পণ্য সরবরাহ বাড়িয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ বাজার সংশ্লিষ্ট ও ব্যবসায়ীদের।
Published : 15 Feb 2024, 12:32 AM
মৌসুমের যে সময়ে কমার কথা তখনই বাড়তে শুরু করে চালের দাম। এ নিয়ে হৈ চৈ এর মধ্যে সরকার তৎপরতা বাড়িয়ে অভিযানে নামলেও চড়া বাজারের সেই উত্তাপ কমেনি; প্রধান এ খাদ্যপণ্য কিনতে এখনও গুনতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ।
কোটি টাকা জরিমানা ও দেশজুড়ে ২০ দিনে তিন হাজারের বেশি সাঁড়াশি অভিযানেও আমনের এ মৌসুমে বাজারে চালের দাম পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেনি। জানুয়ারিতে চড়তে শুরু করার সময় সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বাড়ে ৫/৬ টাকা। এরপর সরকারের জোরালো তৎপরতায় এক মাসের ব্যবধানে বেড়ে যাওয়া অবস্থান থেকে কমেছে কেজিতে সর্বোচ্চ তিন টাকা। এতে মৌসুমের মধ্যে চালের দাম এখনও আগের চেয়ে বেশি।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা টিসিবির হিসাবই বলছে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে এসে আগের বেড়ে যাওয়া দাম উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমেনি। এতে আগের চড়া দামের বাজার পরিস্থিতির খুব একটা হেরফের হয়নি।
খুচরা বিক্রেতা ও ভোক্তারা বলছেন, জানুয়ারিতে হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার পর ফেব্রুয়ারিতে কিছু কিছু চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা করে কমেছে। তবে অনেক চালই আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
তাদের মতে, চালের দরের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারির পর সারাদেশে বিভিন্ন সংস্থার অভিযানে অসাধু ব্যবসায়ীদের কোটি টাকা জরিমানার পরও বাজারে এর প্রভাব তেমন একটা ফল রাখতে পারছে না।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কেবল জরিমানা করে শুধু চাল নয়; কোনো পণ্যের বাজারই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে পণ্য সরবরাহ বাড়িয়ে।
গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে ও পরে চালকলগুলোতেই চালের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ৬ টাকা বেড়ে যায়। খুচরাও বাড়ে আরও বেশি। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে প্রধান এ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় সীমিত আয়ের মানুষ চাপে পড়ে। বাজারের অস্থিরতা দেখা দিলে তখন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার দাবি করেছিলেন, নির্বাচনি ব্যস্ততার সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে কারসাজি করেছে।
নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নতুন সরকারে পুরোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বই পান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র। এরপর গত ১৭ জানুয়ারি খাদ্য ভবনে দেশের শীর্ষস্থানীয় চালকল মালিক, আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা করেন। সেখানে ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই মন্তব্য করে চার দিনের মধ্যে চালের দাম আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ব্যবসায়ীদের সময় বেঁধে দেন তিনি।
ঘোষণা অনুযায়ী ২১ জানুয়ারি থেকেই দেশজুড়ে গুদাম, চাতাল ও পাইকারি দোকানে শুরু হয় একের পর এক অভিযান। পাশাপাশি বাড়ানো হয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তৎপরতা। প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযানে অবৈধ মজুদসহ নিয়ম ভঙে জরিমানার খবর আসতে থাকে।
চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সেই সময় থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে মোট তিন হাজার ৩৭০টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অভিযানে বিভিন্ন অনিয়ম, কারসাজি ও মজুদারির অপরাধে মোট এক কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানা আদায় করার তথ্য দিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন।
বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বাজারে অভিযান ও নজরদারি অব্যাহত আছে।
এত ব্যাপক অভিযানের পরও ভরা মৌসুমে চালের বাজারদর থিতু না হওয়া নিয়ে কথা হচ্ছে। বাজারে ক্রেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।
সরকারের তৎপরতা ও অভিযানের পরও বাজার স্থিতিশীল হতে দেরি হওয়ার বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন ও মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে। তারা কেউ ফোন না ধরায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় সরব কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ক্যাবের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান এ বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জরিমানা বাজার নিয়ন্ত্রণের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নয়। বরং ব্যবসায়ীরা যে জরিমানা গুণলেন সেগুলো ভোক্তাদের কাছে বেশি দামে চাল বিক্রি করেই পুষিয়ে নেবেন। শেষ পর্যন্ত এসব জরিমানার খাড়া ভোক্তাদের ওপরই পড়বে এবং এখন তাই হচ্ছে।
বাজারে নিয়ন্ত্রণে সরকারি সরবরাহ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে সাবেক এ সচিব বলেন, সরকার যদি নিজস্ব সংগ্রহ থেকে বাজারে কিছু চাল ছেড়ে দিতে পারতো তাহলে বাজার এমনিতেই পড়ে যেত। কিন্তু ব্যবসায়ীরা যেহেতু জানে সরকারের কাছে এ কাজের প্রস্তুতি নেই; তাই বাজারও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।
জরিমানার চেয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারাগারে পাঠাতে পারলে বেশি ফলাফল পাওয়া যেতো বলেও মনে করেন তিনি।
খুচরায় হেরফের কম
বুধবার কারওয়ান বাজারের চাল বিক্রেতা মোহাম্মদ রাসেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নির্বাচনের পরপর চালের দাম যেভাবে বেড়ে গিয়েছিল এখন তার চেয়েও একটু কমেছে। অভিযান শুরুর পর নতুন করে দাম বাড়েনি। তবে এটা ঠিক যে, দামটা বেড়ে যাওয়ার আগে যেই অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায়ও ফিরে আসেনি।
সবশেষ দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন সরু চালের ৫০ কেজির বস্তা ৩১০০ থেকে ৩৩০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের চাল বা বিআর আটাশ চালের ৫০ কেজির বস্তা ২৫০০ থেকে ২৭০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। গুটি স্বর্ণা বা মোটা চালের বস্তা ২২৫০ থেকে ২৩০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ছে কেন?
