অবরোধ চলাকালে প্রধান ফটকসহ অন্যান্য ফটকও তালাবদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনরতরা।
Published : 15 Feb 2024, 11:57 AM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনায় ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে তৃতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছে ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় মুখে কালো কাপড় বেঁধে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে পূর্বঘোষিত দুই ঘণ্টার প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি পালন শুরু করেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ১১টা পর্যন্ত ভবনে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অবরোধ চলাকালে প্রধান ফটকসহ অন্যান্য ফটকও তালাবদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনরতরা।
প্রতীকী অবরোধ শেষে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজ মেঘ বলেন, “যদি সামনের দিনগুলোতে পাঁচ দফা দাবি মেনে না নেয় প্রশাসন তাহলে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আমরা কঠোর কর্মসূচির দিকে যাব।”
অবরোধ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহি সাত্তার, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, গণিত বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম প্রমুখ।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে কৌশলে বোটানিক্যাল গার্ডেনে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, তার পরিচিত মামুনুর রশীদ মামুনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে।
পরে ভুক্তভোগীর স্বামী ছয়জনকে আসামি করে ঘটনার রাতেই আশুলিয়া থানায় ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন’ আইনে মামলা করেন।
তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের ব্যানারে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
তাদের পাঁচ দফা দাবি হলো- ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং র্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে; নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তি করাসহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এছাড়া নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের অপরাধ তদন্ত করতে হবে এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে তদন্ত চলাকালে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করতে হবে; মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে, জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণাপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পুরানো খবর:
জাবিতে ধর্ষণ: আচার্যকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান
জাবি প্রশাসনের ব্যর্থতায় যৌন নিপীড়ন বন্ধ হয়নি: ইউজিসি