তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে মামলায় আবার সাক্ষী গরহাজির

দুদকের এই মামলায় ৫৬ জনের মধ্যে মোট ৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছেন

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 May 2023, 12:33 PM
Updated : 28 May 2023, 12:33 PM

তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় আবারও সাক্ষী গরহাজির হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে।

রোববার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে মামলার চতুর্থ সাক্ষীর হাজির হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু সাক্ষী না আসায় বিচারক সোমবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানিয়েছেন, মামলার ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত বাদীসহ তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বাদী দুদক কর্মকর্তা জহুরুল হুদা এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন অনুপস্থিত ছিলেন। পরে ২১ মে তিনি সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসেন।

তারপর ২৫ মে সাক্ষ্য দেন পিরোজপুরের কাউখালীর এমরান আলী শিকদার এবং নড়াইলের লোহাগড়ার সৈয়দ আজাদ ইকবাল। তারা দুইজনই বিএনপির মুখপত্র দৈনিক দিনকাল পত্রিকার হিসাব বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

অভিযোগপত্রে সাক্ষীর তালিকায় তারপর রয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা লায়লা জাকারিয়া, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, আবদুল্লাহ আল হাসান এবং শেখ আশরাফুল ইসলাম।

এই সাক্ষীদের কেউ রোববার আদালতে আসেননি। তাদের ঠিকানায় তাদের পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দেড় যুগ আগের এই মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রীকে পলাতক দেখিয়ে তাদের বিচার চলছে।

Also Read: তারেক-জোবায়দার মামলায় প্রথম দিনই সাক্ষী আসেনি

মামলা বৃত্তান্ত

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার কাফরুল থানায় করা দুদকের মামলাটিতে অভিযোগ করা হয়, তারেক ও জোবায়দার ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে।

মামলায় জোবায়দার মা ইকবাল মান্দ বানুকেও আসামি করা হয়েছিল। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয় আদালতে। পরে উচ্চ আদালত তার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম বাতিল করে দেয়।

অভিযোগপত্র জমা হওয়ার পর মামলা বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করা হয় জোবায়দার পক্ষেও। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করে হাই কোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাই কোর্টের আদেশ বহাল রাখে।

এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে রায় দেয় হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই আপিলের আবেদন করেন জোবায়দা।

এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ টু আপিল খারিজ করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখে। এরপর নিম্ন আদালতে মামলাটি আবার গতি পায়।

গত ১৩ এপ্রিল তারেক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠনেরমধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচার।

জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার তারেক তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোতে জামিন নিয়ে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান চিকিৎসা নিতে। তারপর থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক লন্ডনে থেকেই বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।