পাইকারিতে কিছুটা কমলেও চালের দাম খুচরায় এখনো বেশি
চার দিনের মধ্যে আগের অবস্থায় ফিরবে চালের দাম: খাদ্যমন্ত্রী
চালের বাজার তদারকে নামছে ৪ ‘গোপন’ দল
খুচরায় চালে কেজিতে ১০ টাকা, মাছে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা
চালের দাম ‘বাড়াচ্ছে’ পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা, দাবি মিলারদের
নওগাঁয় ধান-চাল মজুদ করায় ৫ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধভাবে ধান মজুত করায় ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
চালের দাম বৃদ্ধি: নওগাঁয় ১৮ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, গুদাম সিলগালা
নওগাঁয় চাল মজুদের দায়ে ব্যবসায়ীকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
কামরাঙ্গীরচরে চাল মজুদে তিন বিক্রেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
অবৈধভাবে চাল মজুদ করায় এসিআই রাইস মিলকে জরিমানা
চট্টগ্রামে চালের পাইকারি বাজারে অভিযান
সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির বাজার মনিটরিং তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে সরু চালের কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে, মাঝারি চালের কেজি ৫২ থেকে ৫৫ টাকার মধ্যে, মোটা চাল ৪২ থেকে ৪২৮ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছিল। জানুয়ারির মাঝামাঝিতে দাম কেজিতে ৫ টাকা করে বেড়ে সরু চালের কেজি সর্বোচ্চ ৭৫ টাকা, মাঝারি চাল আগের মতোই কেজি ৫৫ টাকা এবং মোটা চাল সর্বোচ্চ ৫২ টাকায় বিক্রি হতে থাকে।
টিসিবির ১৪ ফেব্রুয়ারির বাজারদরের তথ্য বলছে, সরু চাল আগের মতোই প্রতিকেজি ৭৫ টাকা, মাঝারি চাল প্রতিকেজি ৫৫ টাকা এবং মোটা চাল ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ টিসিবির হিসাবেই চালের সর্বোচ্চ দরে কোনো তারতম্য হয়নি।
কয়েকজন ভোক্তা বলেন, নির্বাচনের আগে ও পরে দাম বেড়ে যাওয়ার পর সম্প্রতি কিছু কিছু চালের দাম কেজিতে ২/৩ টাকা করে কমেছে। তবে অনেক চালই আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা রাগিব হাসান বলেন, মাঝারি মানের চালের দাম কিছুটা কমেছে। তবে সরু চাল এক মাস আগের দরের আশপাশেই রয়ে গেছে। সম্প্রতি তিনি সরু চালের ২৫ কেজির বস্তা কিনেছেন ১৬০০ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ১৬৫০ টাকা।
ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকার বাসিন্দা শরীফুল ইসলাম টিটু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘চালের দাম তো খালি বাড়তাছে এক মাস যাবৎ। আইজকা (বুধবার) মিনিকেটের দামই নিল ৭৮ টাকা কেজি। পাঁচ কেজি করে কিনতে লাগব এখন থাইক্কা।’’
মিলারদের ভিন্ন মত
চালের বাজারে অভিযান চালিয়ে যে জরিমানা আদায় করা হয়েছে তা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। অভিযানে চালের বাজার কিছুটা কমেছে বলে তাদের কেউ কেউ স্বীকার করলেও অনেকে মনে করছেন, এতে বাজারে সংকট আরও বাড়বে।
অভিযান শুরুর পর চালের দাম বেশ ভালো পরিমাণে কমে বর্তমান অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাব অটো রাইস অ্যান্ড ফিড মিলের স্বত্ত্বাধিকারি আকবর হোসেন।
তবে নওগাঁ জেলা ধান-চাল আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা দাবি করছেন, এ অভিযানের ফলে পাইকারি বাজারে চালের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি। বরং ব্যবসায়ীরা আতংকগ্রস্ত হওয়ার ফলে তা বাজারে সংকট সৃষ্টি করতে পারে।
