এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
Published : 16 Jul 2023, 11:20 PM
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আরও ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
রোববার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন।
সাক্ষীরা হলেন- যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহ পরিদপ্তরের হিসাব রক্ষক পরিমেলন্দ ভট্টাচার্য, রহমান নেভিগেশন কোম্পানি লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ শাহাদাত হোসেন, রহমান গ্রুপের নির্বাহী অফিসার রেদওয়ানুল হক, এফ সি এ সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোম্পানির রমেন্দ্রনাথ বসাক, ইস্টার্ন হাউজিং পল্লবীর শামসুজ্জোহা ফরহাদ ও আবু সুফিয়ান।
তাদের সাক্ষ্য শেষে আগামী ২০ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করে দিয়েছে আদালত বলে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান।
মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।
২০০৭ সালে ঢাকার কাফরুল থানায় দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা এই মামলা করেন।
তারেক-জোবায়দার মামলায় ইসলাম গ্রুপ চেয়ারম্যানের সাক্ষ্য
তারেক-জোবায়দার মামলায় আরও ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য
২০২২ সালের ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশও আসে আদালত থেকে।
পরে তাদের পলাতক দেখিয়ে ২১ মে বাদীর জবানবন্দি নেওয়ার মধ্য দিয়ে এর বিচার শুরু হয়।
এদিকে দুদকের মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে বিএনপির নেতারা বলছেন, তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেককে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এই মামলার বিচার এগিয়ে নিচ্ছে সরকার।
মামলা বৃত্তান্ত
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে তারেক গ্রেপ্তার থাকা অবস্থায় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা। তিনি সম্প্রতি আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, তারেক ও জোবায়দার ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে।
মামলায় জোবায়দার মা ইকবাল মান্দ বানুকেও আসামি করা হয়েছিল। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয় আদালতে। পরে উচ্চ আদালত তার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম বাতিল করে দেয়।
অভিযোগপত্র জমা হওয়ার পর মামলা বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করা হয় জোবায়দার পক্ষেও। তখন মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করে হাই কোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাই কোর্টের আদেশ বহাল রাখে।
এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে রায় দেয় হাই কোর্ট। এর বিরুদ্ধে ওই বছরই আপিলের আবেদন করেন জোবায়দা।
এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ টু আপিল খারিজ করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখে।
এরপর গত ১৩ এপ্রিল তারেক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচার।
তারেক ২০০৮ সালে তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোতে জামিন নিয়ে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান চিকিৎসা নিতে। তারপর থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন।
আরও পড়ুন
তারেক-জোবায়দার মামলায় প্রথম দিনই সাক্ষী আসেনি
তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন মামলাকারী দুদক কর্মকর্তা