চাঁপাইনবাবগঞ্জের মিল গেইটে সরু চাল ৬২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে; যা আগে ৬৪-৬৫ টাকায় বিক্রি হতো।
Published : 26 Jan 2024, 07:48 PM
চালের বাজারে অস্থিরতার জন্য পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের দুষছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের চালকল মালিকরা।
তারা বলছেন, মিল পর্যায়ে চালের দাম কমিয়ে আনা হলেও পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা সে অনুযায়ী কমাচ্ছেন না। ফলে বাজারও ঠান্ডা হচ্ছে না।
শুক্রবার জেলার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চলতি জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে হঠাৎ করে বাজারে চালের দাম বেড়ে যায়। ধানের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণেই দাম বাড়ে। পরে বাজার ‘স্থিতিশীল করতে’ চালের দাম কমানোর উদ্যোগ নেন মিল মালিকরা।
সংবাদ সম্মেলনে মিল মালিকরা দাবি করেন, বর্তমানে মিল গেইটে সরু চাল ৬২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে; যা আগে ৬৪-৬৫ টাকায় বিক্রি হত। অর্থাৎ চালের দাম ইতোমধ্যে কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা কমানো হয়েছে। কিন্তু পাইকারি ও খুচরায় তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।
গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের পরপরই সারাদেশে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৫ টাকা থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পরপরই বাজার নিয়ন্ত্রণে তৎপর হন খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, যিনি আওয়ামী লীগের আগের সরকারেও একই দায়িত্বে ছিলেন।
গত ১৭ জানুয়ারি ঢাকায় খাদ্য ভবনে সারাদেশের চাল ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করে চার দিনের মধ্যে চালের দাম আগের অবস্থায় নিয়ে আসার সময়সীমা বেঁধে দেন খাদ্যমন্ত্রী। চালকল মালিকরাও সেখানে দাম কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে এক সপ্তাহ পার হলেও বাজারে তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।
শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের নিউ মার্কেটের তাহা বাজারে মিনিকেট চাল ৬৪ থেকে ৭০ টাকা, স্বর্ণা ৪৮ টাকা ও ব্রি-২৮ ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা চাল কল মালিক গ্রুপ এবং জেলা মিল মালিক ও ধানচাল সমিতি শুক্রবার যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
জেলা মিল মালিক ও ধানচাল সমিতির সভাপতি হারুনুর রশিদ, নবাব অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী আকবর হোসেন, আতিক অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী মফিজ উদ্দিনউদ্দিনসহ অন্যরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।