আকবর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিযানের পর বাজারে এখন চালের দাম অনেক কম। মিনিকেট চাল এখন মিল থেকে কেজি ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগে ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। মোটা চাল যেটা মিল গেইটে প্রতিকেজি ৫২ টাকায় উঠে গিয়েছিল সেটা এখন আবার ৪৮ টাকায় নেমে এসেছে।
খুচরা দর সেভাবে না কমার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খুচরাতে কিছু অতিমূল্য থাকতে পারে। কিন্তু খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের পর মিলে দাম কমেছে। আপাতত আর কমার সম্ভাবনা নেই। আগামী আড়াই মাস পর সরু চালের ধান বা জিরা শাইল চলে আসবে। তখন দাম আরেক দফায় কমবে। এখন মৌসুম শেষ হওয়ার কারণে বাজারে ধানের সরবরাহ কম।
গত মৌসুমের জিরা শাইল ধান এখন প্রতিমণ ১৫০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ধানের দামও প্রতিমণে ১০০ টাকা করে কমেছে। আমন মৌসুমের বিআর ৫১ ও স্বর্ণা ধান এখন বস্তা ১১৭০ টাকার মধ্যে।
অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ী বাড়িতে ধান কিনে ৫/৬ মাসের জন্য রেখে দিয়েছিল। এদেরকে ধরেছে, জরিমানা করেছে সেটা ঠিকই আছে। মিলারদের কারও কারও অতিরিক্ত মজুদ ছিল। তারাও কিছু জরিমানা গুনেছে। তবে যেই পরিমাণ আদায় করা হয়েছে এটা আসলে বেশি। এরকম আগে কখনও দেখিনি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত থেকে চাল আমদানি করতে পারলে দাম আরেকটু কমে আসতে পারে মন্তব্য করে এই ব্যবসায়ী বলেন, ধান আমদানির শুল্ক ৬৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এটা শূন্যের কোটায় নিয়ে আসলে এবং ভারত এখন চাল রপ্তানিতে যে ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছে সেগুলো প্রত্যাহার করলে চালের বাজার আরও কমে আসবে।
নওগাঁর চাল ব্যবসায়ী নিরোদ বরণ সাহা দাবি করেন, বর্তমানে পাইকারি বাজার ও খুচরা বাজারের মধ্যে একটা বড় ফাঁক রয়ে গেছে। পাইকারিতে চালের বাজারে তেমন প্রভাব নেই।
জরিমানা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “১৯৭৮ সাল থেকে চালের ব্যবসায় আছি। এই রকম জরিমানা কখনও দেখিনি।
“এখানে ম্যাজিস্ট্রেটরা দেখতে চেয়েছেন পুরান ধান-চাল, চিনিগুড়া ও জিরা শাইল।“
পাইকারিতে দাম বাড়েনি দাবি করে তিনি বলেন, মোটা চালের সরকারি দাম কেজিপ্রতি ৪৪ টাকা। তাহলে পাইকারিতে ৪৬/৪৮ টাকা বেশি হয় কী করে? পুরাতন ধান, পুরাতন চাল যেগুলোর বয়স ৯ মাস হয়ে গেছে সেগুলোর দাম তো বাড়তেই পারে। অথচ পাইকারি আড়তে এখনও মিনিকেট চালের কেজি ৬২ টাকা। মৌসুমের শেষ দিকে এটা হতেই পারে।
“দেখা যাক অভিযানের কী সুফল আসে। এটা উল্টো ফলও বয়ে আনতে পারে। এই অভিযানের কোনো যুক্তি ছিল না। যেই মেজিস্ট্রেটদের দিয়ে অভিযান চালানো হয়েছে তারা ধান চালের কিছুই বোঝে না। মিলে চালের ওপর ধুলো পেয়ে সেটাকে পুরোনো চালের মজুদ অখ্যায়িত করে জরিমানা করেছে। অথচ মিলে ৪/৫ দিন চাল পড়ে থাকলেও সেখানে ডাস্ট পড়ে যায়। মৌসুমে একবার উৎপাদিত ফসল মজুদ করতেই হবে। অথচ সেখানেও জরিমানা করা হয়েছে।”
বর্তমানে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে এখনও সুলভ মূল্যে চাল বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি করেন নিরোদ।