বিচারক আগামী ২১ মে সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।
Published : 16 May 2023, 06:27 PM
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলায় প্রথম দিনই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি বাদীর অনুপস্থিতির কারণে।
মামলার বাদী দুদকের তৎকালীন উপ পরিচালক জহুরুল হুদার জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর কথা ছিল।
কিন্তু এদিন তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক মো. আছাদুজ্জামান আগামী ২১ মে সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন বলে আদালতের পেশকার ফয়েজ আলম জানান।
১৩ বছর আগে জরুরি অবস্থার সময় দায়ের করা এ মামলায় গত ১৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠন করে তারেক ও জোবায়দার বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। তার আগে গতবছর ১ নভেম্বর একই আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক ও তার স্ত্রী বিরুদ্ধে এই মামলাটি হয় ২০০৭ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে। তখন তারেক গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
দেড় বছর কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান, তারপর আর দেশে ফেরেননি। বিদেশে থেকেই বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান হন তিনি; এখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করছেন।
এর মধ্যেই চারটি মামলায় তার বিরুদ্ধে সাজার রায় এসেছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে দুই বছর, অর্থ পাচারের দায়ে সাত বছর, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং একুশে অগাস্টের গ্রেনেড মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে বিদেশে পালিয়ে আছেন তারেক।
জোবায়দা চিকিৎসক হিসেবে সরকারি চাকরিতে ছিলেন। ছুটি নিয়ে যাওয়ার পর আর কর্মস্থলে না ফেরায় ২০১৪ সালে তাকে বরখাস্ত করে সরকার।
আইনের চোখে পলাতক হলেও তারেক ও জোবায়দার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের একটি আবেদন করা হয়েছিল। সে আবেদন নামঞ্জুর করে বিচারক এ মামলার বিচার শুরুর সিদ্ধান্ত দেন।
মামলা বৃত্তান্ত
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার কাফরুল থানায় করা দুদকের মামলাটিতে অভিযোগ করা হয়, তারেক ও জোবায়দার ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার অবৈধ সম্পদ রয়েছে।
মামলায় জোবায়দার মা ইকবাল মান্দ বানুকেও আসামি করা হয়েছিল। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয় আদালতে। পরে উচ্চ আদালত তার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম বাতিল করে দেয়।
অভিযোগপত্র জমা হওয়ার পর মামলা বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করা হয় জোবায়দার পক্ষেও। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করে হাই কোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাই কোর্টের আদেশ বহাল রাখে।
এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে রায় দেয় হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই আপিলের আবেদন করেন জোবায়দা।
এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ টু আপিল খারিজ করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখে। এরপর নিম্ন আদালতে মামলাটি আবার গতি পায়।
পুরনো খবর
অবৈধ সম্পদের মামলায় তারেক-জোবায়দার বিচার শুরুর আদেশ
তারেক-জোবায়দা আইনজীবী পাবেন? সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার
তারেক-জোবাইদার রিট খারিজ, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ
তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে দুদকের মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৯ মার্চ