“ক্ষমতাচ্যুতির পর কারও কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার, ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ পাবেন না,” বলেন গয়েশ্বর।
Published : 10 May 2024, 08:24 PM
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিবেশী দেশ ‘ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেছেন, “প্রতিবেশীদের দালালি করে শেখ হাসিনা বেশি দিন টিকতে পারবে না। যারা অন্যায়ভাবে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকে তাদের পরিণতিটা কী, বিভিন্ন দেশে ইতিহাসটা পড়েন।
“তাহলে বুঝবেন যত জুলুম, যত লুটপাট, আঘাত শুরু করেছেন আপনার সাঙ্গ-পাঙ্গদের দিয়ে, ক্ষমতাচ্যুতির পর কারও কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার, ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ পাবেন না।”
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন গয়েশ্বর।
তিনি বলেন, “সরকারের রিমোট কন্ট্রোল কার হাতে? মোদীর (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) হাতে, না অজিত দোভালের (ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা) হাতে, না অমিত শাহের (ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) হাতে। তাদের রিমোট কন্ট্রোলে আপনাদের চলতে হয়।”
সমাবেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, “তিনি বলছিলেন না- সারা বিশ্বের মানুষ যেভাবে গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে ষড়যন্ত্র করতেছিল…ভারত যদি আমাদের পাশে না থাকত এই নির্বাচন আমরা করতে পারতাম না। তাই না…ভারতই আপনাদের রাখছে, ভারতই আপনাদের রাখবে…এই তো।
“তার মানে গণতন্ত্রের অবস্থা কী? বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল, অব দ্য পিপল….আর আপনাদের কথা শুনে মনে হয়, ডেমোক্রেসি মিনস বাই দ্য ইন্ডিয়া, ফর দ্য ইন্ডিয়া, বাই দ্য ইন্ডিয়া…নাকি? এর বেশি কিছু মনে হয় না।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে নয়া পল্টনে সমাবেশ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। ট্রাকের ওপর বানানো অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন গয়েশ্বর।
দলের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের হতাশ হওয়ার কারণ নাই। আমাদের কর্মীরা ক্লান্ত, কিন্তু হতাশ নয়। আমাদের নেতাকর্মীরা যেরকম অত্যাচার-নির্যাতনকে সহ্য করে এখনো বুক টান করে দাঁড়িয়ে আছে স্বাধীনতা রক্ষায়, এই স্বাধীনতা কেউ কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা প্রতিবেশীদের নাই, কারও নাই।”
দেশে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের চেয়েও ভোটার উপস্থিতি কম বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।
“যে যেখানে পারছে, সে সেখানে সিল মারছে। ‘বাইরে ফিটফাট আর ভেতরে সদরঘাট’- এই হচ্ছে গতকালের নির্বাচনের অবস্থা।”
সমাবেশের পর মিছিল নিয়ে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমবেত হন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, ইশরাক হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, যুব দলের এম মোনায়েম মুন্না, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ছাত্র দলের আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া সমাবেশে বক্তব্য দেন।
সমাবেশে বিএনপির হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরাফত আলী সপু উপস্থিত ছিলেন।