ছয় জনকে আসামি করে মামলা হয়েছিল । এদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তারের পর তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
Published : 07 Feb 2024, 08:49 PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের অভিযোগে আরো দুই জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব। এ নিয়ে ছয় আসামির সবাই ধরা পড়লেন।
বুধবার তাদের একজনকে ঢাকা ও একজনকে নওগাঁ থেকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছে বাহিনীটি।
এদের মধ্যে মামুনুর রশিদ ওরফে মামুনকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে এবং মুরাদ হোসেনকে নওগাঁ থেকে ধরা হয়েছে।
দুই জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী। তাদের বাড়ি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আমন্ত গ্রাম। এই দুইজনের মধ্যে মুরাদ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক।
মামুনকে সেই ‘ধর্ষণের ঘটনায়’ মূল পরিকল্পনাকারী বলছে র্যাব। জানানো হয়েছে, মুরাদ ছিলেন তার সহায়তাকারী।
শনিবার রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ আবাসিক হলে ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে কৌশলে বোটানিক্যাল গার্ডেনে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, তার পরিচিত মামুনুর রশীদ মামুনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ছয়জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন’ আইনে মামলা করেন।
অভিযোগটি উঠার পর থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিক্ষোভে উত্তাল।
প্রধান আসামি মোস্তাফিজুর রহমানকে পরদিন ভোরেই সাভার থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গ্রেপ্তার হন সাব্বির হাসান, সাগর সিদ্দিকী এবং হাসানুজ্জামান। তাদেরকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি তিন দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ।
মোস্তাফিজুর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থী ও জাবি শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। তিনি থাকেন মীর মশাররফ হোসেন হলে।
মোস্তাফিজুর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। ধর্ষণের ঘটনায় তাকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।