বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে; তবে সেখানে বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী নেতাদের নাম দেখা যায়নি।
রোববার বিকেলে খোকন সেরনিয়াবাত স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের তথ্য জানানো হয়েছে। মেয়র পদে মনোনয়নের জন্য প্রত্যাশী ছিলেন এমন চারজনও কমিটিতে আছেন।
কমিটির সদস্য বরিশাল আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি লস্কর নুরুল হক বলেন, ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ছাড়া অপর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নগরীতে নির্মাণ করা তোরণ, টানানো ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছেন প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত। নির্বাচন কমিশনের বিধিনিষেধের কারণেই এসব অপসারণ করা প্রয়োজন বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত সাড়ে চার বছর ধরে বরিশালের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহও এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে জিতে গেছেন চাচা খোকন সেরনিয়াবাত। সাদিক, খোকনের বড় ভাই আবুল হাসানত আব্দুল্লাহর বড় ভাইয়ের ছেলে।
হাসানাতের পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক নেই খোকন সেরনিয়াবাতের। যদিও মনোনয়ন পাওয়ার পর খোকন বড় ভাইয়ের ঢাকার বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। এ সময় তার সঙ্গে সাদিক আব্দুল্লাহও উপস্থিত ছিলেন।
সাদিক আব্দুল্লাহ নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে চাচার পক্ষে ভোট করার কথাও বলেন।
তবে খোকন সেরনিয়াবাতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যে ১৬ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়েছে তার মধ্যে একমাত্র মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আফজালুল করিম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এ ছাড়া মেয়র পদে মনোনয়ন চাওয়া মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর আমিনউদ্দিন মোহন, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন এবং বি এম কলেজ ছাত্র কর্মপরিষদের সাবেক মঈন তুষার কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
কমিটিতে না থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বর্তমান মেয়রের সমর্থক হিসেবে পরিচিত বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা প্রার্থীর নিজস্ব পরিচালনা কমিটি। এখানে তিনি তার মতো করে কমিটি করেছেন।
“কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর উপস্থিতিতে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে বিশেষ বর্ধিত সভা হবে। সেই সভার পর সকলে একত্রে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ শুরু করা হবে”, যোগ করেন ইউনুস।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীরও মেয়রের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে পরে কথা বলি। আমি এখন ব্যস্ত রয়েছি।”
খোকন সেরনিয়াবাতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক নম্বর সদস্য করা হয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কে বি এস আহম্মেদ কবীরকে। ২ নম্বর সদস্য হলেন বরিশাল আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক লস্কর নুরুল হক।
এ ছাড়া সদস্য রয়েছেন- মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আনিস উদ্দীন আহমেদ শহীদ,
আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল হক হারুন, শ্রমিক লীগ নেতা শাহজাহান হাওলাদার, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক নিজামুল ইসলাম নিজাম, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি আফতাব হোসেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, মো. হুমায়ুন কবির, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন সিকদার, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ান।
আরও পড়ুন: