দেখা যায় যে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পানি কূটনীতি মূলত শুষ্ক ও ভরা মৌসুমে পানিবণ্টনকেন্দ্রিক। অনেক ধরনের আলোচনা থাকলেও এটিই সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয়। পানি কূটনীতির হিসেবে আমরা মূলত পানি কূটনীতির একটি দিকই জোর দিয়েছি। আমরা যদি ‘যৌথ নদী কমিশন-বাংলাদেশ’-এর বার্ষিক প্রতিবেদন দেখি তাহলে দেখা যায় যে বাৎসরিক কর্মকাণ্ডগুলো মোটামুটি সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন মিটিং ও চুক্তি সম্পাদনের মধ্যে সীমিত। অর্থাৎ আমাদের নদী কূটনীতি মূলত কূটনীতির প্রথম ধরনেই আটকে আছে। এই ধরনের কূটনীতিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভাষায় ‘ট্রাক-১’ কূটনীতি বলা হয়। আমাদের পানি কূটনীতি এই একটি ‘ট্রাকে’ই সীমাবদ্ধ। পানি কূটনীতিতে আরও চারটি ‘ট্রাক’ বা ধরন রয়েছে। ‘ট্রাক-১.৫’, ‘ট্রাক-২’, ‘ট্রাক-৩’ ও ‘মাল্টি-ট্রাক’। আমরা যদি ‘ট্রাক-১.৫’ ও ‘ট্রাক-২’-এর কূটনৈতিক কৌশল মোটামুটি একই। এই ধরনের কূটনীতিতে সরকারের সঙ্গে অন্যদেশের সরকারের বাইরের থাকা অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা বা দুইদেশের বেসরকারি অংশীদারদের মধ্যে আলোচনা করে নীতি প্রণয়নকে প্রভাবিত করা। আমরা যদি বাংলাদেশ-ভারত কূটনীতিকে এই কূটনৈতিক ট্রাকে ফেলি তাহলে দেখা যায় আমরা অনেকটাই পিছিয়ে। মাঝে মাঝে কিছু আলোচনা হলেও সেটা অনেকটাই অকেজো। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে কার্যকরী কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জন্য ‘ট্রাক-৩’ কূটনৈতিক ধরনটি অত্যান্ত কার্যকরী। কারণ ভৌগোলিক ও অনেকক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক মিল থাকার কারণে তা সহজ হয়। যা ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দূরের কোনো দেশের ক্ষেত্রে করা দুষ্কর। কূটনৈতিক সফলতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ-ভারতের ক্ষেত্রে এই ধরন হতে পারে সবচেয়ে কার্যকরী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা। আর সর্বশেষ হলো ‘মাল্টি-ট্রাক’ কূটনীতি। এই ধরনের কূটনীতি অনেকগুলো ধরনের একটা সমষ্টি। আমরা উপরোক্ত কূটনীতির ধরনের আলোকে বাংলাদেশ-ভারত পানি সংকটের বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখা যাবে আমরা কূটনীতির মাপকাঠিতে অনেক পিছিয়ে আছি।
সাধারণত মানুষ ব্যক্তিগত সম্পর্ক দিয়ে একটি দেশের সঙ্গে আরেকটি দেশের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে পছন্দ করে। কিন্তু আন্তঃদেশীয় সম্পর্ক তা নয়। সেটি মোটামুটি স্থায়ী কিছু মূলনীতির উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। সেখানে দেওয়া-নেওয়ার একটি হিসাবের খাতা থাকে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যেহেতু শত্রু-মিত্রের একটা জটিল কৌশল চলতে থাকে তাই সেখানে পা ফেলতে হয় অতি সাবধানে। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দ্বন্দ্বে দ্বন্দ্ব বাড়ে। তাই বলা যায় উভয়পক্ষের মধ্যে অমীমাংসিত পানি সংকট নিরসনে একটি নয় বহুবিধ পথ খোলা রাখা উচিত। আমাদের দরকার শক্ত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা। দেশীয় প্রেক্ষাপটে পানিসম্পদ নিয়ে কাজ করার প্রায় অর্ধ ডজনেরও বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন ‘পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়’, ‘বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড’, ‘পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা’, ‘নদী গবেষণা ইনষ্টিটিউট’, ‘বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর’, ‘ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং’। কিন্তু সেই তুলনায় কাজের পরিমাণ যৎসামান্য। এছাড়াও দেখা যায় প্রায় প্রতিবছর অব্যয়িত বরাদ্দের টাকা ট্রেজারিতে ফেরত দেওয়া হয়েছে। যেটা হতাশারই না আতঙ্কেরও। পানি কূটনীতির আমাদের অন্যতম বড় হাতিয়ার হতে পারে এই যৌথ নদী কমিশন। যদি ভারত আরও উজানের চীন বা পাকিস্তানের সঙ্গে সমঝোতা করতে পারে। ভাটির দেশ তো আমরাও। তাহলে আমরা কেন পারব না। কিন্তু সেটির একমাত্র পথ হওয়া উচিত কূটনৈতিক। তাই বলা যায় বৈরিতা এড়িয়ে উভয়পক্ষ্যের কৌশলী হওয়ার বিশদ সুযোগ রয়েছে। আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সাফল্য দেখে মোহিত হই। ইউরোপের এই উন্নয়নের চাবিকাঠি কিন্তু সেই কূটনীতি। যুদ্ধ বা দ্বন্দ্ব নয়।
সব শেষ কথা হলো, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বদ্বীপ ‘বঙ্গীয় বদ্বীপ’-এর অংশ হলো বাংলাদেশ। বন্যায় বইয়ে আনা পলি হলো এই বদ্বীপের বেঁচে থাকার অন্যতম উপাদান। বন্যা এই বদ্বীপের জন্ম থেকেই একটি চলমান প্রাকৃতিক ঘটনা। প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রায় ১৮ শতাংশ অঞ্চল বন্যার পানিতে ডুবে যায়। প্রবল বন্যা হলে তা ৫৫ শতাংশে পৌঁছায়। সেই হিসেবে বন্যা মোকাবেলা বা বন্যা ব্যাবস্থাপনা আমাদের উন্নয়নের প্রধান লক্ষ্য হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের সরকারগুলো সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছে। যার পরিণতিতে আমাদের জনগোষ্ঠীকে প্রতিবছর ভুগতে হচ্ছে। তাদের সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। জীবননাশ হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
অর্ধকোটি বানভাসি, প্রাণ গেছে ১৮ জনের
অগাস্টের বন্যার এমন ভয়াল রূপ কেন?
বন্যা: ১০ জেলায় কোথায় কেমন ক্ষতি
বন্যা মোকাবিলা: ভারতের সঙ্গে 'উচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতা' চান ইউনূস
বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে বন্যার কথা 'সঠিক নয়': ভারত
বন্যা আসছে জেনে কী করেছে বাংলাদেশ?
উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা হোক অগ্রাধিকার
লক্ষ্মীপুরের মেঘনা পাড়ে ১ লাখ মানুষ পানিবন্দি, জ্বলছে না চুলা